বৃহস্পতিবার, ১৬ মে ২০২৪, ০৮:০৫ অপরাহ্ন
ব্রেকিং নিউজ:
উত্তরখান থানার ওসি থানায় আদালত খুলে বসেছে: মামলা বিচারাধীন থাকার পরও প্রবাসীর স্ত্রী সালমাকে মিথ্যা অভিযোগে ফাসিয়ে বাড়ি দখলের পায়তারা করছে

নিজস্ব প্রতিবেদক : ডিএমপির উত্তরখান থানার ওসি হেলাল উদ্দিন থানায় আদালত খুলে বসেছেন। আদালতে মামলা বিচারাধীন থাকার পরও ওসির প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ মদদে প্রবাসীর স্ত্রী সালমাকে সংঘবদ্ব সন্ত্রাসীরা বাড়িতে হামলা করে বিতাড়িত করেছে। তার দুই নাবালক শিশু কন্যাকে জিম্মি করে তার নামে মিথ্যা অভিযোগে ফাসিয়ে তার উত্তরখানের আটিপাড়ায় ২০/২৬ কুড়িপাড়াটেকের বাড়িটি দখলের পায়তারা করছে। যে কোন মুহূর্তে বাড়িটি বেদখল হয়ে যাবে। বাহরাইন প্রবাসী জাহাংগীর আলমের স্ত্রী সালমা বেগম এসব অভিযোগ করেছেন। অভিযোগে তিনি জানান,উত্তরখান থানার ওসি হেলাল উদ্দিন এবং এএসআই বখতিয়ারের মদদে কুচক্রী বেলায়েতন নেছার সহযোগিতায় সন্ত্রাসী রায়হান এমরান সুমনের নেতৃত্বে সংঘবদ্ধ সন্ত্রাসীরা প্রবাসী জাহাংগীরের বাড়ি দখলের পায়তারা করছে।
গত ২০ ডিসেম্বর গভীর রাতে প্রবাসী জাহাংগীরের উত্তরখানের আটিপাড়ায় ২০/২৬ কুড়িপাড়াটেকের বাড়িতে সন্ত্রাসী রায়হান এমরান সুমনের নেতৃত্বে একদল সংঘবদ্ধ সন্ত্রাসীরা প্রবাসী জাহাংগীরের বাড়িতে সশস্ত্র হামলা করে তার স্ত্রী সালামা ও দুই শিশু কন্যাকে জিম্মি করে সন্ত্রাসী কায়দায় জোর করে বাড়ি থেকে বের দিতে উদ্যত হয়। সালমার আর্ত চিৎকারে আশপাশের প্রতিবেশীরা ছুটে এলে সন্ত্রাসীরা একটি কক্ষে বাইরে থেকে তালাবদ্ধ করে সটকে পড়ে। উত্তরখান থানায় মামলা করতে গেলে থানা পুলিশ মামলা নেয়নি। রুমের তালা দেয়ার ব্যাপারে পুলিশ বলে যে, আমরা আপনার ঘরের তালা ভাংবো কেন? কে তালা দিয়েছে, আমরা কি জানি নাকি? এ সব কথা বলে প্রবাসীর স্ত্রী সালমাকে তুচ্ছতাছিল্য করে তাকে এবং তার ভাইকে থানা থেকে বের করে দেয় বলেও অভিযোগ। পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন পর্যন্ত করতে আসেনি, মামলা নেয়নি বলে প্রবাসী জাহাংগীরের স্ত্রী সালামা অভিযোগ করেছেন। পরে প্রবাসীর স্ত্রী সালমা আদালতে মামলা করতে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন।
সালামা জানায়, ২০০৭ সালে তার স্বামী উত্তরখানের আটিপাড়ায় পৌণে ৪ কাঠা জায়গা ক্রয় করে ২০০৯ সালে বাড়ি করে বসবাস করছে। এখন প্রতিবেশি কুচক্রী বেলায়েতুন নেছা গংরা একটি ভুয়া দলিল বানিয়ে পুলিশের সহায়তায় বাড়িটি দখলের পায়তারা করছে। ইতিমধ্যেই বাড়িটি দখলের জন্য কয়েকদফা সন্ত্রাসী রায়হান এমরান সুমনের নেতৃত্বে হামলা করা হয়েছে। একটি ঘটনায় উত্তরখান থানা পুলিশ একটি জিডি নিয়েছে। এর পর থেকে থানা পুলিশ ম্যানেজ হয়ে যাওয়ায় আর কোন সন্ত্রাসী হামলার জিডি বা মামলা নিচ্ছে না।
‘উত্তরখান থানার ওসি হেলাল উদ্দিন এবং এএসআই বখতিয়ারের মদদে সন্ত্রাসী সুমনের নেতৃত্বে প্রবাসী জাহাংগীরের বাড়ি দখলের পায়তারা’ বিষয়ক অভিযোগ ডিএমপি কমিশনার বরাবর করা হয়েছে। অভিযোগের অনুলিপি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্র সচিব, মহাপুলিশ পরিদর্শকসহ সংশ্লিষ্ট দপ্তরে পাঠানো হয়েছে।
এদিকে প্রবাসী জাহাংগীরের স্ত্রী সালমাকে সন্ত্রাসীরা তার বাড়িতে হামলা করে তাকে বাড়ি থেকে বিতাড়িত করার পর তার দুই নাবালক শিশু কন্যাকে ওই বাড়িতে জিম্মি করে রেখেছে সন্ত্রাসী রায়হান এমরান সুমন। থানায় সালমা বেগমের নামে মিথ্যা অভিযোগ দায়ের করেছে, মিথ্যা মেডিকেল সনদ থানায় জমা দিয়েছে, মিথ্যা মামলা দায়ের করার জন্য। ফলে সালমা গ্রেফতারের ভয়ে বাড়িতে ফিরতে পারছে না। বাড়িতে ফিরলেই তাকে ( সালমা) উত্তরখান থানা পুলিশ গ্রেফতার করবে বলে ওসি ঘোষণা করেছেন। তার দুই শিশু সন্তান তাদের নানীর হেফাজতে থেকে মায়ের জন্য কান্নাকাটি করছে। বিষয়টি অমানবিক ও মানবাধিকার লংঘন হলেও উত্তরখান থানার ওসি হেলাল উদ্দিন তা আমলে না নিচ্ছেন না।

এই ওয়েবসাইটের যে কোনো লেখা বা ছবি পুনঃপ্রকাশের ক্ষেত্রে ঋন স্বীকার বাঞ্চনীয় ।