বেবিচকে আওয়ামী দোসর সাংবাদিকরা বহাল, চুনোপুটি থেকে বটগাছ, নামে-বেনামে বেবিচকের বিভিন্ন স্থাপনা ইজারা নিয়ে নবায়ন করে বছরের পর বছর ব্যবসা করছে, বেবিচক কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির রিপোর্ট হলেই ঠেকানোর/ ডিলিট করতে ‘ঠিকা’ নিচ্ছে, সরাসরি তদবির বা ৩য় পক্ষ দিয়ে তদবির করাচ্ছে

স্টাফ রিপোর্টার : দেশে আওয়ামী দোসর ২৮ সাংবাদিক পলাতক, দেশান্তর হলেও বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ-বেবিচকে আওয়ামী দোসর সাংবাদিক হিসেবে জাহির হওয়া কতিপয় মুষ্ঠিমেয় সাংবাদিক/ সংবাদকর্মী বহাল তবিয়তে। এরা বেবিচকে কর্মকর্তাদের তোষামদ করে তদবির বাণিজ্য, ঠিকা বাণিজ্য, বেবিচকের বিভিন্ন স্থাপনা ইজারা নিয়ে চুনোপুটি থেকে কোটিপতিতে পরিণত হয়ে বটগাছ হয়েছে। বেবিচকের একজন সাবেক চেয়ারম্যান ছিলেন এদের খয়েরখা, তিনি দুদকের ৪ মামলায় জড়িয়ে পড়েছেন।
দেশের বিভিন্ন বিমানবন্দরের ১৬টি প্রতিষ্ঠানের ইজরারা নবায়ন বাতিল করা হলেও এদের কোন প্রতিষ্ঠানের ইজারা বাতিল না করে বছরের পর বছর নবায়ন করা হচ্ছে। এরা বেবিচকে আওয়ামী দোসরদের সাথে সিন্ডিকেড করে ব্যবসা করছে, তদবির করছে। বেবিচকে কোন কর্মকর্তার নামে দুর্নীতির রিপোর্ট কোন গণমাধ্যমে প্রকাশিত হলে তা ঠেকানো বা অনলাইনের রিপোর্ট ডিলিট করার ‘ঠিকা’ নিচ্ছে। কোন কোন সময় তারা নিজেরা ফেইজে না এলেও তৃতীয় পক্ষকে ব্যবহার করছে।
বেবিচকের এক সদস্য’র সিন্ডিকেড নিয়ে গণমাধ্যমে রিপোর্ট হবার পর এক আওয়ামী সংবাদকর্মী ঠিকা নিচ্ছে বলেও শোনা যায়। এই আওয়ামী দোসর সাংবাদিকরা ১৬ ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে বিষোদগার করছে। আবার শাহজালাল বিমানবন্দরে ৫টি প্রতিষ্ঠানের ইজারা নবায়নের কর্ণধারের সাথে সম্পক্ততা গড়ে তুলছে, স্পাইসি রেস্টুরেন্টের কর্ণধারের সাথে মিলেমিশে একাকার হচ্ছে।
বেবিচকে কোন নতুন কর্মকর্তার আগমন ঘটলে এরা ওই কর্মকর্তার তোষামদ করে নিউজ কভারেজের নামে সুবিধা হাতিয়ে নিচ্ছে বলেও শোনা যায়। বেবিচকে আওয়ামী দোসর সাংবাদিক হিসেবে পরিচিত/ জাহির হওয়া এক সংবাদকর্মী বেবিচকের সদর দপ্তর ও শাহজালালে কমপক্ষে তিনটি স্থাপনা ইজারা নিয়ে তা বছরের পর বছর নবায়ন করে চলছ্।ে ডেটলাইন ৩০ জুন এদের ইজারা বাতিল করা হয়নি। এই সাথে সাবেক ও প্রয়াত দুই রাষ্ট্রপতির আত্মীয় পরিচয়ধারি ইকবালের ৫টি প্রতিষ্ঠানের ইজারা বাতিল করা হয়নি।স্পাইসি রেস্টুরেন্টে-এর ইজারা বাতিল করা হয়নি। অথচ এয়ারপোর্ট রেস্টুরেন্টের ইজারা বাতিল করে তা সীলগালা করা হয়েছে, ওয়ান্ডার -ইন হোটেল বেবিচকের দখলে নিয়ে তা সীলগালা করা হয়েছে। কিন্ত সদর দপ্তরের হোটেল, শাহজালালের ‘কনক’ ইজারা বাতিল করা হয়নি।