ডেস্ক রিপোর্ট:ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের দুই পাশের সার্ভিস লাইনের সড়কদ্বীপে (আইল্যান্ডে) চাষ হচ্ছে বিভিন্ন ধরনের শাক-সবজি। সড়কের পাশের বাসিন্দারা শখের বসে সবজি চাষ করে পরিবারের চাহিদা মেটাচ্ছেন। নানা রঙের এই সবজি সড়কের সৌন্দর্য বাড়িয়ে তুলেছে কয়েকগুন।
গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার শ্রীফলতলী থেকে টাঙ্গাইলের গোড়াই পর্যন্ত প্রায় ১২ কিলোমিটার আইল্যান্ডে সবজি চাষ হচ্ছে। আগাছা পরিষ্কার করে পরম যত্নে লালশাক, পুঁইশাক, পালংশাক, ঢেঁড়স, পেপেসহ বিভিন্ন প্রকার শাক-সবজি চাষ করছেন এলাকাবাসী।
এলাকাবাসী ও পথচারীরা বলেন, আগে সড়কদ্বীপ ময়লা আবর্জনায় ভরে থাকত। কিছু উৎসাহী মানুষ আইল্যান্ডে পরিষ্কার করে বিভিন্ন জাতের শাক-সবজি চাষ করতে শুরু করেন। তারা নিজেদের পরিবারের চাহিদা পূরণের পাশাপাশি এই সবজি বাজারে বিক্রি করে আর্থিকভাবে লাভবান হচ্ছেন। তাদের এই উদ্যোগের কারণে সড়কের সৌন্দর্য কয়েকগুন বেড়েছে।
আলাউদ্দিন নামে এক চাষি বলেন, “সড়কদ্বীপের ফাঁকা যায়গা নোংরা ও ঘন জঙ্গলে ভরা ছিল। এগুলো পরিষ্কার করে মৌসুমি সবজি চাষ করছি। ফলে পরিবারের সবজির চাহিদা পূরণ হচ্ছে। প্রতিবেশীরাও খাচ্ছেন। চাকরি এবং ব্যবসার পাশাপাশি অনেকে অবসর সময়ে সড়কদ্বীপে চাষবাদ শুরু করেছেন।”
ট্রাক চালক সমশের বলেন, “আমি বালির ট্রাক চালাই। আইল্যান্ডের মধ্যে সবজি চাষ করেছি। লোকজন বাহবা দেয়। অনেক ভালো ফলন হয়। আমাদের প্রয়োজন মিটিয়ে এই সবজি বিক্রিও করি। বাড়তি কিছু আয় হয়।”
সবজি চাষে জমি প্রস্তুতে ব্যস্ত এক কৃষক
এই সড়কে যাতায়াতকারী আব্দুল্লাহ বলেন, “সড়কের সৌন্দর্য অনেকগুন বৃদ্ধি পেয়েছে। গাড়িতে করে যাওয়ার সময় সড়কদ্বীপে সবুজের সমারোহ দেখতে ভালোই লাগে। যারা সবজি চাষ করছেন তাদের এই উদ্যোগকে স্বাগত জানাই।”
কালিয়াকৈর কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার আতিক আহম্মদ ফাত্তাহ বলেন, “আইল্যান্ডে সবজি চাষের বিষয়টি নজরে এসেছে। আমরা সবসময় যেকোনো ধরনের সবজি চাষকে উদ্বুদ্ধ করি। তাদের সার ও বীজসহ প্রয়োজনীয় সেবা পরামর্শ দিয়ে সহযোগিতা করতে চাই।”