শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০২:৩৬ পূর্বাহ্ন
ব্রেকিং নিউজ:
দুদকের অভিযোগ থেকে অব্যাহতি পেলেন প্রবাসি কল্যাণ মন্ত্রীর ছেলে, সিলেট এয়ারপোর্ট ম্যানেজার হাফিজসহ ৮৪ সরকারি কর্মকর্তা! তালিকায় নাম নেই সিএএবির ১২ কর্মকর্তার : এফআরটি ৯৩ মামলা, সিএএবির ৬ প্রকৌশলীর মামলা চলমান

নিউজ ডেক্স : দুর্নীতি অনিয়মের শত শত অভিযোগ জমা পড়লেও তপশিল বহির্ভূত অপরাধের কারণে অধিকাংশ অভিযোগ আমলে নিতে পারে না দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) দুদক আইন অনুযায়ী কেবল সরকার সরকারি কর্মকর্তাকর্মচারী সংশ্লিষ্ট দুর্নীতির সাত ধরনের অভিযোগ অনুসন্ধান করতে পারে সংস্থাটি

কিন্তু সংস্থাটির অনুসন্ধান ও তদন্ত পরিসংখ্যান বলছে, ২০২২ সালে অনুসন্ধানের জন্য আমলে নেওয়া ৫২ ভাগ অভিযোগই নথিভুক্তি বা পরিসমাপ্তির (অভিযোগ অব্যাহতি) মাধ্যমে নিষ্পত্তি করা হয়েছে। অর্থাৎ অনুসন্ধান শুরু করেও ৫৮১টি অভিযোগ থেকে সংশ্লিষ্টদের অব্যাহতি বা ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। যার মধ্যে অন্তত ৮৪ জন সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী রয়েছেন। এভাবে দুদকের জাল ছিঁড়ে বের হওয়া ব্যক্তিদের একটি তালিকা ঢাকা পোস্টের হাতে রয়েছে।

অন্যদিকে, গত বছর ৯৩টি মামলার আসামিদের এফআরটি (মামলা থেকে অব্যাহতি) দেওয়ার মাধ্যমে দায়মুক্তি দেওয়া হয়েছে। শতাংশ হিসাবে যা ২৮ ভাগ। দায়মুক্তি পাওয়া ব্যক্তিদের একটি বড় অংশই সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী। যদিও ওই আসামিদের পূর্ণাঙ্গ তালিকা পাওয়া যায়নি। তবে, অন্য একটি সূত্র বলছে, গত এক বছরে নথিভুক্তি ও এফআরটি মিলিয়ে ১৫০ জনের বেশি সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী দুর্নীতির দায় থেকে অব্যাহতি বা মুক্তি পেয়েছেন।

২০২২ সালে অনুসন্ধানের জন্য আমলে নেওয়া ৫২ ভাগ অভিযোগই নথিভুক্তি বা পরিসমাপ্তির (অভিযোগ অব্যাহতি) মাধ্যমে নিষ্পত্তি করা হয়েছে। অর্থাৎ অনুসন্ধান শুরু করেও ৫৮১টি অভিযোগ থেকে সংশ্লিষ্টদের অব্যাহতি বা ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। যার মধ্যে অন্তত ৮৪ জন সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী রয়েছেন। এভাবে দুদকের জাল ছিঁড়ে বের হওয়া ব্যক্তিদের একটি তালিকা ঢাকা পোস্টের হাতে রয়েছে

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, পরিসমাপ্তি ও এফআরটি নিয়ে হরহামেশাই নানা বিতর্ক উত্থাপিত হয়। অনেকের ধারণা, আর্থিক লেনদেন কিংবা ক্ষমতা দেখিয়ে অবৈধ উপায়ে দুর্নীতির দায় থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। যে কারণে প্রতিষ্ঠান হিসেবে দুদককে অনেক সময় বিব্রতকর পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে হয়। মাঝে মাঝে উচ্চ আদালত থেকে সংশ্লিষ্ট তদন্ত কর্মকর্তাকে তলব করে ব্যাখ্যা চাওয়ারও নজির রয়েছে।

 

