রবিবার, ১৯ মে ২০২৪, ১১:৩৯ পূর্বাহ্ন
ব্রেকিং নিউজ:
গোয়েন্দা তথ্য শাহজালালে বিমানসহ ১২ টি এয়ার লাইন্সের কর্মীরা পাচারে জড়িত

বাশার : হযরত শাহজালাল বিমানবন্দরে স্বর্ন, মানবসহ অন্যান্য পাচারে বাংলাদেশ বিমানসহ ১২ টি এয়ার লাইন্সের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা জড়িত রয়েছে বলে গোয়েন্দারা জানতে পেরেছ্।ে এদের ওপর গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি করা হচ্ছে। গত বুধবার সাড়ে ৯ কেজি সোনা পাচারে জড়িত রিজেন্ট এয়ার লাইন্সের ৩ জন এবং গত ১৪ অক্টোবর শনিবার দেড় কেজি সোনা পাচারের সাথে বিমানের কর্মকর্তা ওমর ফারুক গ্রেফতার হয়েছে। ইতিপূর্বে ৪১ মণ সোনা পাচারের সাথে বিমানের কয়েক কর্মকর্তা জেল খেটেছেন বলে গোয়েন্দা সূত্রে জানা গেছে। একটি প্রভাবশালী গোয়েন্দা সংস্থার অভিমত হচ্ছে শাহজালালে সোনা ও মানব পাচারের সাথে বিমানের কর্মকর্তা- কর্মচারীরাই জড়িত রয়েছে। এটা কোন বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়- যতগুলো সোনা চোরাচালানের ঘটনা ধরা পড়েছে প্রায় প্রতিটি পাচার ঘটনার সাথে বিমানের কোন না কোন কর্মকর্তা-কর্মচারীর জড়িত থাকার খবর বেরিয়ে এসেছে।সূত্রে জানা গেছে, গত বুধবার রাতে শাহজালালের ৮ নং হ্যাংগার গেট দিয়ে সাড়ে ৯ কেজি সোনা একটি গাড়িতে করে পাচার করে নিয়ে যাবার গোপন সংবাদ পেয়ে মহানগর গোয়েন্দা পুলশ সাড়াশি অভিযান চালিয়ে বিমানবন্দরের গোলচত্বর এলাকা থেকে তা জব্দ করে। এর সাথে জড়িত থাকার দায়ে তিনজনকে গ্রেফতার করেছে। পুলিশ সোনা বহনকৃত গাড়িটিও জব্দ করেছে। গ্রেফতারকৃতরা হলো: ফারুক আহমদ, মীর হোসেন, মো. শাহিন। গ্রেফতারকৃত তিনজনই রিজেন্ট এয়ারওয়েেেজর কর্মচারি। অনেকদিন আগে বন্ধ হয়ে যাওয়া একটি বেসরকারি এয়ার লাইন্সের গাড়ি থেকে পুলিশ ৫ কেজি সোনা জব্দ করেছিল।সূত্র জানায়, বাংলাদেশ বিমানের সংঘবদ্ধ একটি সিন্ডিকেট শ্রমিক লীগের নাম ভাংগিয়ে বা শ্রমিক লীগের পতাকাতলে আবদ্ধ থেকে বিমানবন্দরে অপরাধমুলক কাজে জড়িয়ে পড়ছে। এদেরকে সাসপেন্ড করা হয়েছে, চাকরিচ্যুত করা হয়েছে। এদের বিরুদ্ধে ্রবস্থা নেয়ায় এরা কোন কোন সময় তাদের উর্ধতন কর্মকর্তাদের সাথে বিবাদে জড়িয়ে পড়েছে। এদের মধ্যে নিরাপত্তা সুপার আনিস ও পরিচালক আতিক সোবহানকে ভিভিআইপি ফ্লাইটে প্রবেশাধিকার নিষিদ্ধও করা হয়েছে। ডিজিএম নিরাপত্তাকে শোকজ করা হলেও তিনি বার বার ভিভিআইপি ফ্লাইটে ওঠছেন। এর আগে দেড় মণ সোনা পাচারের ঘটনায় বিমানের সাবেক চেয়ারম্যানের ধর্মপুত্র পলাশের নাম বেরিয়ে আসে। ওই ঘটনায় কয়েকজনকে মামলার এফআইআরে জড়িত থাকাবস্থায় পুলিশ গ্রেফতার করে। পরে তারা আইনের ফাকফোকড়ে জামিনে বের হয়ে যায়।সূত্র জানায়, শাহজালাল যেন সোনার খনি। প্রতিদিনই বিমানে করে সোনা আসছে, বনিবনা না হলেই তা ধরা পড়ছে। এ চক্রের সাথে বাংলাদেশ বিমান, জেড এয়ার ,কাতার, কুয়েত, এমএইচ, টিজি এমিরাটস এবং সিংগাপুর এয়ার লাইন্স-এর কতিপয় অসাধু কর্মকর্ত-কর্মচারীরা জড়িত রয়েছে। এই চক্র সোনা , মানব ও হুন্ডি পাচার করছে। গোয়েন্দারা জানতে পেরেছে এই চক্রের সদস্যদের মধ্যে রয়েছে: বিমানের জুনিয়র ট্রাফিক এসিসটেন্ট সুমন ওরফে খাটো সুমন, ট্রাফিক হেলপার আতাউর ( চাকরিচ্যুত), ওবায়দুল্লাহ, আমির হামজা, মহিউদ্দিন, জেটিএ মামুনর রশিদ ওরফে লম্বা মামুন, আব্দুল করিম টাক্কু, তৌহিদ। সিংগাপুর এয়ার লাইন্সের জুনায়েদ, টিজির শামীম, কুয়েতের হোসেন সোহাগ, মান্নান, জেড এয়ারের সমীর , আশিকুর, ইকের ( এমিরাটস এয়ার) রবিন, মুর্শেদ ও হুদা।সূত্রে জানা গেছে, বিমানের এই চক্র বিমানের সিটের নিচে, অনেক সময় বিমানের বাথরুমের ভিতর কোন কোন সময় যাত্রিরূপি পাচারকারির বডিতে, পাইপের ভিতর, ফ্লাক্সের ভিতর সেম্পুর বোতলের ভিতর বিশেষ কায়দায় সোনা বহন করার পদ্ধতি শিখিয়ে দেয়। সবগুলো পদ্ধতিই গোয়েন্দা সূত্র উদ্বার করেছে। স্বর্ন প্রসব পদ্ধতিও গোয়েন্দারা ধরে ফেলেছে। ব্রোর্ডিং ব্রিজে সোনা হাত বদলের সময়ও গোয়েন্দরা তা হাতেনাতে পাকড়াও করেছে। সব পদ্ধতিতে সিদ্ধহস্ত হওয়ার পরও বিমানবন্দর দিয়ে গোয়েন্দা চোখ ফাকি দিয়ে মণে মণে সোনা পাচার হচ্ছে, মানব পাচার হচ্ছে, হুন্ডি পাচার হচ্ছে। শুল্ক গোয়েন্দারা বিমানবন্দরে প্রতিদিনই সাড়াশি অভিযান করছে, পাচারকৃত পন্য জব্দ করছে। দক্ষ ও চৌকস গোয়েন্দা ড. মইনুল খানের নেতৃত্বে কর্মকর্তারা তা রুখে দিচ্ছে।

এই ওয়েবসাইটের যে কোনো লেখা বা ছবি পুনঃপ্রকাশের ক্ষেত্রে ঋন স্বীকার বাঞ্চনীয় ।