নিউজ ডেক্স : আজ আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে শুরু হচ্ছে একটি ঐতিহাসিক ও স্মরণীয় গণহত্যা মামলার শুনানী। এটি স্মরণীয় কারণ গণহত্যার বিবাদী পক্ষের হয়ে শুনানীতে লড়বেন শান্তিতে নোবেল পুরস্কার জয়ী অং সান সুচি। কৌশলী হিসেবে অংশ নিতে ইতোমধ্যেই নেদারল্যান্ডের দ্য হেগ শহরে পৌঁছেছেন মিয়ানমারের স্টেট কাউন্সিলর। দ্য গার্ডিয়ান
একসময় আন্তর্জাতিকভাবেই গণতন্ত্রের সুখ বলে স্বীকৃত ছিলেন অং সান সুচি। এবার তিনি গণহত্যার অভিযুক্তদের পক্ষ নিয়ে এক নতুন দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে চলেছেন। গত মাসে আন্তর্জাতিক আদালতে ওআইসির পক্ষে পশ্চিম আফ্রিকার ছোট্ট দেশ গাম্বিয়া অভিযোগ আনে, মিয়ানমারের সেনাবাহিনী রোহিঙ্গাদের উপর বড় পরিসরে হত্যা, ধর্ষণ ও ধ্বংসযজ্ঞের মতো অপরাধ করেছে।
মিয়ানমারের বিরুদ্ধে এই বিচার শেষ হতে কয়েক বছর লাগবে। তবে রাখাইনে রোহিঙ্গাদের স্বাভাবিক জীবনযাপনের নিশ্চয়তা দিতে আগামী কয়েক মাসের মধ্যে মিয়ানমারকে অন্তবর্তীকালীন কিছু পদক্ষেপ নেওয়ার নির্দেশ দিতে পারেন আইসিজে। মিয়ানমার ১৯৫৬ সালে জাতিসংঘের গণহত্যা সনদে সই করেছে। এই সনদে স্বাক্ষরকারী কোনো দেশ আইসিজের কোনো নির্দেশনা অমান্য করে চলতে পারে না। এর ফলে রোহিঙ্গাদের ওপর নৃশংসতার অপরাধের অভিযোগে মিয়ানমার বড় ধরনের চাপে পড়তে যাচ্ছে।
আইসিজের ওয়েবসাইটে দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, নেদারল্যান্ডসের পিস প্যালেসে অবস্থিত আইসিজেতে আগামী মঙ্গলবার গাম্বিয়ার বক্তব্যের মধ্য দিয়ে রোহিঙ্গা গণহত্যা মামলার শুনানি শুরু হবে। ১১ ডিসেম্বর বক্তব্য উপস্থাপন করবে মিয়ানমার। এরপর ১২ ডিসেম্বর সকালে গাম্বিয়া পাল্টা যুক্তি দেবে মিয়ানমারের বিপক্ষে। আর দুপুরে মিয়ানমার গাম্বিয়ার জবাব দেবে। আইসিজেতে মিয়ানমারের পক্ষে বক্তব্য দেবেন দেশটির স্টেট কাউন্সেলর অং সান সুচি। মিয়ানমারের রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, ২০২০ সালের দ্বিতীয়ার্ধে অনুষ্ঠেয় নির্বাচনে নিজের ও দলের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতে হলে আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে দেশ ও সরকারের পক্ষে জোরালো যুক্তি উপস্থাপন করা ছাড়া সুচীর সামনে কোনও পথ নেই। ওই নির্বাচনে মিয়ানমারের সশস্ত্র বাহিনীর প্রধান সিনিয়র জেনারেল মিন অং লাইয়ের প্রতিদ্ব›িদ্বতা করার কথা রয়েছে। সম্পাদনা : ইকবাল খান