দুদকের পরিসমাপ্তি ও এফআরটি বিতর্ক প্রসঙ্গে জানতে চাইলে দুদক কমিশনার (অনুসন্ধান) মো. মোজাম্মেল হক খান ঢাকা পোস্টকে বলেন, বিষয়টি দুদকের জন্য বিব্রতকর। অনুসন্ধানের পরিসমাপ্তি হয় আর মামলার হয় এফআরটি। আমাদের মামলার ৬০-৭০ শতাংশ চার্জশিট দাখিলের মাধ্যমে বিচার হয়। বাকি ৩০ শতাংশ নিয়ে বিতর্ক। এটা যে অর্থের বা অন্য কারণে হয়ে থাকে, তা সঠিক নয়।

‘আমরা কোনো অভিযোগ যখন অনুসন্ধানের জন্য নেই, অভিযোগে এমন অনেক তথ্য-উপাত্ত থাকে যে তা দেখে মনে হবে তিনি বড় অপরাধী। এমনও দেখা গেছে, অভিযোগে ১০টি বাড়ির কথা উল্লেখ করা হয়েছে। অথচ বাড়ির অস্তিত্ব নেই। এ ধরনের মিথ্যা তথ্যের ভিত্তিতে যখন অনুসন্ধান শুরু হয়, সেটা তো পরিসমাপ্তি হবেই। সেক্ষেত্রে বিষয়টি অন্য কোনোভাবে সংজ্ঞিত করা যাবে না।’

‘অন্যদিকে, এফআরটির ক্ষেত্রে দেখা যায়, অনুসন্ধান পর্যায়ে তদন্ত কর্মকর্তা অপরাধের বিষয়টি পাওয়ার পর মামলা করেন। কিন্তু তদন্ত পর্যায়ে অনেক সময় অপরাধের পক্ষে যথেষ্ট দালিলিক প্রমাণ পাওয়া যায় না। এফআরটি যখন দেওয়া হয় তখন বিচার বিভাগের দক্ষ কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে গঠিত লিগ্যাল উইংয়ের যথাযথ মতামত নিয়ে আদালতে দাখিল করা হয়। অর্থাৎ অত্যন্ত নিখুঁত প্রক্রিয়া অনুসরণ করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। আমরা মনে করি, ভুল সিদ্ধান্ত নিয়ে সামনে অগ্রসর হওয়ার চেয়ে এফআরটি দেওয়া অধিকতর যৌক্তিক। এখানে অন্য কোনো প্রশ্ন নিতে চাই না। আমি মনে করি, আমরা সঠিক পথেই রয়েছি।’

দুদক থেকে পাওয়া বিভিন্ন তথ্য পর্যালোচনা করে দেখা যায়, ২০২২ সালে চার হাজার ৬৩৩টি অনুসন্ধান চলমান। এর মধ্যে কমিশনের অনুমতি নিয়ে এক হাজার ১১৯টি অনুসন্ধান নিষ্পত্তি হয়েছে। এর মধ্যে ৪০৬টি মামলা দায়ের হয়েছে। যেখানে ১৭২টি মামলা সম্পদ বিষয়ক। ৫৮১টি অনুসন্ধান পরিসমাপ্তির মাধ্যমে নিষ্পত্তি করা হয়েছে। বাকি ১৬৩টি অনুসন্ধান বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশের মাধ্যমে নিষ্পত্তি করে দুদক।

আমরা কোনো অভিযোগ যখন অনুসন্ধানের জন্য নেই, অভিযোগে এমন অনেক তথ্য-উপাত্ত থাকে যে তা দেখে মনে হবে তিনি বড় অপরাধী। এমনও দেখা গেছে, অভিযোগে ১০টি বাড়ির কথা উল্লেখ করা হয়েছে। অথচ বাড়ির অস্তিত্ব নেই। এ ধরনের মিথ্যা তথ্যের ভিত্তিতে যখন অনুসন্ধান শুরু হয়, সেটা তো পরিসমাপ্তি হবেই। সেক্ষেত্রে বিষয়টি অন্য কোনোভাবে সংজ্ঞিত করা যাবে নাদুদক কমিশনার (অনুসন্ধান) মো. মোজাম্মেল হক খান

