বুধবার, ১৫ মে ২০২৪, ০৯:৪১ পূর্বাহ্ন
ব্রেকিং নিউজ:
প্রশ্ন ফাঁস : দুটি তদন্ত কমিটি করেছে উচ্চ আদালত

একুশে বার্তা প্রতিবেদন :  চলমান এসএসসি পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনায় দুটি তদন্ত কমিটি গঠন করে দিয়েছে হাইকোর্ট।

বুয়েটের অধ্যাপক মোহাম্মদ কায়কোবাদের নেতৃত্বে প্রশাসনিক কমিটি এবং ঢাকা জেলা ও দায়রা জজের নেতৃত্বে বিচারিক তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। এই দুই কমিটির সদস্য সংখ্যা হবে পাঁচজন করে।

একটি রিট আবেদনের শুনানি নিয়ে হাইকোর্টের একটি বেঞ্চ এই আদেশ দেয়।

প্রশ্ন ফাঁস ঠেকাতে ব্যর্থতা কেন অবৈধ হবে না, তা জানতে চেয়ে রুলও দিয়েছে আদালত।

রিটকারীদের আইনজীবী ব্যারিস্টার জ্যোতির্ময় বড়ুয়া সাংবাদিকদের বলেন, “বিচারিক তদন্ত কমিটির কাজ হচ্ছে, প্রশ্নফাঁসের সঙ্গে কারা জড়িত এবং তাদের শাস্তি কী হওয়া উচিত, তা খুঁজে বের করা এবং নির্ধারণ করা।

“প্রশাসনিক কমিটির কাজ হচ্ছে, প্রশ্নফাঁস প্রতিরোধে কী কী ব্যবস্থা গ্রহণ করা যায়, কী কী সমাধান আছে, সেগুলো নির্ধারণ করা।”

আদেশের কপি পাওয়ার সাত দিনের মধ্যে কমিটিকে কাজ শুরু করতে বলা হয়েছে বলে জানান ব্যারিস্টার বড়ুয়া। কমিটি দুটিকে সময় দেওয়া হয়েছে ৩০ দিন।

চলতি এসএসসি পরীক্ষা বাতিল করে নতুন প্রশ্নপত্র দিয়ে পুনরায় পরীক্ষা নেওয়া, প্রশ্ন ফাঁসের ঘটনায় বিচারিক ও প্রশাসনিক তদন্ত কমিটি গঠন এবং প্রশ্ন ফাঁসের অপরাধ দমনে আইন প্রণয়নের নির্দেশনা চেয়ে রিট আবেদনটি করা হয়।

গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রশ্নফাঁসের বিভিন্ন প্রতিবেদন যুক্ত করে আদালতে বুধবার রিট আবেদনটি করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী আইনুন্নাহার সিদ্দিকা, সিকদার মাহমুদুর রাজি, মো. রাজু মিয়া ও নূর মোহাম্মদ আজমী।

রুলের জবাব দুই সপ্তাহের মধ্যে দিতে বলা হয়েছে শিক্ষা সচিব, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা সচিব, আইন সচিব, আইন মন্ত্রণালয়ের ড্রাফটিং উইংয়ের সচিব, স্বরাষ্ট্র সচিব, তথ্য প্রযুক্তি সচিব, বিটিআরসি’র সচিব-চেয়ারম্যান, বিটিসিএল প্রধান, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক-চেয়ারম্যান, ঢাকা-রাজশাহী, কুমিল্লা-যশোর, চট্টগ্রাম, বরিশাল সিলেট, দিনাজপুর উচ্চ মাধ্যমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড ও মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান এবং পুলিশের মহাপরিদর্শককে।

রিট আবেদনকারী মাহমুদুর রাজি সাংবাদিকদের বলেন, “শুনানিতে আদালত বলেছে বাংলাদেশের শিক্ষা ব্যবস্থায় প্রশ্নফাঁস যে মহামারী আকার ধারণ করেছে যে, এটা মাদকাশক্তির চেয়ে একটি বড় ব্যাপার। আজকে যারা এসএসসি, এইচএসসি পরীক্ষার্থী আছে পাঁচ-দশ বছর পরে তারাই বাংলাদেশকে লিড করবে। তাদের অবস্থা যদি এরকম হয়ে যায় তাহলে জাতি কলাপস করার সম্ভাবনা আছে।”

এই ওয়েবসাইটের যে কোনো লেখা বা ছবি পুনঃপ্রকাশের ক্ষেত্রে ঋন স্বীকার বাঞ্চনীয় ।