বেবিচক : রাজশাহী শাহ মগদুম বিমানবন্দরের ম্যানেজার গোপালী বধূ দিলারা পারভীনের বিরুদ্ধে কোটি কোটি টাকা দুর্নীতির অভিযোগ ভেস্তে গেছে : আইনগত নোটিশ আমলে নেয়নি বেবিচক : তদন্ত কমিটি গঠন করলেও কর্মকর্তা পান্না ওএসডি, তদন্ত আলোরমুখ দেখেনি : ৪ বছর ধরে রাজশাহির ম্যানেজারগিরি করলেও বদলি করা হচ্ছে না , কর্মচারিরা ফ্যাসিবাদি মিনি শেখ হাসিনার পরিবর্তন চায়

স্টাফ রিপোর্টার : রাজশাহী শাহ মগদুম বিমানবন্দরের ম্যানেজার গোপালি বধূ দিলারা পারভীনের বিরুদ্ধে গত ৪ বছরে রাজশাহীতে কর্মরত থাকাবস্থায় স্বেচ্ছাচারিতা, ৯ সিন্ডিকেড গড়ে তুলে অনিয়ম, দুর্নীতির আশ্রয় নিয়ে কোটি কোটি টাকার দুর্নীতির অভিযোগের কোন সুরাহা হয়নি। তার বিরুদ্ধে দুদকও চুপচাপ। তার বিরুদ্ধে আইনগত নোটিশের জবাব দেয়নি বেবিচক কর্তৃপক্ষ। ফলে আইনি নোটিশ ভেস্তে গেছে।
বেবিচক একটি তদন্ত কমিটি গঠন করলেও তদন্ত কর্মকর্তা ইসরাত জাহান পান্না ওএসডি হওয়ায় তদন্ত আলোরমুখ দেখেনি। নতুন করে আর তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়নি। সিন্ডিকেড সদস্য ৯ কর্মকর্তা-কর্মচারি ব্যতীত অন্যান্য কর্মচারিরা ও ঠিকাদাররা ম্যানেজার দিলারা পারভীনের হাতে জিম্মি হয়ে পড়েছে। হিসাবরক্ষণ মিজানুর রহমান ও ম্যানেজার পারভীন স্বেচ্ছাচারভাবে লুটপাট আর লোপাটের রামরাজত্ব কায়েম করেছে চলছে রাজশাহি বিমানবন্দরে। কর্মকর্তা-কর্মচারি ও ঠিকাদাররা আওয়ামী দোসর, সাবেক মন্ত্রী শাহরিয়ার আলম, মেয়র লিটনের ঘনিষ্ঠ ফ্যাসিবাদি মিনি শেখ হাসিনার পরিবর্তন চায়, তার মনোনীত সিন্ডিকেড মুক্ত, ছাত্রলীগ, আওয়ামীলীগ মুক্ত বিমানবন্দর চায়।

নাম পকাশে অনিচ্ছুক রাজশাহি বিমানবন্দরের কর্মচারীরা যারা দীর্দিন ধরে ম্যানেজার দিলার পারভীনের হাতে জিম্মি তারা কতিপয় বিষয়বস্থু উল্লেখ করে জানান, : গোপালগঞ্জের আওয়ামী দোসর, ক্ষমতার অপব্যবহারকারী, স্বেচ্ছাচারী, দুর্নীতিবাজ বিমানবন্দর ম্যানেজারের নির‍্যাতন, নিপীড়ন, বৈষম্য, অনিয়মে রাজশাহীবাসী ও বিমানবন্দরের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের আর্তচিৎকার যেন থামছে না।