অভিযোগ থেকে অব্যাহতি পেলেন ৮৪ সরকারি কর্মকর্তা : অভিযোগ থেকে অব্যাহতি পেলেন সিলেট ওসমানি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ম্যানেজার হাফিজ আহমেদ, শাহজালাল বিমানবন্দরের পাণি সম্পদ বিভাগের কোয়ারেনটাইন  ল্যাবরেটরি টেকনিশিয়ান আকতার হোসেন, প্রবাসি কল্যান মন্ত্রী নুরুল ইসলামের ছেলে মুজিবুর রহমান। সিভিল এভিয়েশন থেকে কতজন অব্যাহতি পেলেন তা তালিকায় নাম নেই। কিন্ত গত মাসে সিএএবির ১৬ জন অভিযুক্তর মধ্যে ১২ জনকেই অব্যাহতি দেয়া হয়েছে। সিএএবির ৬ প্রকৌশলীর মামলা চলমান। এরা কক্সবাজার বিমানবন্দরের এসি  কেলেংকারি দুর্নীতি মামলার আসামি।

অভিযোগ থেকে অব্যাহতির ওই তালিকায় সবচেয়ে বেশি নাম রয়েছে বহিরাগমন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের। অবৈধ পাসপোর্ট তৈরিসহ বিভিন্ন অনিয়ম ও অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগের দায় থেকে মুক্তি পেয়েছেন ওই অধিদপ্তরের পরিচালকসহ ১৫ কর্মকর্তা।

তারা হলেন- বহিরাগমন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তরের পরিচালক (প্রশাসন ও অর্থ) মো. শিহাব উদ্দিন খান, তার স্ত্রী ও জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতালের ই-পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠানের (নিটোর) জুনিয়র কনসালটেন্ট শারমিন আরা বেগম, পাসপোর্ট অধিদপ্তরের ডেমোগ্রাফি শাখার উপপরিচালক হালিমা খাতুন সম্পা, উপপরিচালক (প্রশাসন)মো. ইসমাইল হোসেন, উপপরিচালক (সংস্থাপন) তারিক সালমান, সহকারী পরিচালক (প্রশাসন) আজিজুল ইসলাম, সিস্টেম অ্যানালিস্ট মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম ভূঞা ও তার স্ত্রী শাফিনাজ আক্তার, মাগুরা জেলা অফিসের সহকারী পরিচালক নাসরিন পারভীন নূপুর, পাসপোর্ট অধিদপ্তরের উপসহকারী পরিচালক (প্রশাসন) সফিকুল ইসলাম, সহকারী মেইনটেন্যান্স ইঞ্জিনিয়ার কানিজ ফাতেমা চৌধুরী, মাহমুদুল হাসান ও সহকারী হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা মোহাম্মদ মাসুদ রানা।

 

এছাড়া পাসপোর্ট অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক (সিআরআই) জেবুন্নাহার পারভীন ও ফেনী আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসের সহকারী পরিচালক মোক্তার হোসেনও দায়মুক্তি পেয়েছেন।

পরিসমাপ্তির মাধ্যমে অভিযোগ থেকে অব্যাহতি পাওয়া সরকারি কর্মকর্তাদের মধ্যে আছেন- বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো তথ্য মন্ত্রণালয়ের সাবেক সচিব মো. মকবুল হোসেন। এছাড়া পুলিশের মহাপরিদর্শক (অবসরপ্রাপ্ত) মো. নূরুল আনোয়ার, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ও দুদকের সাবেক উপপরিচালক মো. লুৎফুল কবির চন্দন এবং ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের জয়েন্ট কমিশনার ইমাম হোসেন।

২০২২ সালে চার হাজার ৬৩৩টি অনুসন্ধান চলমান। এর মধ্যে কমিশনের অনুমতি নিয়ে এক হাজার ১১৯টি অনুসন্ধান নিষ্পত্তি হয়েছে। এর মধ্যে ৪০৬টি মামলা দায়ের হয়েছে। যেখানে ১৭২টি মামলা সম্পদ বিষয়ক। ৫৮১টি অনুসন্ধান পরিসমাপ্তির মাধ্যমে নিষ্পত্তি করা হয়েছে। বাকি ১৬৩টি অনুসন্ধান বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশের মাধ্যমে নিষ্পত্তি করে দুদক

