মঙ্গলবার, ১৪ মে ২০২৪, ০৭:৩৯ অপরাহ্ন
ব্রেকিং নিউজ:
এক ঠিকাদারই পেয়েছে ১ হাজার ৬৭৯টি কার্যাদেশ :সিন্ডিকেড কবলে সওজ

নিউজ ডেক্স : সড়ক ও জণপথ অধিদপ্তরে (সওজ) ঘুরেফিরে একই ঠিকাদারা কাজ পাচ্ছেন। সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর (সওজ) দেশের সড়ক, মহাসড়ক ও সেতুর নির্মাতা প্রতিষ্ঠান। সওজের অধীনে বিপুল পরিমাণ কাজ চলমান। গত এক দশকের তালিকা পর্যালোচনা করলে দেখা যায়, এই বিপুল পরিমাণ কাজের ৫০ শতাংশই করছে সাত থেকে আটটি প্রতিষ্ঠান। গুটিকয়েক প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে নির্মাণকাজ চলতে থাকায় কাজের মানও খারাপ হচ্ছে। পাশাপাশি বাড়ছে সময় ও খরচ। অনিয়ম রোধে চালু করা হয় ইজিপি পদ্ধতি। এতেও পুরোপুরি স্বচ্ছতা নিশ্চিত করা যায়নি।

অধিদপ্তরের অনেক ঠিকাদারের অভিযোগ, দরপত্র প্রক্রিয়ার শর্তগুলো এমনভাবে নির্ধারণ করা হয়, যাতে শুধু গুটি কয়েক ঠিকাদারই কাজ পায়। অল্প কয়েকজন ঠিকাদার ছাড়া শর্তের জালে আটকা পড়ায় আর কেউ দরপত্র প্রক্রিয়ায়ই অংশ নিতে পারে না।

সওজ অধিদপ্তরের প্রকৌশলীরা বলছেন, ঠিকাদার বাছাইয়ে ম্যাট্রিক্স পদ্ধতির সুযোগ নিয়েছে গুটি কয়েক প্রতিষ্ঠান। এ পদ্ধতিতে ঠিকাদার নির্বাচন করা হয় ৩০০ নম্বরের ভিত্তিতে। এতে একজন ঠিকাদারের গত পাঁচ বছরের কাজের জন্য থাকে ১৪০ নম্বর। আরও ১০০ নম্বর থাকে সর্বশেষ পাঁচ বছরে পাওয়া কার্যাদেশের চুক্তিমূল্যে। আর ৬০ নম্বর দেওয়া হয় চলমান কাজের চুক্তিমূল্য নিরূপণের ভিত্তিতে। ফলে দরপত্রে অংশগ্রহণ করা যেসব ঠিকাদারের অতীতে ও বর্তমানে কাজ করার অভিজ্ঞতা বেশি, তাদের হাতেই কাজ যায় বেশি।

একই ঠিকাদারের বার বার কাজ পাওয়া ঠেকাতে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা রয়েছে। সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের সংসদীয় কমিটির আসন্ন বৈঠকেও সওজের এ বিষয়ে ব্যাখ্যা দেওয়ার কথা রয়েছে। এজন্য কিছু সুপারিশ পাঠিয়েছে সংস্থাটি। সেখানে বলেছে, ‘বিষয়টি নিরসনে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনার পরিপ্রেক্ষিতে সরকারের সেন্ট্রাল প্রকিউরমেন্ট টেন্ডার ইউনিট (সিপিটিইউ) কাজ করে যাচ্ছে। ইতোমধ্যে উন্মুক্ত দরপত্র প্রক্রিয়ায় কিছু সংশোধনের প্রস্তাব সওজ অধিদপ্তরসহ অন্যান্য সরকাররি সংস্থা হতে সিপিটিইউতে প্রেরণ করা হয়েছে।’