গত ২০ ও ২১ আগস্ট ২০২৪ তারিখে বিভিন্ন অনলাইন ও প্রিন্ট মিডিয়ায় “গোপালগঞ্জের বৌ এর দাপটে তটস্থ রাজশাহীর শাহ মখদুম বিমান বন্দর” ও “শাহ মখদুম বিমানবন্দরের ম্যানেজারের বিরুদ্ধে কোটি কোটি টাকা আত্মত্মসাতের অভিযোগ” শিরোনামে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে। এর পূর্বেও ১০ আগস্ট ২০২১ সালে দায়িত্ব গ্রহনের ৭/৮ মাসের মধ্যেই “শাহ মখদুম বিমানবন্দর ম্যানেজারের স্বেচ্ছাচারিতা, অনিয়ম-দুর্নীতি, কমিশন বাণিজ্য জমজমাট! ঠিকাদাররা জিম্মি ” শিরোনামে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছিল। আমরা দীর্ঘদিন যাবৎ অত্র বিমানবন্দরের সাথে যুক্ত থাকার কারণে খুটিনাটি অনেক কিছু অনুধাবন করতে পারি। প্রকাশিত সংবাদের অধিকাংশ তথ্যই আমাদের কাছে সত্য বলে প্রতিয়মান হয়েছে। ২০ আগস্ট সংবাদ প্রকাশের পর বেবিচ কর্তৃপক্ষ থেকে নামেমাত্র একটা তদন্ত হয়, যেখানে সঠিক ভাবে কাউকে কিছু জিজ্ঞেস করেনি। তদন্ত কর্মকর্তা ইসরাত জাহান পান্না নিজেও ওএসডি হয়েছেন। এ তদন্তের পর থেকে ম্যানেজার আরও বেপরোয়া হয়েছে।

ম্যানেজারের স্বামী গোপালগঞ্জের, ম্যানেজার দিলারা পারভীন ও সাবেক পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলমের বাড়ি রাজশাহীর আড়ানিতে, সাবেক মেয়র খায়রুজ্জামান লিটনের ঘনিষ্ঠ ও আওয়ামী রাজনীতির কারণে এয়ারপোর্টে দম্ভ করে স্টাফকে ভীত সন্ত্রস্ত করে রাখত এবং তার হীন পৈশাচিক কর্মকাণ্ড এখনও চলমান। ইতোমধ্যে অনেক নিরীহ কর্মচারীকে তার ক্ষমতার বলে ট্রান্সফার করিয়াছেন।কেউ তার বিরুদ্ধে কিছু বললে তাদেরকে বিভিন্ন ভাবে মানসিক ও অর্থনৈতিক নির‍্যাতন করা হয় তার নিয়োজিত স্বৈরাচারী চক্রের মাধ্যমে। ম্যানেজার ইদানীং গাড়ি নিয়ে দাপটের সাথে চলে, জানি না এ গাড়ি কোথায় পেল?? বর্তমান বিএনপির জেলা আহবায়ক জনাব চাঁদের ছত্রছায়ায় আবার দলীয়করণ শুরু করে অনুপ্রবেশের চেষ্টা করছে।

একজন সিকিউরিটি অফিসার এসব অনিয়মের সমালোচনা করলে তাকে মিথ্যা অপবাদ দিয়ে বরিশাল বিমানবন্দরে ট্রান্সফারে করে। তার দুর্নীতির কথা জেনে যাওয়ায় মার্শালার ইব্রাহিম হোসেন কে মিথ্যা অপবাদ দিয়ে কক্সবাজারে ট্রান্সফার করায়। এছাড়া নাইচ ইসলাম, জুলফিকার কেও সে কৌশলে সরিয়ে দেয়।

বিমান বন্দরের আবাসন খাত অনিয়মে ভরপুর। সিভিল অ্যাভিয়েশনের কর্মচারী হয়েও অনেকে বাসা বঞ্চিত, অথচ বাহিরের লোকজনকে অবৈধভাবে থাকতে দেওয়া হয়েছে। লক্ষ লক্ষ টাকা ম্যানেজার অবৈধভাবে আত্মসাৎ করছে যা তদন্ত করলে সহজেই প্রকাশ হবে। পত্রিকার সংবাদ প্রকাশের পর আবাসিক এলাকায় অবৈধভাবে বসবাসরত লোক জনদের কে ডেকে বাসা ছাড়ার কথা বললেও ইহা আই ওয়াস এ পরিণত হয়েছে। তারা এখনো অবৈধভাবে বসবাস করছে তদন্ত করলে তাহার সত্যতার প্রমাণ মিলবে।

