শনিবার, ২৭ Jul ২০২৪, ০২:৩২ অপরাহ্ন
ব্রেকিং নিউজ:
৭ লাখ ৯৭ হাজার কোটি টাকার ৫৩তম বাজেট পেশ

ডেক্স রিপোর্ট : ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেট দিলেন অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী। এটি এ সরকারের টানা চতুর্থ মেয়াদের প্রথম বাজেট, আর অর্থমন্ত্রী হিসেবে আবুল হাসান মাহমুদ আলীর প্রথম বাজেট। আর বাংলাদেশের ৫৩তম বাজেট। স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপস্থিতিতে জাতীয় সংসদে ২০২৩-২৪ অর্থবছরের এ বাজেট প্রস্তাব উপস্থাপন করেন অর্থমন্ত্রী। তার আগে বিশেষ মন্ত্রিসভায় অনুমোদনের পর ওই প্রস্তাবে সই করেন প্রেসিডেন্ট মো. সাহাবুদ্দিন। এ সময় অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) চেয়ারম্যান ও অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগের (আইআরডি) সিনিয়র সচিব আবু হেনা মো. রহমাতুল মুমিন, অর্থ বিভাগের সচিব খায়েরুজ্জামান মজুমদার, আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব মো. আবদুর রহমান খান এবং বঙ্গভবনের সংশ্লিষ্ট সচিবরা উপস্থিত ছিলেন। বাজেটের সেøাগান ‘টেকসই উন্নয়নের পরিক্রমায় স্মার্ট বাংলাদেশের স্বপ্নযাত্রা’। এবারের বাজেটে জনতুষ্টির খুব সীমিত কিছু পদক্ষেপের কথা বলা হয়েছে। বেশির ভাগ পদক্ষেপই জনভোগান্তি বাড়াবে। আইএমএফের শর্ত বাস্তবায়নে করের আওতা বাড়ানো হয়েছে। এর প্রভাবে সব ধরনের পণ্য ও সেবার দাম বাড়বে। ডলারের দাম ও সুদেও হারও বাড়বে। এতে শিল্পের ও ব্যবসার খরচ বাড়বে। সব মিলে পণ্যমূল্যকে আরও উস্কে দেবে, যা মোকাবিলা করার মতো যথেষ্ট পদক্ষেপ নেই বলে মনে করছেন দেশের শীর্ষস্থানীয় অর্থনীতিবিদরা। এদিকে বিনিয়োগ বাড়িয়ে নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টির মতো যথেষ্ট পদক্ষেপ নেই। আর প্রধান চ্যালেঞ্জ মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে আনার কোনো পথরেখা দেওয়া হয়নি। আর তাই অনেকেই এবারের বাজেটকে তাই নিয়ম রক্ষার বাজেট হিসেবে দেখছেন। এছাড়া অনেক বিশ্লেষক বলছেন, নানামুখী অর্থনৈতিক চাপের মধ্যেও উন্নয়নশীল দেশ হওয়ার দ্বারপ্রান্তে দাঁড়িয়ে বড় ঘাটতির বাজেট উপস্থাপন করেছেন অর্থমন্ত্রী। অর্থমন্ত্রী প্রস্তাব করেছেন, ১৭ শতাংশের বেশি তাকে জোগাড় করতে হবে ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে। এর মধ্যে ৫ লাখ ৪১ হাজার কোটি টাকা তিনি রাজস্ব খাত থেকে যোগান দেওয়ার পরিকল্পনা সাজিয়েছেন, যা বাস্তবায়ন করা হবে বড় চ্যালেঞ্জ। তারপরও তার আয় ও ব্যয়ের হিসাবে সামগ্রিক ঘাটতি থাকবে ২ লাখ ৫১ হাজার ৬০০ কোটি টাকার বেশি, যা ২০২৩-২৪ অর্থবছরের সংশোধিত বাজেটের তুলনায় ৮ শতাংশ বেশি।
