স্টাফ রিপোর্টার : অবিশ্বাস্য হলেও সত্য যে, বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ- বেবিচকে উপপরিচালক এ্যারো এটিএস/ এটিএম/ সিএনএস ১৩ বছর পর আমেরিকা থেকে এসে বেবিচকের সেমসুতে যোগদান করেন এবং ফুল পেনসন নিয়ে বাড়ি ফিরে যান। এই কর্মকর্তার নাম গোলাম মর্তুজা। তিনি তৎসময়ে বেবিচকে উপপরিচালক এ্যারো এটিএস/ পরবর্তীতে এটিএম/ সিএনএস পদে চাকরি গুজরান করে বেবিচক ত্যাগ করে। বেবিচকের ইতিহাসে- এই প্রথম কোন কর্মকর্তা ১৩ বছর চাকরিতে লাপাত্তা থাকার পর স্বল্প সময়ের বিমানমন্ত্রী- একেএম শাজাহান কামাল -যার বাড়ি নোয়াখাী- তার আর্শীবাদ কাজে লাগিয়ে ১৩ বছর পর বেবিচকে যোগদান করেন এবং বছর তিনেক আগে ফুল পেনসেন নিয়ে বাড়ি ফিরেন। বেবিচকে এটা একটা ইতিহাস। এ ইতিহাসের সাক্ষী অনেকে।
বেবিচক সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, উপপরিচালক এ্যারো এটিএস/ এটিএম/ সিএনএস ১৩ বছর আগে বেবিচক কর্তৃপক্ষকে না জানিয়ে আমরিকা পাড়ি জমান, সেখানে চুটিয়ে ১৩ বছর চাকরি করার পর যখন বিমানমন্ত্রী হিসেব তার আত্মীয় শাজাহান কামাল যোগদান করেন তখন তিনি দেশে ফিরেন এবং মন্ত্রীর আর্শীবাদে চাকরি ফিরে পান এবং একেএম শাজাহান কামাল মন্ত্রী থাকাকাীলন সময় পর্যন্ত তিনি চাকির করেন এবং ফুল পেনসন নিয়ে চাকরি ছাড়েন।
এ ব্যাপারে উপপরিচালক গোলাম মর্তুজার কোন মোবাইল নম্বর না থাকায় তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে বেবিচকের অনেকেই বিষয়টি শেয়ার করেছেন।
সরকারি নিয়ামানুযায়ী ৫ বছর চাকরিতে অনুপস্থিত থাকলে চাকরি চলে যায়। কিন্ত গোলাম মতৃুজার ক্ষেত্রে এ নিয়ম কার্যকর হয়নি। ৫ বছর নয়- টানা ১৩ বছর চাকরিতে অনুপস্তিত থাকার পরও তিনি বেবিচকে পুন:যোগদান করেন এবং দাপটের সাথে চাকরি করে চলে যান।
সূত্রমতে তিনি যখন চট্রগ্রাম বিমানবন্দরে কর্মরত তখন তৎকালিন বেবিচকের চেয়ারম্যান পরিবারকে ঘোড়ার গাড়িতে করে সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে তার সহধর্মিণী ( মর্তুজা) এক প্রকৌশলীর সহধর্মিণীর সাথে স্ট্যাটাস তুলনা করে দূরে সরে যান। পুরো অনুষ্ঠান ফিকে হয়ে যায়। অথচ ওই প্রকৌশলী বিমানবন্দর পরিচালকের অনুমতি নিয়ে অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন। এবং বেবিচক চেয়ারম্যান পরিবারকে রানওয়ে থেকে ঘোড়ার গাড়িতে করে অনুষ্ঠানস্থলে নিয়ে আসেন।এতে চেয়ারম্যান পরিবার খুব সন্তুষ্টি প্রকাশ করেন।
সূত্র জানায়, গোলাম মতৃুজা যখন চট্রগ্রাম বিমানবন্দরে কর্মরত ছিলেন সেই সময়ে সাবেক বিমানমন্ত্রী একেএম শাজাহান কামালের লোকজনের প্রায়ই মতৃুজার কোয়ার্টারে আনাগোন ছিল।
Share this:
- Click to share on Facebook (Opens in new window)
- Click to share on Twitter (Opens in new window)
- Click to share on LinkedIn (Opens in new window)
- Click to share on Tumblr (Opens in new window)
- Click to share on Pinterest (Opens in new window)
- Click to share on Pocket (Opens in new window)
- Click to share on Reddit (Opens in new window)
- Click to share on Telegram (Opens in new window)
- Click to share on WhatsApp (Opens in new window)
- Click to print (Opens in new window)