অব্যাহতি পাওয়া অন্য কর্মকর্তারা হলেন- জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের সাবেক প্রধান প্রকৌশলী সাইফুর রহমান, নরসিংদী জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী বশির আহম্মেদ, পাবনা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আহসান হাবীব, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সাবেক প্রশাসনিক কর্মকর্তা হুমায়ুন কবির, চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের মেরিন ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী (মেরিন) মো. মহিউদ্দিন, ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের ওয়্যারহাউস ইন্সপেক্টর মো. নুরুজ্জামান, ঢাকা কাস্টম হাউসের সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা মাহফুজুর রহমান, চট্টগ্রাম কাস্টম কমিশনার কার্যালয়ের অফিস সহায়ক মো. দিদারুল আলম, কর অঞ্চল-১০ এর উপকমিশনার মো. হুমায়ুন কবির, জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের (ট্রেসার) মো. আব্দুল বাতেন, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের সাবেক সিনিয়র ট্র্যাফিক অ্যাসিস্ট্যান্ট মো. মোসলেহ উদ্দিন, বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর ক্যাশিয়ার মো. শাহীনুল আলম, পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপসহকারী প্রকৌশলী মো. শমশের আলী, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য প্রফেসর চৌধুরী সারওয়ার জাহান, বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউটের সাবেক প্রকল্প পরিচালক ড. তালুকদার নুরুন্নাহার, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের পরিদর্শক এস এম সামসুল কবীর, ফেনী জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সাবেক উচ্চমান সহকারী এ কে এম আব্দুল্লাহ ভূঁঞা, বিএসটিআই’র সাবেক ফিল্ড অফিসার (সিএম) সাফায়েত হোসেন, চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সাবেক এডিসি মো. আবু হাসান সিদ্দিক, নোয়াখালীর সাবেক জেলা মৎস্য কর্মকর্তা ড. মো. মোতালেব হোসেন, ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. ফজলুর রহমান খান (এফ আর খান), পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম প্রধান (যুগ্ম সচিব) মো. জালাল আহম্মেদ, কুষ্টিয়া জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক মো. আনোয়ার হোসেন, মাগুরা সহকারী উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মো. দারুল আলম, খাগড়াছড়ির পানছড়ির সাবেক ইন্সপেক্টর (ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা) এ কে এম মঈনুল খাইর, ময়মনসিংহ ত্রিশালের মেয়র এ বি এম আনিছুজ্জামান, ফেনী সোনাগাজীর মেয়র রফিকুল ইসলাম খোকন, সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী বৃক্ষপালনবিদ মো. কামাল উদ্দিন মোল্লা, সিলেটের বালাগঞ্জ উপজেলা সহকারী সেটেলমেন্ট অফিসার কপিষ্ট কাম বেঞ্চ সহকারী মো. লিয়াকত আলী, পানি উন্নয়ন বোর্ডের সাবেক তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী হাসান মোস্তফা চৌধুরী, বেনাপোল পোর্ট থানার সাবেক অফিসার ইনচার্জ অপূর্ব হাসান, লক্ষ্মীপুর সদর সাবরেজিস্ট্রি অফিসের সাবেক সাবরেজিস্ট্রার অসীম কুমার