বেবিচক : একদিনে ৫৫ জনকে বদলি, পদায়ন, সংযুক্তি

স্টাফ রিপোর্টার : প্রকৌশল, এভসেক, ফায়ার, এটিএম বিভাগের প্রস্তাব অনুসারে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ- বেবিচকে একদিনে ৩৫ জন প্রকৌশলী, নিরাপত্তা অধিক্ষক, এডি এটিএম, ফায়ার লিডারসহ ৫৫ জনকে একযোগে বদলি করা হয়েছে। ১৯ জানুয়ারি এ রদবদল করে প্রঙাপন জারি করা হয়েছে। প্রঙাপনে স্বাক্ষর করেছেন সহকারি পরিচালক প্রশাসন মো. তিরান হোসেন।
কিন্ত রাজশাহি বিমানবন্দরের ম্যানেজার দিলার পারভীনের নতুন বছরেও বদলির কোন খবর নেই। তার বিরুদ্ধে আবাসন দুর্নীতির অভিযোগও ওঠছে, কিন্ত তদন্ত ভেস্তে গেছে। তিনি রাজশাহিতে থাকার জন্য তদবির করে বেড়াচ্ছেন। একইভাবে আরো কয়েক প্রকৌশলীকে আইওয়াসের জন্য বদলি করে ‘যে কর্মস্থলে ছিল সেই কর্মস্থলেই’ রাখা হয়েছে- যারা ওই কর্মস্থলে দীর্ঘদিন ধরে কর্মরত। এতে করে কারো প্রতি পক্ষপাতমুলক আবার কারো প্রতি বিমাতাসুলভ আচরণ করা হয়েছে বলে অনেকে বলে বেড়াচ্ছেন।
এ দিকে আবার কয়েক উপবিভাগীয় প্রকৌশলী এবং সহকারি প্রকৌশলীকে বদলির অর্ডারে যেখানে ছিল সেখানেই সংযুক্তিতে ঠাই করে দেয়া হয়েছে। সংযুক্তি বদলির হাতিয়ার-এমন গুনজন রয়েছে। এদের সারিতে রয়েছেন: উপবিভাগীয় প্রকৌশলী আছালত হোসেন খান, তাকে শাহ আমানতে বদলি করা হরেও সংযুক্তি ঢাকা ইএম সার্কেল প্রকল্পে রাখা হয়েছে। হাসান মিয়া ইএম-২তে ছিল, তাকে ইএম-২তেই রাখা হয়েছে। আয়েশা হককে ওসমানি থেকে সংযুক্তি করে ইএম-২তে দেয়া হয়েছে। সহকারি প্রকৌশলী সিরাজুল ইসলামকে পিএন্ডকিউএস থেকে সংযুক্তি করে বরিশাল বিমানবন্দরে দেয়া হয়েছে। ফারুক হোসেনকে প্রশাসন বিভাগ থেকে সংযুক্তিতে শাহ মখদুমে দেয়া হয়েছে। উপবিভাগীয় প্রকৌশলী ঈসমাইল হোসেনকে সিডি-১ থেকে সিডি-১ বদলি করা হয়েছে। সহকারি প্রকৌশলী আব্দুল মালেককে সিডি-২ থেকে সিডি-১ বদলি করা হলেও দুর্নীতিবাজ প্রকৌশলী কামরজ্জামানকে সিডি-২ থেকে বদলি করা হচ্ছে না। সিএএবির জামাই খ্যাত প্রকৌশলী মোমেন মিঞা এখনও পাওয়ার হাউসে বসে আছেন।
বেবিচকের প্রকৌশল বিভাগ পদলি, পদায়ন, সংযুক্তি নিয়ে ব্যস্ত। বিমানবন্দরগুলোর উন্নয়ন ও মেইনটেনেন্স কাজ থমকে আছে। স্থবিরতা নেমে এসেছে। কবে এর অবসান হবে-তা প্রশ্ন হয়ে ওঠেছে।