২৪ নভেম্বর রিমান্ড শুনানি : অফিসার্স ক্লাবে গোপন বৈঠকে নেতৃত্ব দেয়া, আওয়ামী সরকারকে ক্ষমতায় আনার কারিগর, শাহজালাল বিমানবন্দরে শেখ মুজিবের ম্যুরাল স্থাপনের মাস্টারমাইন্ড, হোটেল শেরাটনে স্পেশালরুমে বিমানবালাদের ডেকে নেয়া, ভাই সনির মাধ্যমে বেবিচকে কয়েক হাজার কোটি টাকা লুটপাটের হোতা সাবেক সচিব মহিবুল হক গ্রেফতার হলেও আরেক সাবেক সচিব মোকাম্মেল- আছিয়ারা ধরাছোয়ার বাইরে!

স্টাফ রিপোর্টার : ২০১৮ সালে ঢাকা অফিসার্স ক্লাবে আমলাদের গোপন বৈঠকে নেতৃত্ব দেয়া, দিনের ভোট রাতে করে আওয়ামীলীগকে ক্ষমতায় আনার কারিগর, হযরত শাহজালাল বিমানবন্দরে বংগবন্ধু শেখ মুজিবের ম্যুরাল স্থাপনের মাস্টারমাইন্ড, কথিত আছে হোটেল শেরাটনে স্পেশালরুমে মিটিং-সিটিং-কমিশনিং, ককটেল ড্যান্সের আসর, বিমানবালাদের ডেকে নিয়ে আনন্দফুর্তি করা, ডাকে সাড়া না দেয়ায় কয়েক বিমানবালাকে চাকরিচ্যুত করা, ভাই সনির মাধ্যমে বেবিচকে ঠিকাদারি কাজের অন্তরালে বেবিচকের কয়েক হাজার কোটি টাকা লুটপাটের হোতা, মোটা অংকের উপঢৌকনে আব্দুল মালেককে বেবিচকের চীফ ইনজিনিয়ার করা বিমান ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সাবেক সিনিয়র সচিব মহিবুল হক গ্রেফতার হয়ে জেলে অন্তরীন, ২৪ নভেম্বর রোববার তার রিমান্ড শুনানি হবে।


এ দিকে আরেক আওয়ামী দোসর, শেখ পরিবারের ঘনিষ্ঠ সাবেক বিমান সচিব মোকাম্মেল ও তার বউ দুদকের কমিশনার আছিয়া বেগম এখনও ধরাছোয়ার বাইরে, তাদেরকে এখনও আইনের আওতায় আনা হয়নি।


গোপন বৈঠকের কারিগর সাবেক সচিব মহিবুল হক এবং হেলাল উদ্দিনের গোপন কারবার নিয়ে তৎ সময়ে দৈনিক যুগান্তর, বিবিসি বাংলা এবং সময়ের আলো পত্রিকায় খবর প্রকাশিত হয়।

 

‘একুশে বার্তা’র পাঠকদের জন্য এখানে তা তুলে ধরা হলো:

সংসদ নির্বাচন: অফিসার্স ক্লাবে ‘গোপন বৈঠক’ নিয়ে কে কী বলছে?

বাংলাদেশে বিরোধী দল বিএনপি অভিযোগ করেছে, সরকারি দলের পক্ষে নির্বাচন প্রভাবিত করার কৌশল ঠিক করতে প্রশাসন ও পুলিশের কিছু ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা গত সপ্তাহে ঢাকায় গোপনে এক বৈঠক করেছেন।

এক সংবাদ সম্মেলনে, বিএনপির যুগ্ম সচিব রুহুল কবির রিজভী দাবি করেন, ঐ ‘গোপন বৈঠক’ হয়েছে ২০শে নভেম্বর রাতে ঢাকার অফিসার্স ক্লাবের চারতলার পেছনের দিকের একটি সম্মেলন কক্ষে।