বনিক, বরিশাল পল্লি বিদ্যুৎ সমিতি-১ এর সাবেক জেনারেল ম্যানেজার প্রকৌশলী শংকর কুমার কর, ফেনী পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আজিজুল হক, চট্টগ্রাম সিডিএ প্রকল্প পরিচালক মো. মাহফুজুর রহমান, ময়মনসিংহের ভালুকা উপজেলা হিসাব রক্ষণ অফিস অডিটর মো. রুহুল আমীন, ময়মনসিংহের ১১নং ঘাগড়া ইউপি চেয়ারম্যান মো. শাহজাহান সরকার সাজু, নর্দান ইলেকট্রিসিটি সাপ্লাই কোম্পানি লিমিটেডের (নেসকো) সহকারী হিসাবরক্ষক মো. ফজলুল হক, সিলেটের ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের টাওয়ার কন্ট্রোল ও ব্যবস্থাপক মো. হাফিজ আহমেদ, কিশোরগঞ্জ পাকুন্দিয়ার দক্ষিণ মাইজহাটী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মো. আশরাফুল আলম, পঞ্চগড় এলজিইডি’র ল্যাব টেকনিশিয়ান সৈয়দ মুর্তুজা আলী খন্দকার, বাংলাদেশ এক্সপোর্ট জোন অথরিটির (বেপজা) চেয়ারম্যানের পিএস-২ আবদুল্লাহ আল মাহবুব (ডিজিএম), জেলা পরিষদের উচ্চমান সহকারী মো. সফিকুল ইসলাম, চট্টগ্রামের এল এ শাখার সার্ভেয়ার শহীদুল ইসলাম, চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সাবেক প্রধান সহকারী (রাজস্ব শাখা) মোহাম্মদ ইউনুছ, ময়মনসিংহের ফুলপুর ৩নং ভাইটকান্দি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলাউদ্দিন আহমেদ, চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের নির্বাহী প্রকৌশলী (মেরিন) মো. মহিউদ্দিন, গলাচিপা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মহিউদ্দিন মোহন, প্রাণী সম্পদ অধিদপ্তরের তালমা কৃষি প্রজনন কেন্দ্রের অফিস সহকারী মো. আসলাম খান, এ্যালকো ফার্মা লিমিটেডের জেনারেল ম্যানেজার (কমার্শিয়াল) মো. শাখাওয়াত হোসেন, বরিশাল মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বোর্ডের উপপরিচালক মো. আনোয়ার হোসেন, কুড়িগ্রাম ফুলবাড়ি উপজেলার মৎস্য কর্মকর্তা মো. মাহমুদুন্নবী মিঠু, খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলার সাবেক সিভিল সার্জন ডা. নিশিত নন্দী মজুমদার, রাজবাড়ী সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের উপসহকারী প্রকৌশলী চৌধুরী সাজ্জাদ আরেফিন, কোম্পানিগঞ্জ পূর্ব মুছাপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নজরুল ইসলাম, যশোর উপজেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা কাজী আনোয়ারুল আলম, পদুয়া ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ওমর ফারুক, চট্টগ্রাম মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের সহকারী কলেজ পরিদর্শক এ কে ফজলুল হক, বাংলাদেশ ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের ওয়্যারহাউজ ইন্সপেক্টর মো. নুরুজ্জামান, সুন্দরবন শরণখোলা স্টেশন কর্মকর্তা মো. আব্দুল মান্নান, ঢাকা শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের সাবেক প্রধান প্রকৌশলী মিজানুল করিম, হযরত শাহ জালাল বিমানবন্দরের প্রাণী সম্পদ কোয়ারেনটাইনের ল্যাবরেটরি টেকনিশিয়ান মো. আকতার হোসেন, ঢাকার বেগম বদরুন্নেছা সরকারি মহিলা কলেজের সহকারী অধ্যাপক মোছা. খুজিস্তা আক্তার বানু, বরিশাল জেলা রেজিস্ট্রার নৃপেন্দ্র নাথ সিকদার, মাতুয়াইল ইনস্টিটিউট অব চাইল্ড অ্যান্ড মাদার হেলথের (আইসিএমএইচ) সহকারী সার্জন ডা. জোহুরা খাতুন।