ম্যানেজারের মেয়াদ ২ বছর হলেও প্রভাব খাটিয়ে প্রায় ৪ বছর যাবৎ সে অত্র বিমানবন্দরে স্বেচ্ছাচারিতার মাধ্যমে কর্মচারীদেরকে অনবরত নির‍্যাতন, শোষণ ও অপমান অপদস্ত করে চলছে। ঠিকাদারদের কাছ থেকে কমিশন গ্রহন, নিম্নমানের কাজ ও দুর্নীতির মাধ্যমে রাতারাতি আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ হয়ে গেছে। রাজশাহী শহরে বাসা, নামে-বেনামে জায়গা-সম্পত্তি করেছেন। জানা যায়, বিমানবন্দরে বিভিন্ন প্রকল্পে অনিয়ম করে মোটা অংকের টাকা লুটপাট, জ্বলানী তেল চুরি, গাড়ি মেরামতের নামে ভুয়া বিল-ভাউচার বানিয়ে অর্থ আত্মসাত, স্টেশনারি সামগ্রি ক্রয়ের নামে ভুয়া বিল-ভাউচার দিয়ে টাকা আত্মসাত, কোন সভা-সেমিনার না করে মিটিংয়ের নামে বিল উত্তোলনে স্বাক্ষর নিয়ে বিল-ভাউচার তৈরি করে অর্থ আত্মসাতকরণ, কর্মচারি-কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণের নামে ( স্থানীয় প্রশিক্ষনে ৬গ্রেড ও ৯ গ্রেড কর্মকর্তা থাকা সত্ত্বেও সহকারী হিসাব রক্ষণ কর্মকর্তা মিজানুর রহমানকে প্রশিক্ষক নিয়োগ দিয়ে টাকা ভাগাভাগি অর্থ আত্মসাত, কর্মীদের বাসায় নিয়ে ব্যক্তিগত কাজে ব্যবহার, ওভারটাইমের অতিরিক্ত খাটুনির টাকা আত্মসাত, অপ্রয়োজনীয় প্রকল্প তৈরি করে বেবিচকের কোটি কোটি টাকা

আত্মসাত, নিম্নমানের পন্য দিয়ে নির্মাণ কাজ করা, কাজ না করেও প্রত্যয়ন দেয়া হতো পার্সেন্টের বিনিময়ে, নিজস্ব জনবল থেকে চাদা আদায় করার পরও বিভিন্ন কোম্পানির থেকে চাদা আদায় করে পকেটস্থ করা, ওয়েলফেয়ারের টাকা পকেটস্থ করা, চীফ ইঞ্জিনিয়ার ৫০০০০ টাকা সবাইকে নিয়ে খাওয়ার আয়োজনের কথা বললেও ম্যানেজার ও তার সহচর চক্র উক্ত টাকা আত্মসাত করে, পুরাতন লোহা চুরি করে বিক্রি, ক্যান্টিন বরাদ্দের অনিয়মে লক্ষ টাকা রাজস্ব হারাচ্ছে সরকার। রাতের আধারে মাছ চুরি করার সময় এপিবিএন কর্তৃক চক্রের সদস্য আটক হলেও ম্যানেজারের নির্দেশে ছেড়ে দেয়। এসবই সত্য, যা একটু তদন্ত করলেই বের পরিষ্কার হয়ে যাবে।

প্রকাশিত সংবাদের এ কথা সম্পূর্ণ সত্য যে, এয়ারপোর্টে সিন্ডিকেট বিদ্যমান। নিরাপত্তা কর্মকর্তা অনুপ রায়, সহকারী হিসাব রক্ষণ কর্মকর্তা মিজানুর রহমান, এএফও মোঃ নাজমুল হাসান, সুপার ভাইজার মাহফিজুর রহমান, আর্মড সিকিউরিটি গার্ড খাদিমুল, আর্মড সিকিউরিটি গার্ড মো: আব্দুল করিম, নিরাপত্তা সুপারভাইজার নাসির আহমেদ, নিরাপত্তা অপারেটর বাসনা ঘোষ, এমটিডি মশিউর রহমান এ ৯ জনের মাধ্যমে যত ধরনের অন্যায় কাজ হয়। যাত্রীদের কাছে শুনেছি ভিআইপি লাউঞ্জে টাকা না দিলে অসৌজন্যমূলক আচরণ করে, টাকার বিনিময়ে অনেকে ভিআইপি লাউঞ্জে ডুকে, চাটুকার কর্মচারীরা অপ্রয়োজনে ভিআইপি লাউঞ্জে গিয়ে দাড়িয়ে থাকে, যদি কোন যাত্রী বকশিস দেয় তা অনুপ রায় ও মাহফিজুর রহমান একাই নিয়ে নেয়। ম্যানাজরের আস্থাভাজনদের বিরুদ্ধে বেশ কয়েকবার লুজনোট দেওয়ার চেষ্টা করা হয়, কিন্তু ম্যানেজার উল্টো লুজনোট তুলে নেওয়ার জন্য হুমকি দামকি, অপমান করে এবং তিনি লুজনোট গ্রহন না করে সব দোষ দেয় কর্মকর্তা কে। পথভ্রষ্ট কর্মচারীরা নিরাপত্তা কর্মকর্তাকে কোন রকম পাত্তা না দিয়ে মিজানুর রহমান ও ম্যানেজারের রুমে গিয়ে তৈল মর্দন করে। তারা ঠিকমত ডিউটি করেনা, ইচ্ছেমত আসে যায়, এবং মিজানুর রহমানের রুমে ম্যানেজার সহ প্রায় অর্ধরাত পর‍্যন্ত আড্ডা দেয়। ম্যানেজারের ছত্রছায়ায় এরা কাউকেই পাত্তা দেয় না, বেয়াদবি করে এবং কাজ না করেই সবচেয়ে বেশি অভার টাইম বাগিয়ে নেয়। এ চক্র ইচ্ছে মত টাকার বিনিময়ে অবৈধ গেস্ট ঢুকতে দেয় কিন্তু কোন ধরনের নিয়মকানুন মানে না। ডিউটি রোস্টার বন্টনেও বৈষম্য।