পুলিশ ও প্রশাসনের কোন কোন কর্মকর্তা সেই বৈঠকে ছিলেন, তার একটি তালিকাও দেন মি. রিজভী। ঐ বৈঠকে কি সিদ্ধান্ত হয়েছে, তার একটি সার-সংক্ষেপও তুলে ধরেন তিনি।

একজন সচিবের বক্তব্য
যে সব কর্মকর্তার নাম করেছেন মি. রিজভী দিয়েছেন, তাদেরই একজন বেসামরিক বিমান চলাচল এবং পর্যটন সচিব মো মহিবুল হক বিবিসিকে বলেন, তাদের ব্যাচ-মেটদের মেলামেশাকে রাজনৈতিক রং দেওয়া হচ্ছে।

বিবিসির শাহনাজ পারভিনকে সচিব মহিবুল হক বলেন, “আমরা ব্যাচ-মেটরা মাঝে মধ্যে একসাথে বসি, ভবিষ্যতেও বসবো। এটাকে পলিটিসাইজ করার কিছু নেই।”

রুহুল কবির রিজভী, বিএনপিছবির উৎস,BNP/ Facebook
ছবির ক্যাপশান,প্রশাসন ও পুলিশের কিছু কর্মকর্তা গোপনে বৈঠক করেছে – রুহুল কবির রিজভী, বিএনপি
কী বলেছেন বিএনপি নেতা
বিএনপির যুগ্ম-সচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, ঐ ‘গোপন বৈঠকে’ একজন ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, পুলিশ সূত্রের খবর অনুযায়ী ৩৩টি সিট নৌকার ‘কনফার্ম আছে’ এবং ৬০-৬৫ টিতে কনটেস্ট হবে, বাকী আর কোনো সম্ভাবনা নেই। “কাজেই সাংঘাতিক কিছু করা ছাড়া এটি উৎরানো যাবে না।”

বিএনপি নেতা আরো দাবি করেন, ঐ ‘গোপন বৈঠকে’ সিদ্ধান্ত নেয়া হয় – ‘নির্বাচন কমিশন থেকে বিএনপি-ফ্রন্টকে চরম অসহযোগিতা করা হবে, যতই চাপ দেয়া হোক প্রশাসনে হাত দেয়া যাবেনা, ধরপাকড় বাড়ানো হবে, প্রার্থী গুম খুন করে এমন অবস্থা তৈরি করা হবে যাতে তারা নির্বাচন থেকে বেরিয়ে যেতে বাধ্য হয়।’

কোন সূত্রে তারা এই ‘গোপন বৈঠকের’ কথা জেনেছেন, বিবিসির এই প্রশ্নে তিনি বলেন, “সবসময় সোর্স তো বলা যায়না। বিভিন্ন সোর্স থেকে আমরা তা জানতে পেরেছি।।’

তিনি বলেন, শুধু একটি বৈঠকই নয়, নির্বাচনকে সরকারের অনুকূলে প্রভাবিত করতে ‘দলবাজ’ কর্মকর্তারা বিভিন্ন জায়গায় দফায় দফায় বৈঠকে করছেন।

মি রিজভী বলেন, নির্বাচন কমিশনের কাছে প্রশাসন এবং পুলিশের এরকম কিছু কর্মকর্তার তালিকা তারা নির্বাচন কমিশনের কাছে দিয়েছেন, কিন্তু কোনো পদক্ষেপ দেখতে পাচ্ছেন না।

বাংলাদেশে নির্বাচনের সময় বিরোধীদের পক্ষ থেকে প্রশাসনের নিরপেক্ষতা নিয়ে সবসময় প্রশ্ন ওঠে।

২০০৬ সালের নভেম্বর মাসে তত্বাবধায়ক সরকারের সময় ঢাকার কাছে উত্তরা এলাকায় বিএনপি একজন নেতার অফিসে ঊর্ধ্বতন কিছু সরকারি কর্মকর্তাদের এক বৈঠক নিয়ে সেসময় তুমুল হৈচৈ হয়েছিল। খবরের সাথে পত্র-পত্রিকায় তখন ছবি ছাপা হয়েছিল, মুখ ঢেকে সরকারি কিছু কর্মকর্তা উত্তরা ঐ বাড়ি থেকে বেরিয়ে আসছেন।

