এসএসসি : ১৫ বছরে সর্বনিম্ন পাস, জিপিএ-৫-এ সবার উপরে ঢাকা বোর্ড, ১৩৪ প্রতিষ্ঠানে পাসশূন্য

নিউজ ডেক্স : মাধ্যমিক (এসএসসি) ও সমমানের পরীক্ষায় পাসের হার ও জিপিএ-৫ দুটিই কমেছে। এবার পাসের হার ৬৮ দশমিক ৪৫ শতাংশ। যা গত ১৫ বছরের মধ্যে সবচেয়ে কম। গত বছর পাসের হার ছিল ৮৩ দশমিক ৪ শতাংশ। অর্থাৎ গত বছরের তুলনায় এ বছর পাসের হার কমেছে ১৪ দশমিক ৯৫ শতাংশ। ২০২৩ সালে এসএসসিতে পাসের হার ছিল ৮০ দশমিক ৩৯ শতাংশ এবং ২০২২ সালে ছিল ৮৭ দশমিক ৪৪ শতাংশ। করোনাভাইরাস মহামারির মধ্যে সংক্ষিপ্ত সিলেবাসে হওয়া ২০২১ সালের এসএসসি পরীক্ষায় পাসের হার ছিল সর্বোচ্চ ৯৩ দশমিক ৬ শতাংশ। ২০১০ সালে গড় পাসের হার ৭৮ দশমিক ৯১ শতাংশের পর এই সময়ের মধ্যে কেবল ২০১৮ সালে পাসের হার ছিল সবচেয়ে কম ৭৭ দশমিক ৮ শতাংশ। তবে সেটিও ছিল এবারের চেয়ে অনেক বেশি। এর আগে ২০০৯ সালে পাসের হার ছিল ৬৭ দশমিক ৪১ শতাংশ। এবার পাসের ঢেউয়ে লাগাম।

টানা প্রায় ১৫ বছর ক্ষমতায় থাকাকালে পরীক্ষার ফলাফল ফুলিয়ে-ফাঁপিয়ে প্রকাশের অভিযোগ ছিল আওয়ামী লীগ সরকারের বিরুদ্ধে। বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার সেই পথে হাঁটেনি। শিক্ষা উপদেষ্টা প্রফেসর চৌধুরী রফিকুল আবরার ও শিক্ষা বোর্ডগুলোগুলোর কর্মকর্তাদের দাবি, কাউকে বাড়তি নম্বর বা গ্রেস মার্কস না দেওয়ায় ‘প্রকৃত ও সত্য’ ফল উঠে এসেছে।

বৃহস্পতিবার ৯টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ডের অধীন এসএসসি, মাদরাসা শিক্ষা বোর্ডের অধীনে দাখিল এবং কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের অধীন এসএসসি ও দাখিল ভোকেশনাল পরীক্ষার ফল প্রকাশ হয়েছে। যদিও এ উপলক্ষে আনুষ্ঠানিকতা রাখা হয়নি। শিক্ষা বোর্ডগুলো আলাদা আলাদাভাবে ফল প্রকাশ করেছে। তবে আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির পক্ষে কমিটির সভাপতি ও ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক খন্দোকার এহসানুল কবির দুপুরে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় করে ফলাফলের বিভিন্ন তথ্য তুলে ধরেন।

প্রকাশিত ফলে দেখা যায়, ৯টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ডের এসএসসিতে ৬৮ দশমিক ০৪ শতাংশ শিক্ষার্থী পাস করেছে। এ ছাড়া মাদরাসা বোর্ডের দাখিলে পাসের হার ৬৮ দশমিক ০৯ শতাংশ ও কারিগরি শিক্ষা বোর্ডে ৭৩ দশমিক ৬৩ শতাংশ। স্কুলের গণ্ডি পেরোনো এই শিক্ষার্থীদের মধ্যে ১ লাখ ৩৯ হাজার ৩২ জন জিপিএ-৫ পেয়েছে, যা পাস করা মোট শিক্ষার্থীর ১০ দশমিক ৬৬ শতাংশ। গত বছর জিপিএ-৫ পেয়েছিল ১ লাখ ৮২ হাজার ১২৯ জন। এ হিসাবে জিপিএ-৫ পাওয়া শিক্ষার্থীর সংখ্যা কমেছে ৪৩ হাজার ৯৭ জন।