এমটিডি মশিউর অফিসে থাকে না, সব সময় বাহিরে বাহিরে থাকে, অফিসারদের স্বাক্ষর নকল করে। সে ম্যানেজারের সাথে সুসম্পর্কের কারণে অবৈধভাবে বাসা দখল করে রেখেছে। সে কোন নিয়মনীতি মানে না, সব সময় ম্যানেজারের ভয় দেখায়।

আমাদের কাছে মনে হয় “ওভার টাইম হচ্ছে যত অনিয়ম, তেলবাজির মূল। অনিয়মের সংবাদ প্রকাশ হওয়ার পর আগস্ট মাসে সবাইকেই অভার টাইম এত বেশি দিয়েছে যে কেউ কেউ ৩-৪ গুণ বেশি পেয়েছে। ইসিআরের তানজিলাকে কোন অভারটাইম দেন না। বিগত কয়েক মাসের ওটি বাবদ প্রাপ্ত টাকার ব্যাংক স্টেইটমেন্ট দেখলে বৈষম্য স্পষ্ট হবে। হঠাৎ এত টাকা কোথায় পেল সন্দেহজনক। ওটি দেওয়ার পর সবাই কে ম্যানেজার বলেছে তার পক্ষে সাক্ষী দিতে। অক্টোবর মাসে আবার সবাইকে কমিয়ে দিয়েছে। ওটির জন্য কিছু স্টাফ নীতি বিসর্জন দিয়ে আজ্ঞাবহ দাসে পরিনত হয়, যার জন্য ম্যানেজার স্বৈরাচারী হতে পারে। যাকে ইচ্ছা বেশি দেন, আবার কাউকে দেনই না। পছন্দের স্টাফদের বেশি ওটি দিয়ে একরকম দাসে পরিনত করেছে। নিরাপত্তা অপারেটর উৎপল বিশ্বাস, আর্মড সিকিউরিটি গার্ড জাকারিয়া, আর্মড সিকিউরিটি গার্ড কামরুল হাসান, জুনিয়র নিরাপত্তা অপারেটর নাইচ ইসলাম, আর্মড সিকিউরিটি গার্ড জুলফিকার, ইসিআর শাখার অধিকাংশ, তানজিলা রেডিও ক্লিনার আলম সহ আরও অনেককে কোন এক অজানা কারণে কম পরিমান ওটি দেয়। জনশ্রুতি আছে, যারা বেশি ওটি পায় তারা কিছু অংশ মিজানুর রহমান ও ম্যানেজার কে দেয়। মিজানুর রহমানের ঘনিষ্ঠজনকে গোপন রাখার কথা বলে বলেছে যে, এসব টাকা দিয়ে এয়ারপোর্ট পরিষ্কার, ঢাকায় স্যারদেরকে উপঢৌকন পাঠান ম্যানেজার, একাউন্ট শাখার খাবারের বিল পরিশোধ হয়।

যদি কখনও কিছু স্টাফ একসাথে বসে গল্প করে, সেখানে কি কথা হয় তা শুনার জন্য ম্যানেজার তার লোকদের

দিয়ে গোপনে ফটো, অডিও ভিডিও করায়। শুধুমাত্র সন্দেহ মূলক ভাবে একাউন্ট সেকশন বা ম্যানেজারের রুমে

ডেকে নিয়ে ম্যানেজার ও মিজানুর রহমান অপমান অপদস্ত করে। এ রকম ভুক্তভোগী নিরাপত্তা অপারেটর উৎপল