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে একই ঠিকাদারের কাজ করার ক্ষেত্রে আর্থিক সক্ষমতার ঘাটতি থাকে। তাছাড়া উপকরণ ও জনবলের জোগান দেওয়া কঠিন হয়ে পড়ে। ফলে কমিশনের মাধ্যমে ছোট প্রতিষ্ঠানকে দিয়ে কাজ সারা হয়। এতে কাজের মানের ক্ষেত্রে আপস করতে হয়। সংশ্লিষ্ট প্রকৌশলীদের ম্যানেজ করে দায়সারা গোছের কাজ সম্পন্ন করে ঠিকাদাররা। কিছু ক্ষেত্রে সওজের প্রকৌশলীরা বেঁকে বসলে বদলি বা অন্য শাস্তির হুমকি দেওয়া হয়। কেউবা দুদকের নাম ভাঙিয়ে ফায়দা হাসিলের চেষ্টা করেন। উটকো ‘ঝামেলা’ এড়াতে ক্ষেত্রবিশেষে সওজের প্রকৌশলী-কর্মকর্তা ও ঠিকাদারের মধ্যে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে চলার চেষ্টা চলে। এর খেসারত হিসেবে বাড়ছে সড়কের দাম। প্রতি কিলোমিটার সড়ক নির্মাণে প্রতিবেশী ভারত ও চীনের তুলনায় অনেক বেশি অর্থ ব্যয় করে বাংলাদেশ। সড়কে এ বাড়তি খরচের বিষয়টি এরই মধ্যে আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সংস্থার আলোচনায় উঠে এসেছে। এর পেছনে নির্মাণ ব্যয়ে অস্বচ্ছতা, নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কাজ শেষ না হওয়া এবং দরপত্রে প্রতিযোগিতা না থাকাকে দায়ী করা হচ্ছে।

বিশ্বব্যাংকের তথ্য বলছে, চার লেন সড়ক নির্মাণে ভারতে প্রতি কিলোমিটারে ১১ থেকে ১৩ লাখ ডলার এবং চীনে ১৩ থেকে ১৬ লাখ ডলার খরচ হয়। সেখানে বাংলাদেশে চার লেন সড়কগুলোর প্রতি কিলোমিটারে সর্বনিম্ন ২৫ লাখ ডলার ব্যয় হয়েছে।

কেবল সওজ নয়, সরকারের বিভিন্ন সংস্থায় ঠিকাদারদের সিন্ডিকেট রয়েছে। এ অবস্থা থেকে নিস্তার পেতে ইতোমধ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘দরপত্র এমনভাবে তৈরি করতে হবে, যাতে নির্দিষ্ট কোনো ঠিকাদার বা বড় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান বারবার কাজ না পায়। নতুন ঠিকাদার যাতে কাজ পায়, তা নিশ্চিত করতে হবে।’

‘মুষ্টিমেয় ঠিকাদার অধিকাংশ কাজ পেয়ে যাচ্ছে’ এমন আলোচনা হয়েছে সওজের একটি সভায়। সিনিয়র ম্যানেজমেন্ট কমিটির ওই সভায় একই ঠিকাদার এক সঙ্গে অনেক কাজ করায় গুণগত মান বজায় রেখে যথাসময়ে কাজ বাস্তবায়ন করা সম্ভব হচ্ছে না বলে মত দিয়েছেন অধিদপ্তরের জ্যেষ্ঠ প্রকৌশলীরা।

এদিকে সড়ক পরিবহন ও সেতু বিভাগের বিভিন্ন কাজে একই প্রতিষ্ঠান একাধিকবার ঠিকাদারির কাজ পায় কিনা তা খতিয়ে দেখতে বলেছিল সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি। পরে বিষয়টি স্বীকারও করেছে সওজ। সংসদীয় কমিটিসহ সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ে বিদ্যমান সমস্যা থেকে পরিত্রাণের কিছু পথ বাতলে দিয়েছে সংস্থাটি।

সওজ সূত্র জানায়, ঘুরেফিরে একই প্রতিষ্ঠান সব কাজ হাতিয়ে নিচ্ছে। যদিও এদের বেশির ভাগেরই এত বেশি কাজ করার প্রয়োজনীয় সক্ষমতা নেই। নেই প্রয়োজনীয় নির্মাণ উপকরণও। কাজ পাওয়ার জন্য একই ব্যাংকঋণ সব দরপত্র প্রক্রিয়ায় ব্যবহার করা হচ্ছে। দরপত্র প্রক্রিয়ায় প্রভাব খাটিয়ে এসব ঠিকাদার সড়কের কাজগুলো বাগিয়ে নিচ্ছে। তাই নির্দিষ্ট কমিশন নিয়ে ছোট ঠিকাদারদের মধ্যে কাজ বিক্রি করে দিচ্ছে তারা। রয়েছে লাইসেন্স ভাড়া দেওয়ার অভিযোগও।

