রবিবার, ১৯ মে ২০২৪, ০৭:৩২ পূর্বাহ্ন
ব্রেকিং নিউজ:
সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের জন সমুদ্রে গণতন্ত্রের মানস কন্যা শেখ হাসিনা : রাজাকাররা আর যাতে ক্ষমতায় আসতে না পারে

বিশেষ রিপোর্ট : গণতন্ত্রের মানস কন্যা, দেশরত্ন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ইতিহাস তার নিজ গতিতে চলে, ইতিহাস মুছে ফেলা যায় না, আর ইতিহাস বিকৃতকারিরা, রাজাকার, আল শামস, খুনীরা যেন আর ক্ষমতায় আসতে না পারে সে দিকে খেয়াল রাখতে হবে। তিনি বলেন, জাতির জনকের ৭ মার্চের ভাষণেই বাংগালি জাতির দিক নির্দেশনা ছিল, স্বাধীনতার ঘোষণা ছিল, মানুষের মুক্তির সনদ ছিল, সোনার বাংলা গড়ে তোলার রুপরেখা ছিল। কিন্ত গত ২১ বছর পর্যন্ত বংগবন্ধুর সেই ভাষণ প্রচার পর্যন্ত প্রচার করতে দেয়া হয়নি।
শেখ হাসিনা বলেন, আগামির বাংলাদেশ হবে সমৃদ্ধির বাংলাদেশ, অর্থনৈতিক মুক্তির বাংলাদেশ। তিনি শনিবার এৗতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ৭ মার্চের ভাষণ উপলক্ষে আনন্দ শোভাযাত্রায় অংশ নিয়ে এ সব কথা বলেন।
আনন্দ শোভাযাত্রায় অংশগ্রহণকারি সকাল থেকেই সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জনতার ঢল আসতে থাকে। জনতার ঢল দুপুরের দিকে জনসমুদ্রে রূপ নেয়।

আওয়ামী লীগ সভানেত্রী বলেন, এত দূরদর্শী ও এত নির্দেশনা বিশ্বের আর কোনো ভাষণ ভাষণে নেই। এই ভাষণে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান অসহযোগ আন্দোলনের কথা বলেছিলেন, গেরিলা যুদ্ধের প্রস্তুতি নেওয়ার কথা বলেছিলেন। তিনি জয় বাংলা বলে তাঁর ভাষণ শেষ করেছিলেন। বঙ্গবন্ধু এ দেশের মানুষকে রাজনৈতিক মুক্তি দিয়েছেন, অর্থনৈতিক মুক্তি দেওয়ার পথে হাঁটা শুরু করেছিলেন। দেশ ঘুরে দাঁড়িয়েছিল। কিন্তু তখনই স্বাধীনতার মাত্র সাড়ে তিন বছরের মাথায় বঙ্গবন্ধুকে সপরিবার হত্যা করা হয়। বাংলাদেশ নামটাও বঙ্গবন্ধুর দেওয়া। তিনি বলেন, সেদিন শুধু বঙ্গবন্ধুকে হত্যাই করা হয়নি, তাঁর আদর্শ নষ্ট করে এ দেশে রাজাকার-খুনিদের ক্ষমতায় বসানো হয়েছিল।
বঙ্গবন্ধুর ভাষণকে স্বীকৃতি দেওয়ার কারণে তিনি ইউনেসকোকে ধন্যবাদ জানান।
সমাবেশ উপলক্ষে ঢাকার সোহরাওয়ার্দী উদ্যান ছিল লোকে লোকারণ্য। দুপুর থেকে উদ্যানে আসতে থাকেন রাজনীতিবিদ, মন্ত্রী, সরকারি চাকুরে, শিক্ষক, ছাত্রছাত্রীসহ বিভিন্ন পেশার মানুষ। সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে দুপুর থেকেই চলে নানা আয়োজন। নাচ, গান, কবিতা আবৃত্তি উপভোগ করেন আগত অতিথিরা।
এদিকে রাজধানীর রাসেল স্কয়ার থেকে দুপুর সোয়া ১২টার দিকে শোভাযাত্রা নিয়ে সরকারি চাকুরেরা সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের দিকে যেতে শুরু করেন। তবে এর ঘণ্টাখানেক আগে থেকেই বিভিন্ন সরকারি প্রতিষ্ঠান ও সংস্থার কর্মকর্তা-কর্মচারীরা আশপাশের সড়কগুলোয় অবস্থান নিতে শুরু করেন। বিভিন্ন পর্যায়ের সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের ব্যানারসহ শুক্রাবাদ, ধানমন্ডি ২৭, স্কয়ার হাসপাতালের সামনে থেকে রাসেল স্কয়ারের দিকে যেতে থাকেন। সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অনেকেই ঢাকঢোলসহ এসেছেন। তাঁরা নানা রঙের টি-শার্ট পরেছেন। বহন করছেন ব্যানার। আনন্দ শোভাযাত্রায় রাখা হয় হাতিও।

জাতিসংঘের শিক্ষা, বিজ্ঞান ও সংস্কৃতি সংস্থা ইউনেসকো বঙ্গবন্ধুর সাতই মার্চের ভাষণকে ঐতিহাসিক দলিল হিসেবে গত ৩১ অক্টোবর স্বীকৃতি দেওয়ার কথা আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করা হয়।

এই ওয়েবসাইটের যে কোনো লেখা বা ছবি পুনঃপ্রকাশের ক্ষেত্রে ঋন স্বীকার বাঞ্চনীয় ।