এবার ৩০ হাজার ৮৮টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে ১৯ লাখ ৪ হাজার ৮৬ জন শিক্ষার্থী এসএসসি ও সমমান পরীক্ষায় অংশ নিয়েছে। তাদের মধ্যে পাস করেছে ১৩ লাখ ৩ হাজার ৪২৬ জন। এবারও জিপিএ-৫ ও পাসের হারে এগিয়ে মেয়েরা। পরীক্ষার্থীদের মধ্যে ছাত্রী ৯ লাখ ৫২ হাজার ৩৮৯ জন, ছাত্র ৯ লাখ ৫১ হাজার ৬৯৭ জন। তাদের মধ্যে ৬ লাখ ৭৬ হাজার ৪৪৫ জন ছাত্রী ও ৬ লাখ ২৬ হাজার ৯৮১ জন ছাত্র পাস করেছে। এ হিসাবে ছাত্রীদের পাসের হার ৭১ দশমিক ০৩ শতাংশ এবং ছাত্রদের পাসের হার ৬৫ দশমিক ৮৮ শতাংশ।

এ বছর পাসের হারে শীর্ষে রয়েছে রাজশাহী শিক্ষা বোর্ডের শিক্ষার্থীরা। এ বোর্ডে এবার সবচেয়ে বেশি ৭৭ দশমিক ৬৩ শতাংশ শিক্ষার্থী পাস করেছে। আর সবচেয়ে কম পাস করেছে বরিশাল বোর্ডে, ৫৬ দশমিক ৩৮ শতাংশ। এর আগে ২০২৪ সালে যশোর বোর্ডে সবচেয়ে বেশি ৯২ দশমিক ৩৩ শতাংশ শিক্ষার্থী পাস করেছিল। আর সবচেয়ে কম পাশের হার ছিল সিলেট বোর্ডে ৭৩ দশমিক ৩৫ শতাংশ।

প্রতিবারের মতো এবারও জিপিএ-৫ এ সবার ওপরে রয়েছে ঢাকা বোর্ডের শিক্ষার্থীরা, এ শিক্ষা বোর্ডের ৩৭ হাজার ৬৮ জন শিক্ষার্থী জিপিএ-৫ পেয়েছে। ২০০১ সালে এসএসসিতে গ্রেডিং পদ্ধতি চালুর পর থেকেই এই স্থানটি ধরে রেখেছে ঢাকার শিক্ষার্থীরা। জিপিএ-৫ পাওয়া শিক্ষার্থীর সংখ্যাতেও পিছিয়ে রয়েছে বরিশাল বোর্ড। এই বোর্ডের ৩ হাজার ১১৪ জন শিক্ষার্থী এবার জিপিএ-৫ পেয়েছে।

এবারের এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় ১৩৪টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে একজন পরীক্ষার্থীও পাস করতে পারেনি। গতবারের চেয়ে এমন প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ৮৩টি বেড়েছে। গতবার শূন্য পাস করা প্রতিষ্ঠান ছিল ৫১টি।

ওয়ান-ইলেভেন সরকারের বিদায়ের পর ২০১০ সালে সরকার গঠন করে আওয়ামী লীগ। শেখ হাসিনা সরকারের অধীনে অনুষ্ঠিত প্রথম এসএসসি ও সমমান পরীক্ষায় পাসের হার এক লাফে প্রায় ১৩ শতাংশের বেশি বেড়ে যায়। সে বছর গড় পাসের হার ছিল ৮০ দশমিক ৭৪ শতাংশ। এরপর থেকে ধারাবাহিকভাবে ৮০ শতাংশের ওপরে পাসের হার দেখা যায়। ২০১১ সালে পাসের হার দাঁড়ায় ৮২ দশমিক ১৬ শতাংশ, ২০১২ সালে ৮৬ দশমিক ৩৭ শতাংশ, ২০১৩ সালে ৮৯ দশমিক ৩৪ শতাংশ, ২০১৪ সালে ৯১ দশমিক ৩৪ শতাংশ, ২০১৫ সালে ৮৭ দশমিক ০৪ শতাংশ, ২০১৬ সালে ৮৮ দশমিক ৭০ শতাংশ, ২০১৭ সাল ৮০ দশমিক ৩৫ শতাংশ, ২০১৮ সালে ৭৭ দশমিক ৭৭ সাল, ২০১৯ সালে ৮২ দশমিক ২০ শতাংশ, ২০২০ সালে ৮২ দশমিক ৮৭ শতাংশ, ২০২১ সালে ৯৩ দশমিক ৫৮ শতাংশ (করোনার বছরে অটোপাস), ২০২২ সালে ৮৭ দশমিক ৪৪ শতাংশ, ২০২৩ সালে ৮০ দশমিক ৩৯ শতাংশ এবং ২০২৪ সালে পাসের হার ছিল ৮৩ দশমিক ০৪ শতাংশ।

