স্টাফ রিপোর্টার : বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃৃপক্ষ-বেবিচকের আওয়ামী দোসর হিসেবে গত ১৫ বছর দাবড়িয়ে বেড়ানো, শেখ হাসিনার বোন পরিচয়ধারি, সরকারি চাকরির বয়স শেষ হবার পরও সাবেক প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সুপারিশে, তৎকালিন তার পিএস ও,আ,ম ওবায়দুল মুক্তাদির চৌধুরির বয়স মার্জনার স্বাক্ষরে নিরাপত্ত বিভাগে রাশিদা সুলতানার চাকরি হয়। মরহুম ডা: এসএ মালেকও নেপথ্যে রাশিদার চাকরির জন্য সুপারিশ করেন। কিন্ত পরে তিনি বুঝতে পারেন যে, তার চাকরির সুপারিশ করা ঠিক হয়নি। বয়স মার্জনায় বেবিচকের নিরাপত্তা বিভাগে চাকরি, জাল জন্ম তারিখ, জাল এনআইডি, জাল শিক্ষা সনদ, উর্ধতন কর্তৃপক্ষের অফিসিয়াল আদেশ বার বার অমান্য করা, বদলির পরও ঈশ^রদি বিমানবন্দরে যোগদান না করা- এ অপরাধে তার বেতনভাতা স্থগিত করা, জিয়া বিমানবন্দর বর্তমানে শাহজালাল বিমানবন্দর কেন্দ্রিক চোরাচালানের অভিযোগে গোয়েন্দা রিপোর্ট , তালেব , মেজবাসহ ১ ডজন চোরাচালান সিন্ডিকেড গড়ে তোলাসহ -ইত্যাকার অভিযোগে তার বিরুদ্ধে ১ ডজন তদন্ত কমিটি গঠিত, প্রশাসনের সহায়তায় কোন তদন্ত রিপোর্ট-ই আলোর মুখ না দেখা।
প্রশাসনের কি-পয়েন্টে বসা কর্তাব্যক্তি- যাকে সদ্য বেবিচক থেকে বদলি করা হয়েছে, কিন্ত এখনও তিনি প্রশাসনে বসে ছড়ি ঘুরাচ্ছে, তিনি বেবিচক থেকে যাবেন না – এমন কথা শোনা যাচ্ছে, তদবিরে মনোনিবেশ- তার নেকনজরে ডিডি রাশিদার টিকিটিও কেউ স্পর্শ করতে পারেনি। অবশেষে রাশিদা নরমালি ৫ সেপ্টেম্বর পিআরএল-এ যাচ্ছেন।
বেবিচকে বৈষম্য রিরোধী কর্মচারিরা ডিডি রাশিদার চাকরিচ্যুতির জন্য মিছিল-সমাবেশ- হেড অফিসে তাকে লান্ঞিত করলেও ডিডি রাশিদাকে চাকরিচ্যুতি, সাসপেন্ড করা হয়নি, বার বার প্রশাসন তাকে আগলে রেখেছেন -বলে খোদ বেবিচক কর্মকর্তা-কর্মচারিরাই বলে বেড়ান। গত ১৫ বছরে ডিডি রাশিদা ভিন্নমতের কর্মকর্তা-কর্মচারিদের পদোন্নতি বন্ঞিতসহ হযরানিমুলক বদলি করিয়ে ছেড়েছেন। তার ৬ দোসররও বেবিচকে বহাল। বৈষম্য বিরোধী কর্মচারিরা এদেরকে ৬ দানব বলে আখ্যায়িত করেছেন। এদের মধ্যে ছাত্রলীগের ক্যাডাররা এখনও বেবিচকে বহাল তবিয়তে থেকে ছড়ি ঘুরাচ্ছেন। আর গত ১৫ বছর যারা হয়রানির শিকার হয়েছেন- তাদেরকে এবার হয়রানিমুলক বদলি করা হয়েছে। এ ক্ষেত্রে শহিদুল্লাহ- সিরাজদৌল্লার কথা সবার মুখে মুখে। ছাত্রলীগ করা এক কর্মচারি আস্ফালন করে বলে বেড়ান– কোথায় এবার শহিদল্লাহ-সিরাজদৌল্লাহ।
ডিডি রাশিদার বিরুদ্ধে ১ ডজন তদন্ত কমিটি গঠিত হলেও কোনটিরই তদন্ত রিপোর্ট প্রকাশ করে তাকে ৩৭ বছরের চাকরি জীবনে একবারের জন্যও সাসপেন্ড, ওএসডি বা কোন প্রশাসনিক এ্যাকশনে যায়নি বেবিচক। শুধু আইওয়াশের জন্য ২/১ বার ঢাকায় এ দপ্তর থেকে ও-দপ্তরে এবং শেষাবধি ঢাকার বাইরে ঈশ^রদি বিমানবন্দরে বদলি করা হয়েছে মাত্র। ডিডি রাশিদা বেবিচকের কাওলা স্টফ কোয়ার্টারে একাই ২ টি কোয়ার্টার দখল করে থাকলেও তা থেকে উচ্ছেদ করা হয়নি।
বেবিচকে কর্মরত কর্মকর্ত-কর্মচারিরা বলে বেড়ান, ডিডি রাশিদার কৃতকর্মের জন্য তিনি পেনসন নিয়ে যাবার কথা না-অথচ ডিডি রাশিদা তার অতীতের সব কৃতকর্মকে থোরাইকেয়ার করে নরমালি পেনসন নিয়ে ৫ সেপ্টেম্বর চাকরি ছেড়ে যাচ্ছেন, তাকে ফেয়ারওয়েল দেয়া হবে বলেও শোনা যায়।
Share this:
- Click to share on Facebook (Opens in new window)
- Click to share on Twitter (Opens in new window)
- Click to share on LinkedIn (Opens in new window)
- Click to share on Tumblr (Opens in new window)
- Click to share on Pinterest (Opens in new window)
- Click to share on Pocket (Opens in new window)
- Click to share on Reddit (Opens in new window)
- Click to share on Telegram (Opens in new window)
- Click to share on WhatsApp (Opens in new window)
- Click to print (Opens in new window)