স্টাফ রিপোর্টার : বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ– বেবিচকের সবচেয়ে মোস্ট সিনিয়র প্রকৌশলী শহিদুল আফরোজ বার বার বন্ঞনার শিকার হচ্ছেন। সাজানো দুর্নীতির ১ মামলায় অভিযুক্ত, বিভাগীয় মামলা নিষ্পত্তির পর তাকে ৫ মন্ত্রণালয়ের সুপারিশের পর বেচিকের রুটিন দায়িত্বের প্রধান প্রকৌশলী করা হয়। ১০ মাস তিনি সফলতার সাথে তার রুটিন দায়িত্ব পালন করেন। কিন্ত তাকে স্থায়ী না করে ১০ মাস পর আবার তাকে ২য় বার ওএসডি করে বসিয়ে রাখা হয়েছে। এতে করে সিভিল এভিয়েশনের মেধাবী প্রকৌশলীর মেধা কাজে লাগছে না। ১০ মাসের মাথায় আবার তাকে কেন ওএসডি করা হয়-তা প্রশ্নবিদ্ধ। বর্তমানে তিনি ওএসডি অবস্থায় বসে বসে দিন গুজরান করছেন। আর মানসিকভাবে ভেংগে পড়ছেন।
১ মামলায় অভিযুক্ত শহিদুল আফরোজকে দ্বিতীয়বার ওএসডি করে দুদকের ৪ মামলার আসামীকে আপত্তির পরও তার (শহিদুল আফরোজ) জুনিয়র প্রকৌশলী হাবিবুর রহমানকে স্থায়ীভাবে প্রধান প্রকৌশলী নিয়োগ দেয়া হয়। এর ৩ মাস পর চাকরি এক্সটেনশন করতে না পেরে তিনি (হাবিবুর রহমান) পিআরএল-এ চলেন যান।
এরপর আবার দুদকের অভিযোগে অভিযুক্ত, বিভাগীয় তদন্ত চলমান অবস্থায় ইএম-এর জাকারিয়া হোসেনকে ৬ মাসের জন্য চলতি দায়িত্ব দিয়ে প্রধান প্রকৌশলী করা হয়। চলত দায়িত্বের এই ৬ মাসের প্রধান প্রকৌশলীর মেয়াদ ৪ সেপ্টেম্বর শেষ হবে।
এখন প্রশ্ন ওঠেছে বেবিচকের পরবর্তী প্রধান প্রকৌশলী কে?
দুই দুই বার ওএসডি, সাজানো মামলায় অভিযুক্ত, বার বার হয়রানির শিকার মোস্ট সিনিয়র প্রকৌশী শহিদুল আফরোজকে আবার প্রধান প্রকৌশলী করা হলে তিনি শেষ সময়ে বেবিচককে তার মনন, মেধা, দক্ষতা, অভিঙঘতা উজাড় করে দিয়ে যেতে পারবেন বলে অনেকে মনে করেন। এতে করে দেশ ও জাতি উপকৃত হবে, তার প্রতি মানবাধিকার সুপ্রতিষ্ঠিত হবে। কারণ তার চাকরি মেয়াদ আছে আর মাত্র ৪ মাস। এই ৪ মাসের জন্য তাকে আবার প্রধান প্রকৌশলীর দায়িত্ব দেয়া হলে বেবিচক উপকৃত হবে।
শহিদুল আফরোজ: বেবিচকে মোস্ট সিনিয়র প্রকৌশলী। তাকে বার বার বন্ঞিত করে এর আগেও জুনিয়র ২ জন প্রকৌশীকে বেবিচকের প্রধান প্রকৌশলী করা হয়। এরমধ্যে একজনকে ( সুধেন্দু বিকাশ গোস্বামী) দুর্নীতির অভিযোগে প্রত্যাহার করা হয়। আরেকজনকে ( আব্দুল মালেক) দুদকের ৪ মামলা দিয়ে বেবিচকে থেকে বিদায় নিতে হয়, এখনও মামলা চলমান। যদিও সাবেক বেবিচক চেয়ারম্যান এদের পক্ষে সাফাই গেয়েছেন। ওই চেয়ারম্যানও দুদকের ৪ মামলার আসামি। আর সদ্য বিদায়ী চেয়ারম্যান, যাকে বেবিচক থেকে প্রত্যাহার করা হয়েছে, তিনি বলেছেন, দুদকের মামলার আসামি হলেই মামলার চার্জ না হওয়া পর্যন্ত বলা যাবে না তিনি অভিযুক্ত।
আর এই অজুহাতেই প্রকৌশলী শহিদুল আফরোজকে ২য় বার ওএসডি করে আপত্তির মুখে ৪ মামলার আসামী হাবিবুর রহমানকে প্রধান প্রকৌশলী করা হয়। চাকরি এক্সটেনশন করতে ব্যর্থ হয়ে ৩ মাস পর তিনি বেবিচক থেকে বিদায় নেন।
বর্তমান ৬ মাসের চলতি দায়িত্বের প্রধান প্রকৌশলী দুর্নীতির অভিযোগে অভিযুক্ত, বিভাগীয় অভিযোগে তদন্ত চলমান, তাকে থার্ড টার্মিনালের পিডি থেকে সরিয়ে ৬ মাসের জন্য চলতি দায়িত্ব দিয়ে প্রধান প্রকৌশলী করে প্রঙাপন জারি করা হয়।
এ দিকে সিনিয়রকে ডিংগিয়ে তাকে (জাকারিয়া) চলতি দায়িত্বের প্রধান প্রকৌশলী করায় তারই বিভাগের (ইএম)’র একজন তত্বাবধায়ক প্রকৌশলী অধিকার ক্ষুন্ন নিয়ে উচ্চ আদালতে রিট মামলা করেছেন। মামলায় বেবিচক চেয়ারম্যানসহ সংশ্লিষ্টদের অভিযুক্ত করা হয়েছে।
Share this:
- Click to share on Facebook (Opens in new window)
- Click to share on Twitter (Opens in new window)
- Click to share on LinkedIn (Opens in new window)
- Click to share on Tumblr (Opens in new window)
- Click to share on Pinterest (Opens in new window)
- Click to share on Pocket (Opens in new window)
- Click to share on Reddit (Opens in new window)
- Click to share on Telegram (Opens in new window)
- Click to share on WhatsApp (Opens in new window)
- Click to print (Opens in new window)