সংশ্লিষ্টরা জানান, কিছু ক্ষেত্রে রাজনৈতিক হস্তক্ষেপে প্রকৌশলীরা মাঠ পর্যায়ে সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন করতে পারেন না এমন অভিযোগ করেছেন। কিছু ক্ষেত্রে নিজেরাই ঠিকাদারের সঙ্গে আঁতাত করেন। বড় বড় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান অধিকাংশ কাজ পাচ্ছেন দরপত্রের শর্তের জোরে। একে বলা যায় দরপত্রের পদ্ধতিগত ত্রুটি। কারণ ঠিকাদার চূড়ান্ত করার ক্ষেত্রে ক্যাপাসিটি ফর্মুলা, পাস্ট পারফরম্যান্স ম্যাট্রিক্স, ১০ শতাংশ ঊর্ধ্বসীমা/নিম্নসীমার মতো বিষয়গুলো থাকায় অভিজ্ঞ ঠিকাদাররা সহজেই কাজ পেয়ে যাচ্ছেন। অর্থাৎ যিনি একবার কাজ পেয়েছেন পরবর্তী সময় কাজ পাওয়া তার জন্যই সহজ। এতে করে নতুন ঠিকাদাররা কাজ পান না। আবার নিয়মিত ঠিকাদাররা কাজ পাওয়ার পর বড় ধরনের অনিয়ম না করলে শাস্তির সুযোগ কম।

গত ৭ বছরে শাস্তি পাওয়া ঠিকাদারের তালিকায় মাত্র ১২টি প্রতিষ্ঠানের নাম মিলেছে। কোনো প্রতিষ্ঠানকে দুই বছর, কাউকে ছয় মাসের জন্য নিষিদ্ধ করা হয়েছে। তাদের অপরাধ পর্যালোচনায় দেখা গেছে, দাখিলকৃত দলিলে জালিয়াতি অথবা নির্ধারিত সময়ে কাজ শেষ করতে না পারার অভিযোগ। প্রতিষ্ঠানগুলো হচ্ছে শহীদ এন্টারপ্রাইজ, তুর্না এন্টারপ্রাইজ, অরিয়েন্ট ট্রেডিং অ্যান্ড বিল্ডার্স, শামীম এন্টারপ্রাইজ, তাসনিয়া কনস্ট্রাকশন, আরশাদ আলী এন্টারপ্রাইজ, মাল্টিটেক ইঞ্জিনিয়ারিং, প্রজেক্ট বিল্ডার্স লিমিটেড (পিবিএল), ইঞ্জিনিয়ারিং প্ল্যানিং কনসালটেন্সি টিম ও মেসার্স রিচি এন্টারপ্রাইজ। এ প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে পিবিএল বড় ঠিকাদার।

জানা গেছে, বর্তমানে সড়ক ও জনপথ (সওজ) অধিদপ্তরে চলমান কাজের প্রায় ৫০ শতাংশই নিয়ন্ত্রণ করছে মুষ্টিমেয় কয়েকটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। সারাদেশে দরপত্র প্রক্রিয়ায় অংশ নেওয়া ঠিকাদারের সংখ্যা ৮৪৫। এর মধ্যে বর্তমানে দেশি-বিদেশি মিলিয়ে ২৩২টি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কাজ করছে। তাদের মধ্যে মাত্র সাত থেকে আটটি প্রতিষ্ঠানই এর অর্ধেক কাজ করছে। আর ২০টি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান রয়েছে দ্বিতীয় শীর্ষ অবস্থানে। অবশিষ্ট উন্নয়নকাজ ভাগাভাগি করে বাস্তবায়ন করছে ২১২টি প্রতিষ্ঠান।

