রবিবার, ১৯ মে ২০২৪, ০৭:৪৪ পূর্বাহ্ন
ব্রেকিং নিউজ:
ঢাকা কাস্টমস হাউজের কুরিয়ারে পাচার সিন্ডিকেট সদস্যরা দেড়যুগ ধরে সক্রিয়

বিশেষ সংবাদদাতা : ঢাকা কাস্টমস হাউজের কুরিয়ার শুল্কায়নে পাচারকারি সিন্ডিকেট দেড়যুগ ধরে সক্রিয় রয়েছে। মিজান, রাইতুল, ভাগিনা মুখলেসের নেতুত্বে পাচারকারিদের পোয়াবারো। কাস্টমসের সংশ্লিষ্ট সব বিভাগ, আইনশৃংখলা রক্ষাকারি বাহিনীর সদস্য, বিমান নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদের সাথে কন্ট্রাক্টে ভুয়া ডকুমেন্টে কুরিয়ার শুল্কায়ন গেট দিয়ে প্রতিদিন দেদারচ্ছে পন্য পাচার করে নিয়ে যাচ্ছে। আর এ সুবাধে পাচার সংশ্লিষ্ট কাজের সাথে জড়িতরা অল্পদিনের মধ্যে আংগুল ফুলে কলাগাছ হচ্ছে। পাচার কাজের সংশ্লিষ্ট মিজান, রাইতুল, মুখলেস কুরিয়ারকে নিয়ন্ত্রণ করছে।
সূত্রে জানা গেছে, কুরিয়ার শুল্কায়নে সব খাচার কাজ করছে পাচার সিন্ডিকেট সদস্য মিজান, রাইদুল, মুখলেস। এই তিন প্রভাবশালি সিন্ডিকেট সদস্য প্রভাব বিস্তার করে পুরো কুরিয়ার পাচার বাণিজ্য নিয়ন্ত্রণ করছে। একচ্ছত্র প্রভাব বিস্তারকারি এই তিন সদস্য গত ১৫ বছরে কোটি কোটি টাকার মালিক বনে গেছে। এদের রাজধানীর বসুন্ধরা শপিংমলসহ রাজধানির বিভিন্ন অভিজাত মার্কেটে দোকানপাটসহ উত্তরা এলাকায় একাধিক অফিসসহ নামে বেনামে প্লট, ফ্লাট, এলাকায় শত শত বিঘা সম্পত্তির মালিক হয়েছেন।
সূত্র জানায়, সেসালের বস্তায় পন্য ভরে পাচারসহ বন্ড সুবিধায় পন্য পাচার, মিথ্যা ঘোষনায় পন্য পাচারে নেতৃত্ব দিয়ে যাচ্ছে এই পাচারকারি সিন্ডিকেট। প্রতিদিন শতাধিক গার্মেন্স ডকুমেন্টের সাথে মিস ডিক্লারেশন দিয়ে দামি দামি স্পেয়ার পার্টস, মোবাইল, মেমরি কার্ড, বিভিন্ন দামি দামি ট্যাক্সএবল আইটেম ট্যাক্স না দিয়ে পাচার করছে। অরজিনাল পেপার কাস্টমসে জমা না দিয়ে তা গোপন করে পকেটে করে বীরদর্পে নিয়ে চলে যাচ্ছে। এ ভাবে প্রায় ১৫ বছর ধরে তাদের দখলে রয়েছে কুরিয়ার. প্রশাসন তাদের হাতে জিম্মি, তারা একচ্ছত্র প্রভাব বিস্তার করছে, তারা রাজনৈতিক প্রভাবও বিস্তার করছে। পুলিশ প্রশাসনসহ সব প্রশাসনকে টাকা দিয়ে ম্যানেজ করায় কেউ তাদের বিরুদ্বে আইনগত ব্যবস্থা নেয় না।
সূত্র জানায়, আইনশৃংখলা বাহিনীর সদস্যরা মাঝেমধ্যে কুরিয়ারে অভিযান চালিয়ে পাচারকারিদের গ্রেফতার মামলা করলেও পরবর্তীতে যে তিমিরে ছিল সেই তিমিরেই চলে আসে। গতমাসে এই পাচারকারি সিন্ডিকেট সদস্যরা এক আওয়ামীলীগ নেতার গামেন্টস পন্য বন্ড সুবিধায় পাচারের সময় গোয়েন্দা সংস্থা অভিযান চালিয়ে পাচার সিন্ডিকেটের ৫ সদস্যকে গ্রেফতার করে, পন্য জব্দ করে। এ ব্যাপারে বিমানবন্দর থানায় মামলা হয়েছে। গ্রেফতারকৃতরা জামিনে এসে আবার পাচার বাণিজ্যে নেমে পড়েছে।
সূত্র জানায় , কুরিয়ারে পাচার সিন্ডিকেট সদস্যরা ৬ কাস্টমস কর্মকর্তাকে গত বছর মারধর করে প্রায় ৩০ কোটি টাকার পন্য পাচার করে নিয়ে যায়। এ ব্যাপারেও বিমানবন্দর থানায় মামলা হয়। গ্রেফতার হয় পাচারের মূল হোতারা। জেল খেটে জামিনে এসে আবার পাচার বাণিজ্যে নেতৃত্ব দিচ্ছে।
নাম প্রকাশে একজন এআরও জানান, কুরিয়ারে ওদের টাকায়ই আমরা বেচে আছি। ওরা সব খাচা থেকে টাকা সংগ্রহ করে থাকে। সৎ ব্যবসায়ীরা ওদের সাথে কুলিয়ে ওঠে ব্যবসা করতে পারছে না। তাই সৎ ব্যবসায়ীরা এ ব্যাপারে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। ক্রমশ

এই ওয়েবসাইটের যে কোনো লেখা বা ছবি পুনঃপ্রকাশের ক্ষেত্রে ঋন স্বীকার বাঞ্চনীয় ।