বুধবার, ১৫ মে ২০২৪, ১০:০০ পূর্বাহ্ন
ব্রেকিং নিউজ:
শাহজালালে আমদানি নিষিদ্ধ বিদেশি সিগারেট জব্দ

স্টাফ রিপোর্টার : শুল্ক গোয়েন্দা কর্তৃপক্ষ গত ২১ নভেম্বর হযরত শাহজালাল (রহ.) ‍আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অভিযান চালিয়ে বিদেশ ফেরত মো. পারভেজ ও আলিম নামের দুই যাত্রীর থেকে আমদানি নিষিদ্ধ বিদেশি সিগারেট ও স্বর্ণ জব্দ করেছে । শুল্ক গোয়েন্দার নির্ভরযোগ্য একটি সূত্র জানায়, চট্টগ্রামের মো. পারভেজ ও ঢাকার দোহারের আলিম  দুবাই থেকে ‘নাইনডাব্লিউ ২৭ ’ ফ্লাইট যোগে দুপুরে শাহজালালে অবতরণ করেন। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শুল্ক গোয়েন্দা সদস্যরা ব্যাগেজ বেল্টসহ গ্রিন চ্যানেল এলাকায় বিশেষ নজরদারি বজায় রাখে। যাত্রী পারভেজ দুই নম্বর বেল্ট থেকে লাগেজ সংগ্রহ করে স্ক্যানিং ফাঁকি দিয়ে দ্রুত গ্রিন চ্যানেল অতিক্রমের চেষ্টা করে। এ সময় তার গতিরোধ করা হয়। পরবর্তীতে কাস্টমস হলে বিভিন্ন সংস্থার উপস্থিতিতে তার সাথে থাকা একটি লাগেজ খুলে ২৩,৪০০ শলাকা আমদানি নিষিদ্ধ বিদেশি সিগারেট জব্দ করা হয়। সিগারেট সমূহ ডানহিল,মন্ড ও ইজি ব্র্যান্ডের বলে জানা গেছে। একই ফ্লাইটে আসা অপর যাত্রী আলিমের  প‍কেট থেকে ২৩২ গ্রাম স্বর্ণবার জব্দ করা হয়। আমদানি নীতি আদেশ অনুযায়ী সিগারেট  প্যাকেটের গায়ে বাংলায় ধূমপানবিরোধী সতর্কীকরণ লেখা ব্যতীত বিদেশি সিগারেট আমদানি করা যায় না।সিগারেটের উপর উচ্চ শুল্ক (প্রায় ৪৫০%) পরিহারের জন্যই এসব সিগারেট আনা হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।পণ্যের শুল্ককরসহ জব্দ পণ্যের মূল্য প্রায় ১৭ লাখ ৪০ হাজার টাকা। জব্দকৃত পণ্যের বিষয়ে শুল্ক আইনে ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, বিমানবন্দরে প্রায় দুই বছর যাবত বহাল ঢাকা কাস্টমস হাউজের প্রিভেনটিভ টিমের দুই সদস্য মোসলেম ও অনুপম বিমানবন্দর কেন্দ্রিক সংঘবদ্ধ পাচারকারিচক্রকে সহায়তা করে থাকে। গোয়েন্দারা এই দুই প্রিভেনটিভ টিমের সদস্যর গতিবিধি খতিয়ে দেখছে। ঢাকা কাস্টমস হাউজ কর্তৃপক্ষ রহস্যজনক কারনে বিমানবন্দর থেকে প্রিভেনটিভ সদস্য মোসলেম ও অনুপমকে বদলি করছে না।

 

এই ওয়েবসাইটের যে কোনো লেখা বা ছবি পুনঃপ্রকাশের ক্ষেত্রে ঋন স্বীকার বাঞ্চনীয় ।