বিশ্বাস, আর্মড সিকিউরিটি গার্ড নাইচ, আর্মড সিকিউরিটি গার্ড জুলফিকার আলী।

মাহফিজুর রহমান, অনুপ রায় ও সিকিউরিটি সুপারভাইজার অমিত কুমার রয়, এরা ছাত্রজীবনে ছাত্রলীগের সাথে যুক্ত ছিল। তাই এরা ম্যানেজারের আস্থাশীল।

সিন্ডিকেটের দাপটে কর্মকর্তা কর্মচারী সবাই বিরক্ত। সংবাদ প্রকাশের পর ম্যানেজারের পক্ষে এ চক্র সবার কাছ থেকে জোরপূর্বক স্বাক্ষর আদায় করে, না দিলে অকথ্য গালিগালাজ করে, ম্যানেজারের ভয় দেখায়।যারা দেয়নি তাদের উপর চলছে অমানবিক নির‍্যাতন, তদন্ত করলে স্পষ্ট হবে।

স্টোর কিপার থাকার পরও মোঃ নাজমুল হাসান (এরোড্রাম ফায়ার অপারেটর) কে স্টোর কিপারের দায়িত্ব দিয়ে রেখেছেন। দুইবছর যাবৎ স্টোর কীপার আজাদ নিয়োগ প্রাপ্ত হলেও তাকে কোন কিছু করতে দেয় না।স্টোর রুমে অনেক কারচুপি আছে, এখনই তদন্ত দরকার। অফিস চালানোর মত দরকারি জিনিসপত্র পাওয়া যায় না, অথচ সবই ক্রয় হয়। এয়ারপোর্টে লোকজনের কাছ থেকে শোনা যায় যে, এই মোঃ নাজমুল হাসান কে দিয়ে ঠিকাদারদের কাছে অবৈধভাবে টাকা নেওয়ার কাজ করায়, বিভিন্ন জিনিসপত্র বেআইনিভাবে বিক্রি করানোর কাজ করায়।

নামমাত্র একটা কর্মচারী কল্যাণ সমিতি আছে যেটি ম্যানেজার, মিজানুর রহমান ও মনসুর আলম দ্বারা পরিচালিত হচ্ছে। মাছ, আম, গাছ কিভাবে বিক্রি হয় তা এ তিনজন ছাড়া কেউ জানে না। এ নিয়ে কেউ কথা বললে এ তিনজন খুব উগ্র আচরণ করে। কিছুদিন আগে কাঠ চুরি হয়ে যায়, পরে তা পেলেও কি হয় আর কেউ জানে নাঃতদন্ত হলে থলের বিড়াল বের হয়ে আসবে।

বিমানবন্দরের অপারেশনাল গাড়ি তিনি তার পরিবারকে ব্যবহারের জন্য দিয়ে রাখেন। মাঝে মাঝে এয়ারপোর্টে কোন গাড়িই থাকে না। যদিও বিমান উঠানামার সময় অপারেশনাল গাড়ি, এম্বুলেন্স থাকা বাধ্যতামূলক।

ফায়ার শাখায় জনবল কম। কিন্তু নাজমুল হক (এএফও) কারও কথা শুনে না।সে ম্যানেজারের ব্যক্তিগত কাজ নিয়েই ব্যস্ত থাকে, ফায়ার শাখায় সে থাকে না বললেই চলে (সিসিটিভি দেখা যেতে পারে)। এ নিয়ে এরোড্রাম কর্মকর্তা মুশফিকুর রহমান কথা বললে ম্যানেজার তার সাথে খুবই খারাপ ব্যবহার করে। এই নাজমুল হক তার সিনিয়র ও অফিসের কাউকেই তোয়াক্কা করে না। তার চাটুকারিতার জন্য ফায়ার শাখায় বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়।

গেস্ট হাউজ থেকে ভাড়া বাবদ টাকা নেওয়ার নিয়ম আছে, কিন্তু ম্যানেজারের আত্মীয়রাই নিজের বাড়ির মত বিনা ভাড়ায় ব্যবহার করে। নিরাপত্তা কর্মকর্তা অনুপ রায় ও সুপারভাইজার মাহফিজুর রহমানের ষড়যন্ত্রের কারণে আগের সৎ, দায়িত্বশীল কেয়ারটেকার জনাব মনজুরুল ইসলাম কে সামান্য চাল, মরিচ, তেল চুরির অপবাদ দিয়ে বের করে দেয়। বর্তমানে অনুপ রায় স্থায়ীভাবে থাকে এবং তার অনুচরদের নিয়ে আড্ডার আসর বসায়।

