বৃহস্পতিবার, ১৬ মে ২০২৪, ০৪:০৪ অপরাহ্ন
ব্রেকিং নিউজ:
সিভিল এভিয়েশন : তথ্য পাচার, ঘুষ দুর্নীতিসহ নানা অভিযোগে সাসাপেন্ডকৃত প্রকৌশলী আবার কলকাঠি নাড়ছে ইএম-১-এ নির্বাহী প্রকৌশলী পদে বসার জন্য : প্রশাসনে জোরালো তদবির : সিএএবি কর্তৃপক্ষ নাখোশ

বিশেষ সংবাদদাতা : সিভিল এভিয়েশন থেকে বাইরে তথ্য পাচার, ঘুষ , দুর্নীতি, ঠিকাদারের হাতে লান্ঞিত হওয়া প্রকৌশলী মিহির চাদ দে আবার ইএম-১-এ নির্বাহী প্রকৌশলী হিসেবে বসার জন্য পায়তারা করছে। সকাল বিকাল সারাদিন সিভিল এভিয়েশনের প্রশাসন বিভাগে ধরনা দিয়ে যাচ্ছেন। কিন্ত সিভিল এভিয়েশনের প্রশাসন তার প্রতি চরম নাখোশ। কারন হিসেবে সিএএবির একাধিক সূত্রে জানা গেছে, প্রকৌশলী মিহির চাদ দেকে যেখানেই দায়িত্ব দেয়া হয়েছে সেখানেই তিনি কলংকের ছাপ একেছেন। সর্বশেষ তিনি জাপানি সংস্থা জাইকাতেও কেলেঙকারির জন্ম দিয়ে এসেছেন। এতে করে সিএএবির মান-ইজ্জত কিছুটা হলেও ক্ষুন্ন হয়েছে। এই প্রকৌশলী মিহির চাদ কর্তৃপক্ষের সই জাল করতে ওস্তাদ! তিনি সিএএবির চেয়ারম্যান এমনকি প্রধান প্রকৌশলীর সই পর্যন্ত জাল করেছেন বলে শোনা যায়। সাবেক এক প্রধান প্রকৌশলীর এক পিপিআরে তার এবং ওই প্রধান প্রকৌশলীর জাল সই করে সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারকে কেনাকাটায় সহায়তা করেছেন বলেও জনশ্রুতি রয়েছে।
সূত্রে জানা গেছে , সিভিল এভিয়েশনের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট গোপন খবর প্রকৌশলী মিহির চাদ দে বাইরে বা বিভিন্ন গণ মাধ্যমে পাচার করতের বলে অভিযোগ রয়েছে। এ অভিযোগে তাকে ২০০৯ সালে চাকরি থেকে সাময়িক সাসপেন্ড করা হয়। সিএএবির তৎকালনি চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল অব. সাকেব ইকবাল খান মজলিস তার সাসপেন্ডের চিঠিতে স্বাক্ষর করেন। তৎকালীন প্রধান প্রকৌশলী হারুনর রশিদ ভুইয়া তাকে ভৎর্সনা করেন। এ ভাবে তিনি একটার পর একটা খারাপ কাজের দৃষ্টান্ত স্থাপন করে চলেছেন।
সূত্র জানায়, প্রকৌশলী মিহির চাদ দেকে সিএএবির এমটি পুলে দায়িত্ব দেয়ার পর তিনি সেখানে নিজস্ব ও পরিচিত গ্যারেজের মিস্ত্রি ডেকে এনে নষ্ট অকেজে গাড়ি মেরামত বা ফিট করার নামে সিএএবির তহবিল তছরুপ করেছেন বলেও জনশ্রুতি রয়েছে। গাড়ির মূল্যবান পার্টস নাকি তিনি এধার- ওধার করেছেন।
