রবিবার, ০৫ মে ২০২৪, ০৪:১৭ অপরাহ্ন
ব্রেকিং নিউজ:
শাহজালালে একের পর এক সিএএবি কর্মী সোনা পাচারে ধরা খাচ্ছে : এবার ৩৭ ভরি সোনা পাচার করতে গিয়ে ধরা খেল ইনজিন ড্রাইভার হাসান : তার সহযোগি কামরুল ধরা-ছোয়ার বাইরে: ৩ বেবিচক কর্মীসহ আটক ৫

একুশে বার্তা রিপোর্ট :  হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে সোনা চোরাচালানের সময় দুই যাত্রীসহ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) তিন কর্মীকে আটক করা হয়েছে।  এদের মধ্যে ইনজিন ড্রাইভার হাসান রয়েছে। কিন্ত তার সহযোগি কামরুল ধরা-ছোয়ার বাইরে। এরা দুজন দীর্ঘদিন যাবত শাহজালাল বিমানবন্দরে ইএম-১-এর অধীনে ইনজিন ড্রাইভার এর অন্তরালে মানব পাচার, সোনা পাচারসহ বিভিন্ন অনৈতিক কাজের সাথে জড়িত বলে গোয়েন্দা সংস্থা খতিয়ে দেখছে। হাসান- কামরুল দুই জুটি। এদের শাহজালাল বিমানবন্দর থেকে বদলি করা হয় না।এদের বিরুদ্ধে গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হলে মামলার হুমকি দেয়। ইএম-১-এর দায়িত্বরত নির্বাহি প্রকৌশলী এদের পক্ষে ওকালতি করে থাকেন। এ দুজন বাড়ি-গাড়ি টাকাকড়িসহ অঢেল সম্পদের মালিক। আশকোনা এলাকায় কামরুলের বহুতল বাড়ি রয়েছে। বলে বেড়ায় যে, তার ভাই-বোন বিদেশ থেকে পাঠানো টাকায় এ বাড়ি গড়ে ওঠেছে। গ্রেফতারকৃত বেচিকের অন্যরা  হলো ইএম হেলপার শাজাহান এবং লাউন্ঞ রুম এটেনডেন্ট ওহাব।এদেরেকে সাসপেন্ড  বা চাকরিচ্যুত করা হয়নি। সংশ্লিষ্ট নির্বাহি প্রকৌশলী এদের সেইভ করার পায়তারা করছেন বলে শোনা যায়।

একের পর এক সিএএবি কর্মী শাহজালালে সোনা পাচার করতে গিয়ে ধরা পড়ছে। ড্রাইভার সালেকুজ্জামান গ্রেফতার হয়ে জেল খাটলেও যার নির্দেশে সে সোনা পাচার করছিল, যার নাম বলেছে- সেই স্যানিটারি ইন্সপেক্টর নূরনবী ভুইয়া টিপু এখনও ধরা-ছোয়ার বাইরে। মেম্বার অপস-এর পিএর’র ভাই গার্ড ইউসুফ কামাল সোনাসহ ধরা পড়লেও তাকে সেইভ করে যশোহর বিমানবন্দরে বদলি করা হয়েছে। পরিচালকের পিয়ন মতির ভাই গার্ড রেজাউল সোনাসহ গ্রেফতার হয়ে জেল খেটেছে। গার্ড মেজবা সোনাসহ ধরা থেয়ে জেল খেটে চাকরিচ্যুত হয়েছে। পরিচালক মানব সম্পদের কথিত ভাগিনা হাকিম দুই দুইবার সোনাসহ ধরা খেলেও এখনও বহাল।

গ্রেফতারকৃতদের  কাছ থেকে দুটি সোনার বার এবং ১৯ ধরনের জুয়েলারি সামগ্রীসহ মোট ৪৩২ গ্রাম বা ৩৭ ভরি সোনা জব্দ করা হয়। যার আনুমানিক বাজারমূল্য ৩৫ লাখ টাকা। এ ছাড়া ৫টি স্মার্টফোন এবং একটি বাটন ফোনও জব্দ করা হয়।

বিমানবন্দরে এভিয়েশন সিকিউরিটি (এভসেক) অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করেছে।  গত শুক্রবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানায় বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ।

আটকরা হলো- দুবাই ফেরত দুই যাত্রী তাজুল ইসলাম ও মো. জামাল উদ্দিন এবং বেবিচকের তিন কর্মী আব্দুল ওহাব, হাসান ও শাহজাহান।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে, আটক দুই যাত্রী গত ১৭ আগস্ট এমিরেটস (ইকে-৫৮২) ফ্লাইটে সকাল ৮টা ৪০ মিনিটের দিকে দুবাই থেকে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছান। অবৈধভাবে নিয়ে আসা সোনার বার, মোবাইল ও জুয়েলারি সামগ্রী পরিকল্পনা অনুসারে সিভিল অ্যাভিয়েশনের লাউঞ্জ রুম অ্যাটেনডেন্ট আব্দুল ওহাব, ইঞ্জিন ড্রাইভার হাসান, ইএম হেলপার শাহজাহানের কাছে হস্তান্তর করেন তারা।

গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে এভসেক সদস্যরা ওই তিনজনকে আটক করেন এবং তাদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে কাস্টমসের গ্রিন চ্যানেল থেকে দুবাই ফেরত দুই যাত্রী তাজুল ইসলাম ও মো. জামাল উদ্দিনকে আটক করেন। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ শেষে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বিমানবন্দর থানায় হস্তান্তর করা হয়। এ ব্যাপারে বিমানবন্দর থানায় মামলা হয়েছে। নিজস্ব সূত্র/ দৈনিক যুগান্তর

 

এই ওয়েবসাইটের যে কোনো লেখা বা ছবি পুনঃপ্রকাশের ক্ষেত্রে ঋন স্বীকার বাঞ্চনীয় ।