বিশ্লেষকরা বলছেন, বছরের পর বছর ধরে ঋণনির্ভর বাজেটের ধারা চলতে থাকায় দেশের অর্থনীতিতে চাপ সৃষ্টি হচ্ছে। ব্যাংক থেকে সরকার বেশি বেশি ঋণ নেওয়ায় তারল্য সঙ্কট দেখা দিচ্ছে সময়ে সময়ে। বেসরকারি খাতে বিনিয়োগ বাড়াতে তা বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, আয়ের চেয়ে ব্যয় বাড়ালেই ঘাটতি আরো বাড়বে। বাজেট বড় হলে রাজস্ব আদায়ের চাপ বাড়বে ব্যবসায়ীদের ওপর। তারা কোথা থেকে দেবে? সব চাপ তো জনগণের ঘাড়ে পড়ছে। সরকারের আয়ের সংস্থান করেই ব্যয় ঠিক করতে হবে। বাজেট বড় করলাম, কিন্তু তা ঋণ করে নিতে হচ্ছে। এতে তো খরচ বাড়বে, টাকার সরবরাহ বাড়িয়ে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ সম্ভব না। বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) নির্বাহী পরিচালক ফাহমিদা খাতুন বলেছেন, চ্যালেঞ্জিং সময়ে গতানুগতিক বাজেট কোনো সমস্যার সমাধান দিতে পারবে না। সিপিডি সম্মানীয় ফেলো ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেছেন, মূল্যস্ফীতি সাড়ে ৯ থেকে সাড়ে ৬ শতাংশে নামিয়ে আনতে যে পথরেখা দরকার তা দিতে পারেননি অর্থমন্ত্রী।
গতকাল বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে আগামী ২০২৪-২৫ অর্থবছরের ঢাউস আকৃতির ৩৪৫ পৃষ্ঠার এই বাজেট বক্তৃতা পুরোটি পড়েননি অর্থমন্ত্রী। তবে পুরো বাজেট বক্তৃতাটি পঠিত হবে বলে গণ্য হয়েছে। এর আগে কখনোই এত বড় বাজেট বক্তৃতা প্রণয়ন করা হয়নি। পুরো বক্তৃতায় সরকারের বিগত ১৫ বছরের উন্নয়ন কর্মকাÐের ফিরিস্তি তুলে ধরেছেন ৮২ বছর বয়সী অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী। তবে বহুল প্রত্যাশিত ব্যাংক খাতের সংস্কারের বিষয়ে সুনির্দিষ্ট কোনো কর্মপরিকল্পনা ঘোষণা করেননি। সুখবর দেননি শেয়ারবাজারে। উল্টো নতুন করে কর বসিয়েছেন। বাজারে ভোক্তাকে সাশ্রয় দেওয়ার বিষয়েও সুনির্দিষ্টভাবে কোনো কথা বলেননি। উন্নয়ন কর্মকাÐের ফিরিস্তি ও আগামীতে আরো বেশি উন্নয়ন হবে ও গ্রামের মানুষ আরো উন্নত সুবিধা পাবে এমন স্বপ্নের জাল বুনতে তিনি ভুল করেননি। যে জন্য এবারের বাজেটে মূল প্রতিপাদ্য বিষয় রাখা হয়েছে, ‘সুখী, সমৃদ্ধ, উন্নত ও স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের অঙ্গীকার।’