সূত্র জানায়, ডিভিশন-৩ নির্বাহী প্রকৌশলী হিসেবে দায়িত্ব দেয়ার পর এই প্রকৌশলী মিহির চাদ দে বিভিন্ন বিমানবন্দরের উন্নয়নমুলক ও মেরামত কাজের জন্য কাজ না করে অনেক সময় নিজস্ব ঠিকাদারের সাথে পার্টানারে ঠিকাদারি কাজ করে আর্থিকভাবে লাভবান হয়েছেন। এক ঠিকাদারের কাছে ঘুষ চাওয়ায় এবং তাকে জীবননাশের হুমকি দেয়ায় ওই ঠিকাদার তার বিরুদ্ধে সিএএবির চেয়ারম্যান বরাবর অভিযোগ করেছেন।্ সংশ্লিষ্ট ওই ঠিকাদার সংশিলষ্ট থানায় মিহির চাদের বিরুদ্ধে জিডিও করেছেন।
এতোসব ঘটনার জন্মদাতা প্রকৌশলী মিহির চাদকে কর্তমানে সিএ্এবির ট্রেনিং সেন্টারে বদলি করা হয়েছে। কিন্ত দুর্নীতির দায়ে গ্রেফতারকৃত প্রকৌশলী আছির উদ্দিন দুদকের হাতে গ্রেফতার হয়ে জেলে অন্তরীন থাকায় ইএম-১ বিভাগে নির্বাহী প্রকৌশলীর পদটি খালি হয়। ওই পদে মিহির চাদ বসার জন্য পায়তারা করছেন। বিভিন্ন মহলে তদবির করে বেড়াচ্ছেন বলেও শোনা যায়। সিভিল এভিয়েশন প্রশাসননের উর্ধতন কর্তাব্যক্তিকে ম্যানেজ করে সিএএবির চেয়ারম্যানকে ভুল বুঝিয়ে আবার মিহির চাদ ইএম-১ –এ নির্বাহী প্রকৌশলী পদে বসার জন্য ওঠেপড়ে লেগেছেন। এ জন্য তিনি প্রশাসন বিভাগের উর্ধতন কর্মকর্তাকে বর্তমান সরকারের একজন প্রভাবশালী মন্ত্রীর দোহাই দিয়ে ম্যানেজ করার চেষ্টা করছেন। বাংলাদেশে একটি বিদেশি দূতাবাসের মাধ্যমেও তদবির করার পায়তারা করছেন। ইএম-১- এর নির্বাহী প্রকৌশলীর পদটি তার চাই-ই চাই- এমন মনোভাব নিয়ে জোরালো তদবির করে যাচ্ছেন বলেও সূত্র জানায়।
সূত্র জানায়, সিভিল এভিয়েশন কর্তৃপক্ষ এই বিতর্কিত প্রকৌশলী মিহির চাদকে কোন গুরুত্বপূর্ন পদে বসাতে ভাবছেন। কারন তাকে কোন গুরুত্বপূর্ন পদে বসালেই তিনি নানা অপরাধমুলক কাজের সাথে জড়িয়ে পড়েন। ২০০৯ সালে সিএএবির চেয়ারম্যানের স্বাক্ষর জাল করে বড় ধরনের অপরাধ ঘটানোর জন্য তাকে সাসপেন্ড করা হয়। তার স্ত্রী একজন আমলা বিধায় বড় বড় আমলা দিয়ে তদবির করিয়ে সে যাত্রায় রক্ষা পান মিহির চাদ। সিএএবির কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কাছে মিহির চাদ ঘৃণার পাত্র। সিএএবিতে নির্বাহী প্রকৌশলীর ক্ষমতা পেলেই মিহির চাদ স্টোর থেকে বৈদ্যুতিক সরনজাম চুরি করেন বলেও অপবাদ রয়েছে। ঠিকাদার আবুর কাছে মোটা অংকের ঘুষ চাওয়ায় এবং ফাইল জিম্মি করায় প্রকৌশলী মিহির চাদকে তার রুমের ভিতরেই মারধর করা হয়। এতে করে মিহির বাবুর একটি চোখ ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
এ ব্যাপারে তার বক্তব্যেও জন্য তার সেল ফোনে ০১ জানুয়ারী সকাল ৯টা ৫ মিনিটে কল করলে তার সেল ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়।

এই ওয়েবসাইটের যে কোনো লেখা বা ছবি পুনঃপ্রকাশের ক্ষেত্রে ঋন স্বীকার বাঞ্চনীয় ।