বাণিজ্য ডেক্স : দুদকের মামলায় হয়রানি, গ্রেফতার এবং ওএসডি, শেষাবধি দুর্নীতির কোন প্রমাণ না পেয়ে মামলা থেকে খালাস পাওয়া অবসরে যাওয়া আমলা মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়াকেই চুক্তিভিত্তিক জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান (এনবিআর) নিয়োগ দিয়েছে সরকার। পদ্মা সেতু প্রকল্প নিয়ে জটিলতার সময় তিনি সেতু বিভাগের সচিব ছিলেন তিনি।
চাকরির মেয়াদ শেষে অবসরে যাওয়া এই কর্মকর্তাকে দুই বছরের চুক্তিতে এনবিআর চেয়ারম্যান ও অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগের জ্যেষ্ঠ সচিব পদে নিয়োগ দিয়ে ৩ জানুয়ারি বুধবার আদেশ জারি করেছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।
তিনি মো. নজিবুর রহমানের স্থলাভিষিক্ত হলেন। জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান ও অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগের জ্যেষ্ঠ সচিব নজিবুর রহমান গত ৩১ ডিসেম্বর প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিবে হিসেবে নিয়োগ পান।
২০১৬ সালের ৩০ জুন অবসরোত্তর ছুটিতে (পিআরএল) যাওয়ার কথা ছিল মোশাররফের। এর একদিন আগে ২৯ জুন তার পিআরএল বাতিল করে এক বছরের চুক্তিতে শিল্প মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব নিয়োগ দেয় সরকার।
১৯৮১ সালের বিসিএস ব্যাচের কর্মকর্তা মোশাররফ হোসেন ২০১০ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি সেতু বিভাগের ভারপ্রাপ্ত সচিব হিসেবে নিয়োগ পান। একই বছরের ২৯ জুলাই পদোন্নতি পেয়ে সচিব হন তিনি।
২০১৪ সালের ২৬ অক্টোবর শিল্প সচিব নিয়োগ পেয়ে ২০১৬ সালের ১১ এপ্রিল জ্যেষ্ঠ সচিব হিসেবে পদোন্নতি পান মোশাররফ।
এর আগে তিনি বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষের (বেজা) নির্বাহী চেয়ারম্যান এবং প্রাইভেটাইজেশন কমিশনের সদস্যের দায়িত্বে ছিলেন।
পদ্মা সেতুতে বিশ্ব ব্যাংকের অর্থায়ন নিয়ে টানাপড়েনের মধ্যে দুদকের মামলায় গ্রেপ্তারের পর ওএসডিও হতে হয়েছিল এই কর্মকর্তাকে। পরে দুদক জানায়, দুর্নীতির কোনো প্রমাণ মেলেনি।
বিশ্ব ব্যাংক দুর্নীতির ষড়যন্ত্রের অভিযোগ তুলে এই সচিবকেও হয়রানিতে ফেলেছিল বলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও বিভিন্ন সময় বলেছেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্থনীতিতে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রিধারী মোশাররফের বাড়ি নরসিংদী।