অফিসার্স ক্লাবে কয়েকজন কর্মকর্তার ‘গোপন বৈঠকের’ অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল আলম হানিফ।

“বিএনপি একটি মিথ্যাচারী দল। তাদের এসব মিথ্যাচারকে গুরুত্ব দেওয়ার কোনো যৌক্তিকতা নেই।”

“অতীতেও তারা নানা-সময় মিথ্যাচার করেছে। ভারতের ক্ষমতাসীন দল বিজেপির প্রেসিডেন্ট অমিত শাহ’র সাথে খালেদা জিয়ার টেলিফোনে কথা হয়েছে বলে ফলাও করে প্রচার করেছিল। কিন্তু অমিত শাহ নিজেই সে ধরণের কোনো টেলিফোন আলাপের কথা অস্বীকার করেন। মার্কিন একজন সেনেটরের সই নকল করে তারা বিবৃতি দিয়েছিল।”

“তাদের কাছে প্রমাণ থাকলে প্রমাণ দিক, আদালতে যাক, নির্বাচনে কমিশনের কাছে অভিযোগ করুক।”

আমলাদের নিয়ে গোপন বৈঠকের হোতা হেলালুদ্দীন

২০১৮ সালে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগকে জয়ী করতে প্রশাসনের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের নিয়ে ভোটের আগে গোপন মিটিং করেছিলেন সাবেক ইচি সচিব হেলালুদ্দীন। একসময় তিনি প্রশাসন ক্যাডার অ্যাসোসিয়েশনের বড় পদে থাকার সুবাদে আমলাদের নিয়ন্ত্রণের কাজটি খুব সহজে করতে পারতেন। আর সে সময় প্রধান নির্বাচন কমিশনারের সঙ্গেও বেশ সখ্য ছিল সাবেক এই ইসি সচিবের। সচিব থাকা অবস্থায় জাতীয় নির্বাচন থেকে শুরু করে স্থানীয় নির্বাচনের বাজেট- সব জায়গায় হেলাল আর তৎকালীন প্রধান নির্বাচন কমিশনারের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে। কিন্তু আওয়ামী লীগ সরকার তা কখনোই আমলে নেয়নি।

২০১৮ সালের ২০ নভেম্বর ঢাকা অফিসার্স ক্লাবের একটি কনফারেন্স রুমে আমলাদের নিয়ে হেলাল উদ্দিনের নেতৃত্বে গোপন বৈঠক হয়। বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হয় মূলত আওয়ামী লীগের পক্ষে কাজ করার জন্য কৌশল পদ্ধতি বের করার জন্য। গোপন সেই বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল, জেলা প্রশাসকরা যেন আওয়ামী লীগ প্রার্থীদের পক্ষে নীরবে কাজ করেন। আর অন্য দলের প্রার্থীদের কোনোভাবেই যেন প্রশ্রয় না দেওয়া হয়।

জানা গেছে, সেই বৈঠকে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রীর সচিব সাজ্জাদুল হাসানও অংশ নেন (পরে তিনি ডামি নির্বাচনের মাধ্যমে এমপি হয়েছিলেন)। এছাড়া অংশ নেন সাবেক জনপ্রশাসন সচিব ফয়েজ আহমেদ, পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সাবেক সচিব কবির বিন আনোয়ার, সাবেক বেসামরিক বিমান পরিবহন সচিব মহিবুল হক (যিনি পরে দুর্নীতির কারণে ঢাকা ত্যাগ করেন; বর্তমানে স্ত্রীপুত্রসহ কানাডায় বসবাস করছেন), সাবেক ঢাকা বিভাগীয় কমিশনার আলী আজম, সাবেক প্রধানমন্ত্রীর এপিএস-১ কাজী নিশাত রসূলসহ আরও অনেকে।