এবারের বাজেট প্রণয়নের সময় আইএমএফের শর্তগুলো সরকার খুব নিবিড়ভাবে মনে রেখেছে। বাজেটের পদে পদে তাদের শর্ত বাস্তবায়নের রূপরেখা স্পষ্ট। শর্ত বাস্তবায়ন করতে গিয়ে বাজাটের আকার খুব বেশি বড় করা হয়নি। মূলত কৃচ্ছ্রতা সাধনের জন্যই টাকার সঙ্কটের কারণে বাজেটের আকার কমানো হয়েছে। বাজেটের আকার ৭ লাখ ৯৭ হাজার কোটি টাকা, যা বর্তমানের চেয়ে মাত্র ৪ শতাংশের একটু বেশি। সংশোধিত বাজেটের তুলনায় সাড়ে ১১ শতাংশ বেশি। আগে বাজেটের আকার ১৪ থেকে ১৬ শতাংশ বেশি বাড়তো। অর্থনীতির আকার ৭ শতাংশ বাড়লে ও মূল্যস্ফীতির ১০ শতাংশ ধরে নিলে স্থিরমূল্যে বাজেটের আকার ১২ শতাংশের বেশি সংকুচিত হয়েছে। এবারের বাজেটে সরকার সহজ করে নজর দিয়েছে বেশি। এর মধ্যে ব্যাংক খাত ও মোবাইল ফোন খাত থেকে করের একটি বড় অংশ সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে। কর দেওয়ার ক্ষেত্রে বর্তমানে যেসব খাত ছাড় বা অব্যাহতি পাচ্ছে, সেগুলো থেকে তা ধীরে ধীরে প্রত্যাহারের পরিকল্পনা করছে সরকার।
এবারের বাজেটের বড় দিক হচ্ছে বিশাল ঘাটতি। এ ঘাটতি মোকাবিলায় সরকার দেশি-বিদেশি উৎস্য থেকে ঋণ নেবে। আবার ঋণের টাকা পরিশোধ করবে নতুন ঋণের অর্থ দিয়ে। সম্মিলিত প্রয়াসে শত ঘাত-প্রতিঘাত পেরিয়ে অপরাজেয় প্রত্যয়ে বার বার ঘুরে দাঁড়িয়েছে এবং ভবিষ্যতেও এই ধারা অব্যাহত রাখার দৃপ্ত অঙ্গীকার করেছেন অর্থমন্ত্রী তার ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেটে।
মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে কৃচ্ছ্রসাধন কর্মসূচি সীমিত পরিসরে চালু রাখা হলেও উচ্চ মূল্যস্ফীতির চাপ হতে নিম্ন আয়ের মানুষের সুরক্ষা প্রদান কার্যক্রমের পরিধি বাড়ানোর কথা জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী। অর্থমন্ত্রী বলেন, দেশের বাজারে সরবরাহ-শৃঙ্খলে ত্রæটি মূল্যস্ফীতির অন্যতম কারণ। তবে আরেকটি বড় কারণ হচ্ছে বৈদেশিক মুদ্রার বিপরীতে টাকার অবচিতি (মান কমে যাওয়া)। ২০২২ সালের জুলাই থেকে চলতি অর্থবছরের মে পর্যন্ত মার্কিন ডলারের বিপরীতে টাকার মান ২৫ দশমিক ৫ শতাংশ কমেছে। এতে আমদানি করা পণ্যের দাম বেড়েছে, যা মূল্যস্ফীতি বাড়িয়ে দিয়েছে। স্মার্ট বাংলাদেশের দর্শনকে দর্পণে রূপান্তরের লক্ষ্যে প্রতিটি খাতে আধুনিকায়ন ও প্রযুক্তির সর্বোচ্চ ব্যবহারের ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়েছে। চতুর্থ শিল্পবিপ্লব উপযোগী ভৌত, সামাজিক ও প্রযুক্তি অবকাঠামো বিনির্মাণের প্রতি জোর দেয়া হয়েছে যাতে স্মার্ট সমাজ, স্মার্ট নাগরিক, স্মার্ট সরকার এবং সর্বোপরি স্মার্ট অর্থনীতির সুফল দেশের সর্বশেষ প্রান্তে থাকা নাগরিকের কাছেও পৌঁছে দেওয়ার কথা জানান অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী।