চলতি বছর যে শিক্ষার্থীরা এসএসসি ও সমমান পরীক্ষায় বসেছেন তারা ২০১২ সালে প্রণীত শিক্ষাক্রমে নবম ও দশম শ্রেণিতে পড়েছিলেন। গত বছরের মতোই এবারের এসএসসি ও সমমান পরীক্ষা হয়েছে পূর্ণাঙ্গ সিলেবাসে, সব বিষয়ে পূর্ণ নম্বর ও সময়ে। রেওয়াজ ছিল ফেব্রুয়ারিতে এসএসসি ও সমমান পরীক্ষা নেওয়ার। কোভিড-১৯ মহামারির জেরে তিন বছর ফেব্রুয়ারিতে এ পরীক্ষা নেওয়া সম্ভব হয়নি। তবে ২০২৪ সালে ফেব্রুয়ারিতেই শুরু হয়েছিল এসএসসি ও সমমান পরীক্ষা। আর এবার ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের পর দুই মাস পিছিয়ে এসএসসি ও সমমান পরীক্ষা শুরু হয়েছিল ১০ এপ্রিল। লিখিত পরীক্ষা শেষ হয় গত ১৩ মে। ১৫ থেকে ২২ মে মধ্যে নেওয়া হয় ব্যবহারিক পরীক্ষা।

বিগত বছরগুলোতে পাসের হার কৃত্রিমভাবে বেশি দেখানো হয়েছিল বলে দাবি আন্তঃশিক্ষাবোর্ড সমন্বয় কমিটির সভাপতি ও ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. খন্দোকার এহসানুল কবিরের। গতকাল তিনি বলেন, পরীক্ষায় এবার ওভার মার্কিং ও আন্ডার মার্কিং না করে যথাযথভাবে খাতা মূল্যায়ন হওয়ায় প্রকৃত পাসের হার পাওয়া সম্ভব হয়েছে। বিগত বছরগুলোতে সাবজেক্ট ম্যাপিং ও নম্বর বাড়িয়ে দিয়ে পাসের হার বেশি দেখানো হতো।

বরিশাল মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মো. শহীদুল ইসলাম জানান, এবার শহর থেকে গ্রামের শিক্ষার্থীদের পরীক্ষা খারাপ হয়েছে। মেয়েদের তুলনায় ছেলেরা খারাপ করেছে। এই বোর্ডে পরীক্ষার মূল্যায়নে গণিত, ইংরেজি ও বাণিজ্য বিভাগে তুলনামূলক ফল খারাপ হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, আমরা এর কারণ খুঁজছি, এ থেকে শিক্ষা নিয়ে আগামীতে ভালো ফলাফলের চেষ্টা করা হবে।

মতিঝিল আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মোহাম্মদ ফেরদাউস বলেন, পাঠ্যক্রমের পরিবর্তন ও জুলাই গণঅভ্যুত্থানের কারণে শিক্ষার্থীরা ঠিকভাবে ক্লাস পায়নি। এ ছাড়া সিলেবাসেও কিছু সমস্যা ছিল। এ কারণে তাদের মধ্যে শিখন ঘাটতি ছিল। তিনি আরও বলেন, বিগত সরকারের আমলে শিক্ষার্থীদের ‘মার্সি নম্বর’ দেওয়ার প্রবণতা ছিল। এবার সরকার, শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও শিক্ষা বোর্ডগুলোর পক্ষ থেকে প্রাপ্য নম্বরই দিতে বলা হয়েছে। এ নির্দেশনাকে আমরা স্বাগত জানাই। শিক্ষার্থীরা ঢালাওভাবে নম্বর পেয়ে পাস করলে অনেক সময় দেখা যায় তারা সামনে গিয়ে ভালো করতে পারে না, এটি কাম্য নয়। এ জন্য আপাতদৃষ্টিতে কিছু ফেল থাকলেও ভবিষ্যতে শিক্ষাক্ষেত্রে বৈপ্লবিক পরিবর্তন আসবে। শিক্ষার্থীরা পড়াশোনা করে পরীক্ষায় বসবে।