নিচতলায় দীর্ঘদিন যাবৎ নির্মাণ কাজ স্থবির। অফিসারদের বসার জায়গা নাই, যাত্রী ব্যবস্থাপনায় বিশৃঙ্খলা।

ম্যানেজার ও হিসাব রক্ষণ কর্মকর্তা মিজানুর রহমান কে হঠাৎ করে মাঝে মাঝে অফিসে পাওয়া যায় না, থাকলেও আড্ডারত থাকায় কাজ করে না। সবাইকে অফিসিয়াল কাজে বিড়ম্বনায় পড়তে হয়। ম্যানেজার ইচ্ছাকৃতভাবে চিঠিপত্রে স্বাক্ষর না করে কালক্ষেপণ করেন। অপারেশনাল বা কোন প্রয়োজনীয় কারণে জরুরি যোগাযোগ করার দরকার হলে তিনি মোবাইল ফোন বন্ধ করে আত্মগোপন করে থাকেন।

নিরাপত্তা শাখার এএসজি ওবায়দুল ইসলাম, এএসজি জাহিদুল ইসলাম, এএসজি ফাহিমা আক্তার পান্না, নিরাপত্তা অপারেটর সুরাইয়া আক্তার, এএসজি রাশেদুল ইসলাম, টাওয়ারের ড্রাফটসম্যান শিখা সরকার, মালী মিতু এরা স্কুলে নিয়োজিত। মূল ডিউটি না করিয়ে অবৈধভাবে এদের কে স্কুলে নিয়োগ দিয়েছে ম্যানেজার। এরোড্রাম কর্মকর্তা জুলফিকার আলী এ বিষয়ে কথা বলায় টাওয়ারের ড্রাফটসম্যান শিখা সরকার তার স্বামী কে দিয়ে তাকে মোবাইল ফোনে হুমকি দেয়। এরা এমন আচরণ করে ম্যানেজার ও মিজানুর রহমানের ছত্রছায়ায়।

সর্বোপরি, আমাদের পর‍্যবেক্ষণে অত্র বিমানবন্দরের ব্যবস্থাপক মহোদয় কে ড্যামি (উসসু) ব্যবস্থাপক মনে হয়। সহকারী হিসাব রক্ষণ কর্মকর্তা (মিজানুর রহমান) অফিসের সব কিছু তদারকি করেন। মিজানুর রহমান সব শাখার নথিপত্র ঘাটাঘাটি করে খবরদারি করেন। সে কর্মচারীদের কে হিসাব শাখায় ডেকে নিয়ে ব্যবস্থাপক মহোদয়ের সামনে ভয়ভীতি দেখায়।

রাষ্ট্রের সর্ব স্তরে বৈষম্য দূর করার জন্য গত ৫ আগস্ট অসংখ্য প্রাণের বিনিময়ে চূড়ান্ত বিজয় অর্জিত হয়েছে, কিন্তু আমাদের শাহ্ মখদুম বিমানবন্দরে এখনও বৈষম্য বিরাজমান। খালি চোখে উক্ত বৈষম্য সমূহ নিছক মনে হলেও আমাদের কর্ম পরিবেশ, অর্থনৈতিক মুক্তি, সুষ্ঠু দায়িত্ব পালনে বিঘ্ন ঘটাচ্ছে, আতঙ্কে যাচ্ছে আমাদের সময়। আমরা মুক্তি চাই, আমরা সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন করতে চাই, আমরাও দেশ ও জাতি গঠনে ভূমিকা রাখতে চাই, পরিবার পরিজন নিয়ে সুখে থাকতে চাই, আমরা বৈষম্য মুক্ত কর্মক্ষেত্র চাই, আমরা আমাদের বিমানবন্দরের ফ্যাসিবাদী মিনি শেখ হাসিনার পরিবর্তন চাই, তার মনোনীত সিন্ডিকেট মুক্ত, ছাত্রলীগ ও আওয়ামী লীগ মুক্ত বিমানবন্দর চাই। বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ও এর অধীনস্থদের নিকট আমাদের আকুল আবেদন তারা যেন উপর্যুক্ত অভিযোগ সমূহের নিরপেক্ষ ভাবে সত্যতা যাচাই পূর্বক বিমানবন্দর কে বৈষম্য ও স্বেচ্ছাচার থেকে মুক্ত করে আমাদের কে সুষ্ঠু ভাবে দায়িত্ব পালন করতে সহায়তা করেন।