এদিকে অর্থনীতি চাঙ্গায় এবং বিনিয়োগ আকর্ষণে আগামী জুলাই মাস থেকে এক বছরের জন্য কালো টাকা সাদা করার ঢালাও সুযোগ দেওয়া হয়েছে। নগদ টাকা ১৫ শতাংশ কর দিয়ে বিনা প্রশ্নে বৈধ বা সাদা করা যাবে। একইভাবে জমি, ফ্ল্যাট, অ্যাপার্টমেন্ট কিনেও এলাকাভেদে নির্দিষ্ট হারে কর দিয়ে টাকা সাদা করা যাবে। সংসদ সদস্যদের আমদানি করা গাড়ির ওপর ২৫ শতাংশ আমদানি শুল্ক বসানো হয়েছে। পাশাপাশি আমদানি পর্যায়ে ১৫ শতাংশ ভ্যাট আরোপের প্রস্তাবও করা হয়েছে। ফলে সংসদ সদস্যদের শুল্কমুক্ত গাড়ি সুবিধা পুরোপুরি থাকছে না।
ব্যক্তিশ্রেণির করদাতাদের বার্ষিক করমুক্ত আয়সীমা বাড়েনি। আগের মতোই বার্ষিক করমুক্ত আয়সীমা সাড়ে তিন লাখ টাকা অপরিবর্তিত রাখার প্রস্তাব করেছেন অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী। বরং ব্যক্তিশ্রেণির করদাতাদের জন্য সর্বোচ্চ পর্যায়ে ৩০ শতাংশ হারে নতুন একটি কর স্তর তৈরি করার প্রস্তাব করেছেন তিনি।
২০২৪-২৫ অর্থবছরের জিডিপি প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৬ দশমিক ৭৫ শতাংশ। টাকার অংকে ৫৫ লাখ ৯৭ হাজার ৪১৪ কোটি টাকা। অর্থমন্ত্রী বলেন, উচ্চ মূল্যস্ফীতির কারণে দেশের অর্থনীতি বর্তমানে কিছুটা চাপের মুখে থাকলেও প্রাজ্ঞ ও সঠিক নীতিকৌশল বাস্তবায়নের ফলে জিডিপি প্রবৃদ্ধির ধারা অব্যাহত আছে। জিডিপি প্রবৃদ্ধির এ গতি আগামী দিনে ধরে রাখার লক্ষ্যে কৃষি ও শিল্প খাতের উৎপাদন উৎসাহিত করতে সব ধরনের যৌক্তিক সহায়তা অব্যাহত রাখা হবে। আগামী অর্থবছরে মূল্যস্ফীতি ৬ দশমিক ৫ শতাংশে নেমে আসবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন অর্থমন্ত্রী। তিনি বলেন, মূল্যস্ফীতির হার কমিয়ে আনার লক্ষ্যে সংকোচনমূলক মুদ্রানীতি অনুসরণ করা হচ্ছে এবং রাজস্ব নীতিতেও সহায়ক নীতিকৌশল অবলম্বন করা হচ্ছে। মূল্যস্ফীতির চাপ থেকে সাধারণ মানুষকে সুরক্ষা দিতে ফ্যামিলি কার্ড, ওএমএস ইত্যাদি কার্যক্রম জোরদার করা হয়েছে। তিনি বলেন, আমাদের গৃহীত এসব নীতিকৌশলের ফলে আশা করছি আগামী অর্থবছরে মূল্যস্ফীতি ৬ দশমিক ৫ শতাংশে নেমে আসবে। এছাড়া নির্বাচনী ইশতেহারের অঙ্গীকার বাস্তবায়নের লক্ষ্যে প্রাথমিক ভিত্তি রচনা করার কথা জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী।
এক নজরে বাজেট
আগামী ২০২৪-২৫ অর্থবছরে বাজেটের আকার ধরা হয়েছে ৭ লাখ ৯৭ হাজার কোটি টাকা, যা চলতি অর্থবছরের চেয়ে ৩৫ হাজার ২১৫ কোটি টাকা বেশি। আর সংশোধিত বাজেটের চেয়ে ৮২ হাজার ৫৮২ কোটি টাকা বেশি। মোট আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৫ লাখ ৪১ হাজার কোটি টাকা, যা চলতি অর্থবছরের চেয়ে ৪১ হাজার কোটি টাকা বেশি। আর সংশোধিত বাজেটের চেয়ে ৬৩ হাজার কোটি টাকা বেশি। এর মধ্যে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড নিয়ন্ত্রিত করে