, বিগত দিনের অনিষ্পন্ন তদন্তসহ ২০২২ সাল পর্যন্ত মোট এক হাজার ৯৯৭টি মামলা চলমান রয়েছে। এসব মামলার মধ্যে ২২৪টির তদন্ত শেষে চার্জশিট বা অভিযোগপত্র জমা দেওয়া হয়েছে। ৯৩টি মামলার এফআরটি দেওয়া হয়েছে। এছাড়া ১৪টি মামলা তদন্তের জন্য অন্য সংস্থায় পাঠানো হয়েছে।

 

সম্প্রতি অবৈধভাবে গ্যাস সংযোগ স্থানান্তর এবং নতুন সংযোগ দেওয়ার অভিযোগ থেকে সাবেক প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থানবিষয়ক মন্ত্রী নুরুল ইসলামের ছেলে মুজিবুর রহমান ও কর্ণফুলী গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের (কেজিডিসিএল) চার কর্মকর্তাসহ পাঁচজনকে অব্যাহতি দেওয়ার বিষয়টি বেশ আলোচিত হয়েছে। যা এখন আদালতের পর্যবেক্ষণে রয়েছে। সর্বশেষ গত ২ মার্চ ঢাকা ব্যাংক থেকে প্রায় সাড়ে ২১ কোটি টাকা আত্মসাতের মামলায় আসামিকে অব্যাহতি দিয়ে চার্জশিট দেওয়ার ঘটনায় ব্যাখ্যা চেয়ে দুদকের তদন্ত কর্মকর্তা সহকারী পরিচালক মো. ইকবাল হোসেনকে তলব করেন হাইকোর্ট।

একজন তদন্ত কর্মকর্তার একক কোনো ক্ষমতা নেই। তিনি চাইলেই কাউকে অভিযোগ থেকে অব্যাহতি দিতে পারেন না। দুদকের একটি শক্তিশালী কমিশন রয়েছে। যথাযথ যাচাই-বাছাই করেই কমিশন সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকে। কারও একক ইচ্ছায় কাউকে অব্যাহতি দেওয়া সম্ভব নয়দুদকের আইনজীবী খুরশীদ আলম খান

মামলা থেকে অব্যাহতি ও হাইকোর্টের তলব প্রসঙ্গে জানতে চাইলে দুদকের আইনজীবী খুরশীদ আলম খান ঢাকা পোস্টকে বলেন, ‘আদালত যদি মনে করেন কাউকে অব্যাহতি দেওয়া ঠিক হয়নি তখন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাকে তলব করে জানতে চান। তদন্ত কর্মকর্তা তার আইনজীবীর মাধ্যমে যথাযথ ব্যাখ্যা দিতে পারলে ওই প্রতিবেদন গ্রহণ করেন আদালত। যদি তদন্ত কর্মকর্তার ব্যাখ্যায় আদালত সন্তুষ্ট না হন তাহলে অব্যাহতিপ্রাপ্ত আসামিকে মামলায় অন্তর্ভুক্ত এবং তদন্ত কর্মকর্তাকে সতর্ক করতে পারেন আদালত।’

‘একজন তদন্ত কর্মকর্তার একক কোনো ক্ষমতা নেই। তিনি চাইলেই কাউকে অভিযোগ থেকে অব্যাহতি দিতে পারেন না। দুদকের একটি শক্তিশালী কমিশন রয়েছে। যথাযথ যাচাই-বাছাই করেই কমিশন সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকে। কারও একক ইচ্ছায় কাউকে অব্যাহতি দেওয়া সম্ভব নয়।’

অবৈধভাবে লাভবান হয়ে কিছু করা অসম্ভব। তবে, অনেক সময় কোনো কোনো সিদ্ধান্ত ভুল হতে পারে, সেটা আদালতেরও হয়। তা আবার পুনর্বিবেচনা করার সুযোগও রয়েছে— বলেন এই আইনজীবী।

এছাড়া কোনো ধরনের দুর্নীতি ও ঘুষ থেকে উদ্ভূত অর্থপাচার সংক্রান্ত অপরাধ, সরকারি সম্পদ সংক্রান্ত অপরাধসহ সরকারি স্বার্থহানিকর কোনো দুর্নীতি সংশ্লিষ্ট অপরাধ দুদকের তফসিলভুক্ত। ঢাকা পোস্ট ও নিজস্ব সূত্র

 

এই ওয়েবসাইটের যে কোনো লেখা বা ছবি পুনঃপ্রকাশের ক্ষেত্রে ঋন স্বীকার বাঞ্চনীয় ।