সওজের তথ্যমতে, মোহাম্মদ আমিনুল হক প্রাইভেট লিমিটেড ২০১৫ সাল থেকে কাজ পেতে শুরু করেছে। মোহাম্মদ আমিনুল হক প্রাইভেট লিমিটেড ১ হাজার ৬৭৯টি কার্যাদেশ পেয়েছে, যা এ সময়ে সওজ থেকে হওয়া মোট কার্যাদেশের প্রায় ২০ শতাংশ। ২০১৭ সালে মাত্র একটি কাজ পাওয়া আমিনুল হক পরের বছরে পান ১৬০ কোটি টাকার ৪৫টি কাজ। ২০২০ সালে সর্বোচ্চসংখ্যক কাজ পায় তার প্রতিষ্ঠানটি। কাজের সংখ্যা ছিল ১ হাজার ১২৯টি। এসব কাজের চুক্তি মূল্য ৬৪৯ কোটি টাকা। শেষ দুই বছরে দেশের ৬৫টি সড়ক বিভাগের মধ্যে ৫৮টি বিভাগ থেকেই কাজ পেয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।

এছাড়া রানা বিল্ডার্স ৩ হাজার ৬১৮ কোটি, চায়না কনস্ট্রাকশন সেভেন ইঞ্জিনিয়ারিং গ্রুপ ১ হাজার ৫৯২ কোটি, ময়েনউদ্দিন (বাঁশি) লিমিটেড ১ হাজার ৩৬০ কোটি, এমএম বিল্ডার্স ১ হাজার ১৯৭ কোটি, আব্দুল মোনেম ১ হাজার ১৭৯ কোটি, স্পেকট্রা ১ হাজার ১৫১ কোটি, মজহার ১ হাজার ১৪৯ কোটি টাকার কাজ করছে বা করেছে। এরাসহ সওজের শীর্ষ ২০ ঠিকাদারের তালিকায় আছে ওয়াহিদ কনস্ট্রাকশন, মীর আখতার হোসেন লিমিটেড, মাহফুজ খান লিমিটেড, কনকর্ড প্রগতি কনসোর্টিয়াম লিমিটেড, হাসান টেকনো বিল্ডার্স লিমিটেড, তমা কনস্ট্রাকশন অ্যান্ড কোম্পানি লিমিটেড, আরএবি-আরসি (প্রাইভেট) লিমিটেড, তাহের ব্রাদার্স লিমিটেড, কেএমসি কনসোর্টিয়াম লিমিটেড, চায়না রেলওয়ে ব্যুরো গ্রুপ, হেনান হাইওয়ে ইঞ্জিনিয়ারিং গ্রুপ, মাসুদ হাইটেক ইঞ্জিনিয়ারিং লিমিটেড ও মাহবুব ব্রাদার্স (প্রাইভেট) লিমিটেড।

এসব প্রতিষ্ঠানের অনেকেই সুনামের সঙ্গে কাজ করছে। তবে কয়েকটির বিরুদ্ধে সময়মতো কাজ শেষ করতে না পারার অভিযোগ আছে। কিছু প্রতিষ্ঠান আছে, যারা স্থানীয় ঠিকাদারদের কাছে নির্দিষ্ট হারে কমিশন নিয়ে কাজ বিক্রি করেছেন। যদিও আইন অনুযায়ী একজন ঠিকাদার তার লাইসেন্সের বিপরীতে যথাযথ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে পাওয়া কাজের কোনো নির্দিষ্ট অংশ বাস্তবায়নের জন্য সহঠিকাদার নিযুক্ত করতে পারেন, পুরো কাজের জন্য পারেন না। আইনের লঙ্ঘন হলেও এভাবে ‘কাজ বিক্রি’ এখন সওজ অধিদপ্তরে ওপেন সিক্রেট।

এ বিষয়ে সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী এ কে এম মনির হোসেন পাঠান আমাদের সময়কে বলেন, মুষ্টিমেয় কিছু সংখ্যক ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান ছাড়া অন্য কোনো ঠিকাদার দরপত্র জমা দিতে না পারা এবং দরপত্র দাখিলে প্রতিষ্ঠানগুলোর যোগ্যতা সহজ করতে সিপিটিইউ কাজ করছে। এ নিয়ে সওজ থেকেও কিছু সুপারিশ পাঠানো হয়েছে সংশ্লিষ্ট দপ্তরে।