আহরণের লক্ষ্যমাত্রা ৪ লাখ ৮০ হাজার কোটি টাকা, যা চলতি অর্থবছরের চেয়ে ৫০ হাজার কোটি টাকা বেশি, আর সংশোধিত লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৭০ হাজার কোটি টাকা বেশি। এনবিআর বহির্ভূত কর আহরণের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ১৫ হাজার কোটি টাকা, যা চলতি অর্থবছরের চেয়ে ৫ হাজার কোটি টাকা কম। আর সংশোধিত লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৪ হাজার কোটি টাকা কম। কর ব্যতীত প্রাপ্তির লক্ষ্যমাত্রা ৪৬ হাজার কোটি টাকা, যা চলতি অর্থবছরের চেয়ে ৪ হাজার কোটি টাকা কম আর সংশোধিত লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৩ হাজার কোটি টাকা কম। বাজেট ঘাটতি ধরা হয়েছে ২ লাখ ৫৬ হাজার কোটি টাকা, যা জিডিপির ৪ দশমকি ৫ শতাংশ। চলতি অর্থবছরে ঘাটতির পরিমাণ ছিল ২ লাখ ৬১ হাজার ৭৮৫ কোটি টাকা, যা সংশোধিত বাজেটে ২ লাখ ৩৬ হাজার ৪১৮ কোটি টাকা। ঘাটতি মেটাতে বৈদেশিক ঋণ নেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ১ লাখ ২৭ হাজার ২০০ কোটি টাকা। চলতি অর্থবছরে বিদেশি ঋণ নেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল ১ লাখ ২৭ হাজার ১৯০ কোটি টাকা। এছাড়া ব্যাংকব্যবস্থা থেকে ঋণ নেওয়া হবে ১ লাখ ৩৭ হাজার ৫০০ কোটি টাকা। চলতি অর্থবছরে ব্যাংকিং খাত থেকে ঋণ নেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১ লাখ ৩২ হাজার ৩৯৫ কোটি টাকা। ব্যাংক বহির্ভূত ঋণের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ২৩ হাজার ৪০০ কোটি টাকা, যা চলতি অর্থবছরে ছিল ২৩ হাজার কোটি টাকা আর সংশোধিত বাজেটে তা কমিয়ে ৬৯০ কোটি টাকা করা হয়। আগামী অর্থবছরে সঞ্চয়পত্র থেকে ঋণ নেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ১৫ হাজার ৪০০ কোটি টাকা। চলতি অর্থবছরে লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১৮ হাজার কোটি টাকা। অভ্যন্তরীণ ঋণের সুদ পরিশোধে ব্যয়ের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৯৩ হাজার কোটি টাকা, চলতি অর্থবছরে পরিশোধের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৮২ হাজার কোটি টাকা। বৈদেশিক ঋণের সুদ পরিশোধের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ২০ হাজার ৫০০ কোটি টাকা, যা চলতি অর্থবছরে ছিল ১২ হাজার ৩৭৬ কোটি টাকা। বার্ষিক উন্নয়ন কর্মস‚চির (এডিপি) লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ২ লাখ ৬৫ হাজার কোটি টাকা, যা চলতি অর্থবছরে ২ লাখ ৬৩ হাজার কোটি টাকা।

 

এই ওয়েবসাইটের যে কোনো লেখা বা ছবি পুনঃপ্রকাশের ক্ষেত্রে ঋন স্বীকার বাঞ্চনীয় ।