জানা গেছে, নির্বাচনকে কেন্দ্র করে পরে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউজে একই ধরনের আরও একটি গোপন বৈঠক হয়। ওই বৈঠকে ইসি জনসংযোগ শাখার যুগ্ম সচিব আসাদুজ্জামানও ছিলেন।

নির্বাচনের পর হেলাল স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব হিসেবে বদলি হয়ে আসেন। এখানেও তার পছন্দের মানুষের বিভিন্ন কাজ দেওয়ার নামে দুর্নীতির আশ্রয় নেন। বিশেষ করে স্থানীয় প্রকৌশল বিভাগের ইঞ্জিনিয়ার বদলি থেকে শুরু করে বিভিন্ন ধরনের টেন্ডারে একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ কমিশন নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। শুধু আওয়ামী লীগের হয়ে কাজ করার জন্য এবং সব অবস্থায় দলটির সঙ্গে থাকার কারণে এসব অভিযোগ কখনোই আমলে নেওয়া হয়নি।

নির্বাচন কমিশনের একাধিক সূত্র মনে করে, ২০১৮ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচন ঘিরে হেলালের অপতৎপরতা ছিল চোখে পড়ার মতো। তার মাধ্যমে সুষ্ঠু ভোট না করেই ক্ষমতা দখল করে আওয়ামী লীগ।

১৯৮৮ সালের সপ্তম বিসিএসের মাধ্যমে সরকারি চাকরিতে যোগ দেওয়া হেলালুদ্দীন আহমেদ ২০২২ সালের ১৯ মে সচিব হিসেবে অবসরে যান। পরে সরকার তাকে আবার সরকারি কর্ম কমিশনে (পিএসসি) সদস্য হিসেবে নিয়োগ দেয়। এ সময়ে ছাত্রলীগ ক্যাডারের ছেলেদের চাকরি দেওয়ার জন্য বেশ তৎপর হন বলে সংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্রে জানা গেছে। ছাত্র-জনতার বৈষম্যের আন্দোলনে গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর অর্থাৎ ক্ষমতার পালাবদলের মধ্যে গত ৯ অক্টোবর পিএসসি চেয়ারম্যান সোহরাব হোসাইনসহ অন্য সদস্যদের সঙ্গে হেলালুদ্দীন আহমেদ পদত্যাগ করেন।

গত ২৩ অক্টোবর সন্ধ্যায় বন্দরনগরী চট্টগ্রামের খুলশীর একটি বাসা থেকে গ্রেফতার হন হেলালুদ্দীন। কোতোয়ালী থানা পুলিশ তাকে আটক করে। পরে অবশ্য চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশের এডিসি (মিডিয়া) তারেক আজিজ জানান, ঢাকা মহানগর পুলিশের অনুরোধে হেলালুদ্দীন আহমেদকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গত ৩০ সেপ্টেম্বর রাজধানীর পল্টন থানায় হওয়া হত্যা ও বিস্ফোরক আইনের মামলায় তিনি এজাহারনামীয় আসামি। এছাড়া সাবেক তিন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী রকিবউদ্দিন আহমেদ, কে এম নুরুল হুদা, কাজী হাবিবুল আউয়াল ও সাবেক ইসি সচিব হেলালুদ্দীন আহমেদকেও এই মামলায় আসামি করা হয়েছে।

সময়ের আলো/আরএস/

সেই ‘গোপন বৈঠক’ নিয়ে দুই সচিবের বক্তব্য

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে প্রশাসন ও পুলিশের কিছু কর্মকর্তা গোপন বৈঠক করেছেন বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির বিএনপির যুগ্ম সচিব রুহুল কবির রিজভী।

শনিবার এক সংবাদ সম্মেলনে রিজভী দাবি করেন, ২০ নভেম্বর রাতে ঢাকার অফিসার্স ক্লাবের চারতলার পেছনের দিকের একটি সম্মেলন কক্ষে ওই ‘গোপন বৈঠক’ হয়েছে।

