সংসদ রিপোর্টার : অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেছেন, ২০১৮ সালের জানুয়ারি পর্যন্ত বিভিন্ন সরকারি ব্যাংকে ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান খাতে খেলাপি ঋণের পরিমাণ ৫৫ হাজার ৯৩ কোটি ৩৩ লাখ টাকা।
ব্যাংকিং খাতে খেলাপি ঋণ আদায় পরিস্থিতি উন্নয়ন পরিকল্পনার অংশ হিসেবে খেলাপি গ্রাহক শনাক্তকরণ এবং তাদের আইনের আওতায় আনার লক্ষ্যে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে এমএ আউয়ালের এক প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী এসব তথ্য জানান।
অর্থমন্ত্রী মুহিত আরও জানান, খেলাপি ঋণ আদায়ের লক্ষ্যে খেলাপি গ্রাহকদের বিরুদ্ধে অর্থঋণ আদালত আইন-২০০৩-এর আওতায় মামলা করা হচ্ছে।
খেলাপি ঋণ আদায়ের গুরুত্ব বিবেচনায় বাংলাদেশ ব্যাংকের গৃহীত পদক্ষেপের কথা তুলে ধরে তিনি জানান, ত্রৈমাসিক ভিত্তিতে শ্রেণীকৃত ঋণ স্থিতি, শ্রেণীকৃত ঋণের বিপরীতে আদায় পরিস্থিতি, ঋণ অবলোপন, প্রভিশন সংরক্ষণ ও নতুন ঋণ আদায় বিষয়ে বিস্তারিত প্রতিবেদন ব্যাংকের বোর্ডসভায় উপস্থাপন করতে হবে। ঋণ আদায় ইউনিটকে শক্তিশালী করতে হবে।
পাশাপাশি মাঠ এবং শাখা পর্যায়ে ঋণ আদায় লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করে দিতে হবে। এ লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে পারলে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের পুরস্কার বা ইনসেনটিভ দিতে হবে; ব্যর্থতায় যথোপযুক্ত ব্যবস্থা নিতে হবে।
তিনি জানান, খেলাপি ঋণ আদায়ে শ্রেণীকৃত ও অবলোপনকৃত ঋণ আদায়ে দায়ের করা মামলা দ্রুত নিষ্পত্তির লক্ষ্যে অভিজ্ঞ আইনজীবী নিয়োগ করতে হবে। সরকার প্রণীত বিভিন্ন আইনের পাশাপাশি উপর্যুক্ত নির্দেশনাসমূহ খেলাপি ঋণ আদায়ে কার্যকর ভূমিকা রাখবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
মামুনুর রশীদ কিরণের প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী মুহিত জানান, ব্যাংকিং খাতে সব ধরনের প্রযুক্তি বিভ্রাটমুক্ত রাখতে বাংলাদেশ ব্যাংক তথা সরকার কার্যকর পদক্ষেপ নিচ্ছে।
দেশের আন্তঃব্যাংকিং লেনদেন পদ্ধতি আধুনিকায়নে বর্তমান সরকার বেশকিছু পদক্ষেপ নিয়েছে; যার মধ্যে দেশে অটোমেটেড চেক ক্লিয়ারিং ব্যবস্থা বাস্তবায়ন অন্যতম। তিনি জানান, অটোমেটেড ক্লিয়ারিং ব্যবস্থার পাশাপাশি দেশে কার্ডভিত্তিক লেনদেন সম্প্রসারণের জন্য ২০১২ সাল থেকে দেশে চালু করা হয়েছে ন্যাশনাল পেমেন্ট সুইচ বাংলাদেশ বা এনপিএসবি।
ছোট অঙ্কের আর্থিক লেনদেন সম্পাদনের জন্য চালু করা হয়েছে মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস বা মোবাইল ব্যাংকিং, যা তাৎক্ষণিকভাবে লেনদেন করতে সক্ষম।
