বেবিচক : থার্ড টার্মিনালে প্রকৌশলী জাকারিয়াকে এক্টিং পিডি থেকে ফুল পিডি করার জন্য মন্ত্রণালয়ে মিটিং, আবারও মিটিং বসছে : খালি হবে তত্বাবধায়ক প্রকৌশী ইএম-১/২-এর পদ, সিনিয়র প্রকৌশলী মিহির পিআরএল-এ যাচ্ছেন ৬ ফেব্রুয়ারি : কাকে পদায়ন করা হবে এ পদে

স্টাফ রিপোর্টার : বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ- বেবিচকের হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে থার্ড টার্মিনালের প্রজেক্ট ডাইরেক্টর ( পিডি) পদে জনবল বসানো নিয়ে মন্ত্রণালয়ে একদফা মিটিং শেষ হয়েছে। আরেক দফা মিটিং বসছে। ইতিমধ্যেই শুরু থেকে ডিপিডির দায়িত্ব পালনকারি তত্বাবধায়ক প্রকৌশলী ইএম মো. জাকারিয়া হোসেনকে গত ৩১ ডিসেম্বর এক্টিং পিডির দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। সেই থেকে তিনি পিডির দায়িত্ব পালন করে আসছেন। এর পাশাপাশি প্রকৌশলী জাকারিয়া তত্বাবধায়ক প্রকৌশলী ইএম-১/২-এর দায়িত্ব পালন করে আসছেন। মোদ্দকথা তিনি ডবল দায়িত্ব পালন করছেন। তাকে মন্ত্রণালয়ের সর্বশেষ মিটিংয়ের সিদ্ধান্তের পর ফুল পিডি করা হলে তাকে কি ডবল দায়িত্বই দেয়া হবে নাকি তত্বাবধায়ক প্রকৌশলী ইএম-১/২ থেকে অব্যাহতি দেয়া হবে।
যদি ইএম-১/২-এর দায়িত্ব থেকে তাকে অব্যাহতি দেয়া হয় তবে ‘তত্বাবধায়ক প্রকৌশলী ইএম-১/২’-এর পদ খালি হবে।
এখন প্রশ্ন ওঠেছে এ পদে কাকে পদায়ন করা হবে। সিনিয়র প্রকৌশলী মিহির চাদ দে দুদকের মামলার আসামি, আগামি ৬ ফেব্রুয়ারি তিনি পিআরএল-এ যাবেন। এর পরের সিনিয়র প্রকৌশলী শাহরিয়ার মুর্শেদ সিদ্দিকী। কিন্ত তাকে এখনও তত্বাবধায়ক প্রকৌশলী পদে ডিপিসি করে পদোন্নতি দেয়া হয়নি। তাহলে ওই খালি পদের বিপরীতে জনবল শূন্য হলে কাকে বসানো ওই খালি পদে। তবে প্রকৌশলী শাহরিয়ারকে চলতি দায়িত্বের তত্বাবধায়ক প্রকৌশলীর দায়িত্ব দেয়া যেতে পারে। এর পরের ধাপে ইএম বিভাগে যে সব প্রকৌশলী আছেন তারা কেবল এসডিই থেকে নির্বাহী প্রকৌশলী হয়েছেন, তাদের ফিডার পদ পূর্ন হতে ৭ বছর সময় লাগবে।
প্রকৌশলী জাকারিয়া একজন দক্ষ প্রকৌশলী বলে বেবিচকে শোনা যায়। প্রথম থেকেই তিনি থার্ড টার্মিনালের ডিপিডির দায়িত্ব পালন করছেন। তাকে ফুল পিডি করে প্রকল্প শেষ করা যেতে পারে বলে অনেকে মতামত ব্যক্ত করেছেন। বেবিচকও তার কর্মকান্ডে সন্তোষ্ট। যদিও দুদক একটি অভিযোগের বিষয়ে তার বিরুদ্ধে অনুসন্ধান করছে।