স্টাফ রিপোর্টার : সরকারি চাকরির কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনের মধ্যে গভীর রাতে তার বাসভবনে হামলার ঘটনা সাধারণ বিক্ষোভকারীদের হামলার কোনো ঘটনা ছিল না বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য মো. আখতারুজ্জামান।
তার ভাষায়, ‘প্রশিক্ষিত’ হামলাকারীরা মুখোশ পড়ে এসেছিল; তারা এসেছিল ‘প্রাণনাশের’ জন্য।
রোববার সন্ধ্যা থেকে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ পুরো ক্যাম্পাসে ছড়িয়ে পড়ার পর গত রাত দেড়টা থেকে ২টার মধ্যে উপাচার্যের বাসভবনে হামলার ঘটনা ঘটে।
দুই তলা ওই বাসভবনের ঘরে ঘরে ঢুকে জানালার কাচসহ প্রায় প্রতিটি আসবাবপত্র ও ভাঙার মত প্রায় সবকিছুই ভেঙে ফেলা হয়। এমনকি বাথরুম ও রান্নাঘরও তছনছ করা হয়। ভেঙে ফেলা হয় ভবনের সিসি ক্যামেরাগুলো।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, পাঁচ শতাধিক আন্দোলনকারীকে এই তাণ্ডবে অংশ নিতে দেখা যায়। তাদের একটি অংশ বাসভবনের সামনে আগুন ধরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করে।
উপাচার্যের বাসভবনে থাকা চারটি গাড়ির মধ্যে দুটি পুড়িয়ে দেওয়া হয়, দুটি ভাঙচুরের শিকার হয়। ভবনের সামনে কয়েকটি মোটরসাইকেলেও আগুন দেওয়া হয়।
রোববার রাতে ওই হামলার পর সকালে নিজের কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সামনে আসেন উপাচার্য মো. আখতারুজ্জামান।
তিনি বলেন, “আমার বাসায় যারা এসেছিল তারা মুখোশ পড়ে এসেছিল। লাশের রাজনীতি করতে এসেছিল। প্রাণনাশের জন্য এসেছিল। দেশকে অস্থিতিশীল করতে এসেছিল।”
উপাচার্য বলেন, ‘অনেকগুলো অপশক্তি’ এ ঘটানায় জড়িত বলে তিনি মনে করছেন। তারা এই তাণ্ডব চালিয়েছে ‘সরকারের পতন’ ঘটানোর জন্য, পরিকল্পনা করে।
মামলা করবেন কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, “সরকারের আইন-কানুন আছে, সে অনুযায়ী নিশ্চেই সরকার ব্যবস্থা নেবে।”