ফল প্রকাশের আগের দিনই তিনি এবারের এসএসসি পরীক্ষার ফল যে খারাপ হবে, তার ইঙ্গিত দেন। গণমাধ্যমে দেওয়া বক্তব্যে শিক্ষা উপদেষ্টা প্রফেসর চৌধুরী রফিকুল আবরার বলেন, সরকারের সাফল্য দেখানোর জন্য ছাত্র-ছাত্রীদের নম্বর বাড়িয়ে দিয়ে জিপিএ-৫-এর সংখ্যা বাড়িয়ে ফুলিয়ে-ফাঁপিয়ে ফল প্রকাশ করা হতো। এমনকি সে ফল প্রকাশ নিয়ে এক ধরনের ফটোসেশনের আয়োজন ছিল সরকারপ্রধানের। শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যানরা পরীক্ষার ফলাফলের বই-পত্র নিয়ে শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর কাছে যেতেন এবং প্রধানমন্ত্রী তখন তাদের নিয়ে ফটোসেশন করে রেজাল্ট প্রকাশ করতেন। আমাদের অন্তর্বর্তী সরকার এটিকে বাহুল্য মনে করছে। এটি থেকে সরে এসে শিক্ষার্থীদের পরীক্ষার খাতার প্রকৃত মূল্যায়নে শিক্ষা বোর্ডগুলোকে নির্দেশ দিয়েছে।

গণিতে কূপকাত : বিগত বছরের চেয়ে এবার পাসের হার কমেছে ১৪ দশমিক ৫৯ শতাংশ। মূলত গণিত বিষয়ে ফেল করার কারণে এবার ফল খারাপ করেছে অধিকাংশ বোর্ড। যে শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষার্থীরা গণিত বিষয়ে ভালো করেছে, সেখানে গড় পাসের হারও বেড়েছে। প্রকাশিত ফল বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, এবার পাসের হারে সবচেয়ে নিচে রয়েছে বরিশাল বোর্ড। এ বোর্ডে পাসের হার মাত্র ৫৬ দশমিক ৩৮ শতাংশ। অর্থাৎ প্রতি ১০০ জনে ফেল করেছে প্রায় ৪৪ জন। বোর্ড সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বরিশাল বোর্ডে এবার ফল বিপর্যয়ের নেপথ্যে গণিতের ভরাডুবি বড় কারণ। এবার বোর্ডটিতে গণিতে পাসের হার ৬৪ দশমিক ৬২ শতাংশ। অর্থাৎ বরিশাল বোর্ডে প্রতি ১০০ জনে ৩৫ জনই গণিতে ফেল করেছে। একই অবস্থা ময়মনসিংহ বোর্ডেরও। এ বোর্ডে গড় পাসের হার মাত্র ৫৮ দশমিক ২২ শতাংশ। প্রকাশিত ফলাফলে দেখা যায়, ময়মনসিংহ বোর্ডে গণিতে পাসের হার মাত্র ৬৪ দশমিক ২৭ শতাংশ। যার ধাক্কা লেগেছে গড় পাসের হারেও। এ ছাড়া ঢাকা, কুমিল্লা, দিনাজপুর ও মাদরাসা শিক্ষা বোর্ডেও গণিতে পাসের হার ৭০ শতাংশের ঘরে। ঢাকা বোর্ডে গণিতে পাস করেছেন ৭৫ দশমিক ১৪ শতাংশ শিক্ষার্থী। কুমিল্লায় ৭২ দশমিক শূন্য ১ শতাংশ, দিনাজপুরে ৭১ দশমিক ৩৫ শতাংশ এবং মাদরাসা বোর্ডে ৭৯ দশমিক ৭৩ শতাংশ। ফলে এ বোর্ডগুলোতেও গড় পাসের হার ‘সন্তোষজনক’ হয়নি। তবে পাসের হারে ভালো অবস্থানে থাকা রাজশাহী বোর্ডের পরীক্ষার্থীরা গণিতে বেশ ভালো করেছে। এ বোর্ডে গড় পাসের হার ৭৭ দশমিক ৬৩ শতাংশ। আর গণিতে পাসের হার ৮৬ দশমিক ৫২ শতাংশ। দ্বিতীয় স্থানে থাকা যশোর বোর্ডও গণিতে তুলনামূলক ভালো ফল করেছে। এ বোর্ডে গণিত বিষয়ে পাসের হার ৮৫ দশমিক শূন্য ২ শতাংশ। গড় পাসের হারে তৃতীয় অবস্থানে থাকা কারিগরি শিক্ষা বোর্ডে গণিতে পাসের হার সবচেয়ে বেশি। এ বোর্ডে গণিত বিষয়ে পাস করেছেন ৮৮ দশমিক ৭২ শতাংশ শিক্ষার্থী। এ ছাড়া গণিতে ৮০ শতাংশের বেশি পাসের হার রয়েছে চট্টগ্রাম ও সিলেট শিক্ষা বোর্ডে।