সওজ সূত্র জানিয়েছে, জিওবি বাজেটের দরপত্র ইজিপির (ইলেকট্রনিক গভর্নমেন্ট প্রকিউরমেন্ট) মাধ্যমে প্রক্রিয়াকরণ করা হয়। এ পদ্ধতিতে সশরীরে দরপত্র জমার প্রয়োজন না থাকায় সন্ত্রাসী বা অন্য কায়দায় বাধার অভিযোগ আসে না। আর উন্মুক্ত দরপত্র পদ্ধতিতে কোনো দরদাতা দরপত্রে প্রাক্কলিত ব্যয়ের ১০ শতাংশের অধিক কম বা অধিক বেশি দর উল্লেখ করলে ওই দরপত্র বাতিল বলে গণ্য করার বিধান রয়েছে। এমন বিধান থাকায় অনেক ক্ষেত্রেই কৃতকার্য দরদাতাদের উদ্ধৃত দরের সমতা তৈরি হয়। এ ক্ষেত্রে অতীত অভিজ্ঞতা বিবেচনায় নেওয়ার কারণে একই দরদাতাদের বারবার কাজ পাওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়। এটি ঠেকাতে সিপিটিইউ কাজ করে যাচ্ছে। ইতোমধ্যে উন্মুক্ত দরপত্র প্রক্রিয়ায় কিছু সংশোধনের প্রস্তাব সওজ অধিদপ্তরসহ অন্যান্য সরকারি সংস্থা থেকে সিপিটিইউতে পাঠানো হয়েছে।

এছাড়া ‘এক ধাপ দুই খাম দরপত্র’ পদ্ধতিতে প্রাক্কলিত মূল্যের ১০ শতাংশ বিষয়ক কোনো বিধান না থাকায় এক্ষেত্রে দরের সমতা তৈরি হওয়ার সম্ভাবনা খুবই কম। ফলে একই ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের বারবার কাজ পাওয়ার সুযোগ কমে যাবে। এর বাইরে অপেক্ষাকৃত ক্ষুদ্র আকারের (৫০ লাখ টাকার প্যাকেজের) কাজের জন্য সওজ মাঠ পর্যায়ের দপ্তরকে সীমিত দরপত্র পদ্ধতি প্রয়োগের অনুমতি দিয়েছে। এতে করে দরের সমতার ক্ষেত্রে লটারি করার সুযোগ থাকায় যে কোনো দরপত্রদাতার কাজ পাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। এ ক্ষেত্রেও একই ঠিকাদার বারবার কাজ পাওয়ার সুযোগ কম পাবে।

সওজের প্রস্তাবে আরও বলা হয়েছে, সীমিত দরপত্র পদ্ধতিতে তিন কোটি টাকা পর্যন্ত অভ্যন্তরীণ কার্যক্রয়ের ক্ষেত্রে দরদাতার যোগ্যতা নির্ধারণে কার্য সম্পাদনের অতীত অভিজ্ঞতার প্রয়োজন হয় না। বর্তমানে সওজ অধিদপ্তরে ৫০ লাখ টাকা পর্যন্ত অভ্যন্তরীণ কার্যক্রয়ের ক্ষেত্রে সীমিত দরপত্র পদ্ধতি প্রয়োগের সংস্থান রয়েছে। এ ক্ষেত্রেও অন্যদের কৃতকার্য হওয়ার সুযোগ রয়েছে। ভবিষ্যতে অভ্যন্তরীণ কার্যক্রয়ের ক্ষেত্রে সওজ অধিদপ্তরের আওতায় ৩ কোটি টাকা পর্যন্ত কার্যক্রয়ে সীমিত দরপত্র পদ্ধতি প্রয়োগের অনুমতি গ্রহণের জন্য উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে। অামাদের সময়

 

এই ওয়েবসাইটের যে কোনো লেখা বা ছবি পুনঃপ্রকাশের ক্ষেত্রে ঋন স্বীকার বাঞ্চনীয় ।