ওই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন অভিযোগ করে সরকারে বেশকিছু উচ্চপর্যায়ের ব্যক্তিদের নাম প্রকাশ করেছেন রিজভী। যার মধ্যে রয়েছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সচিব ফয়েজ আহমেদ ও বেসামরিক বিমান পরিবহন সচিব মহিবুল হকসহ উচ্চপদস্থ বিভিন্ন কর্মকর্তাদের নাম।

রিজভী অভিযোগ করেন, রাত সাড়ে ৭টা থেকে আড়াই ঘণ্টা ধরে চলা এ মিটিংয়ে সারা দেশের ইলেকশন ইঞ্জিনিয়ারিং সেটআপ ও প্ল্যান রিভিউ করা হয়।

রিজভী জানান, ওই মিটিংয়ে পুলিশের একজন ডিআইজি বলেছেন, পুলিশ সূত্রের খবর অনুযায়ী ৩৩টি সিট নৌকার কনফার্ম আছে এবং ৬০-৬৫ টিতে কনটেস্ট হবে, বাকিগুলোতে আর কোনো সম্ভাবনা নেই। কাজেই সাংঘাতিক কিছু করা ছাড়া এটি উতরানো যাবে না।

তবে গোপন বৈঠকের বিষয়টি সম্পূর্ণভাবে অস্বীকার করেছেন জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সচিব ফয়েজ আহমেদ। আর বেসামরিক বিমান চলাচল এবং পর্যটন সচিব মো মহিবুল হক বলছেন এটি গোপন বৈঠক ছিল না। তাদের ব্যাচমেটদের একসঙ্গে বসা।

এ বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে শনিবার রাতে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সচিব ফয়েজ আহম্মদ যুগান্তরকে বলেন, এটি একেবারেই শতভাগ ডাহা মিথ্যা খবর। ওই দিন আমি রাত ৮টা পর্যন্ত নিজ দফতরে কাজে ব্যস্ত ছিলাম। এরপর পারিবারিক একটি প্রোগ্রামে অংশ নিতে বাসায় চলে যাই। অফিসার্স ক্লাবে আমি যাইইনি। অথচ আমারও নাম ওখানে ব্যবহার করা হয়েছে। তাই যারা এটি প্রোপাগান্ডা ছড়িয়েছে এবং বক্তব্য বিবৃতি দিয়েছেন তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থার নেয়ার চিন্তা করছি।

এ বিষয়ে শনিবার রাত বেসামরিক বিমান চলাচল এবং পর্যটন সচিব মহিবুল হক যুগান্তরকে বলেন, ‘যারা এসব মিথ্যাচার করেছে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

ব্যাচমেটদের মেলামেশাকে রাজনৈতিক রং দেয়া হচ্ছে বলে মন্তব্য করে সচিব মহিবুল হক বলেন, আমরা ব্যাচমেটরা মাঝেমধ্যে একসঙ্গে বসি, ভবিষ্যতেও বসব। এটাকে পলিটিসাইজ করার কিছু নেই।

এদিকে অফিসার্স ক্লাবে গোপন বৈঠকের অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল আলম হানিফ।

তিনি বলেন, বিএনপি একটি মিথ্যাচারী দল। তাদের এসব মিথ্যাচারকে গুরুত্ব দেয়ার কোনো যৌক্তিকতা নেই। অতীতেও তারা নানা-সময় মিথ্যাচার করেছে। ভারতের ক্ষমতাসীন দল বিজেপির প্রেসিডেন্ট অমিত শাহ’র সঙ্গে খালেদা জিয়ার টেলিফোনে কথা হয়েছে বলে ফলাও করে প্রচার করেছিল। কিন্তু অমিত শাহ নিজেই সে ধরনের কোনো টেলিফোন আলাপের কথা অস্বীকার করেন। মার্কিন একজন সেনেটরের সই নকল করে তারা বিবৃতি দিয়েছিল।