শুক্রবার, ১৭ মে ২০২৪, ১২:৩৪ পূর্বাহ্ন
ব্রেকিং নিউজ:
প্রধানমন্ত্রীকে বহনকারি বিমানে ত্রুটি : তদন্তে গ্রেফতাকৃত বিমানের ১০ অফিসার জড়িত থাকার প্রমাণ পায়নি তদন্ত সংস্থা

ডেক্স প্রতিবেদন: প্রধানমন্ত্রীকে বহনকারী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের উড়োজাহাজে যান্ত্রিক ত্রুটির ঘটনায় দায়েরকৃত ষড়যন্ত্রের মামলায় অভিযোগের প্রমাণ  পায়নি তদন্ত সংস্থা। মেলেনি কোনো অপরাধ বা অপরাধের পরিকল্পনারও প্রমাণ। অভিযুক্তদের অব্যাহতি দিয়ে চূড়ান্ত প্রতিবেদনও দিয়েছে পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিট। যদিও এরইমধ্যে এক বছরের বেশি সময় কারাভোগ করতে হয় ওই ঘটনায় আটক ১০ শীর্ষ বিমান কর্মকর্তাকে। তারা গ্রেফতার হয়েছেন, জেল খেটেছেন, তাদের সামাজিক মর্যাদা ক্ষুন্ন হয়েছে। তাহলে তারা কি ষড়যন্ত্রের শিকার না অন্য কিছু- এ প্রশ্ন সংশ্লিষ্টদের।

পুলিশের প্রতিবেদন থেকে অব্যাহতি পাওয়ার পর এখন কী হবে তাদের দায়িত্ব, তা নিয়ে সন্দিহান খোদ বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ও। যদিও সংশ্লিষ্ট মন্ত্রী রাশেদ খান মেনন বলছেন, অভিযোগ থেকে খালাস পাওয়া কর্মকর্তাদের বিষয়ে আদালতই এখন চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত দেবেন।

মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা যায়, অভিযুক্ত কর্মকর্তাদের অভিযোগ থেকে অব্যাহতি দিয়ে চূড়ান্ত তদন্ত প্রতিবেদন আদালতে জমা দিয়েছে পুলিশ। প্রধানমন্ত্রীকে বহনকারী উড়োজাহাজে যে যান্ত্রিক ত্রুটি ঘটেছিলো, এটাতো মিথ্যা নয়। আর যন্ত্রে ত্রুটি ধরা পড়া বা বিভ্রাট ঘটলেই যে তা ষড়যন্ত্র নয়, তাও তদন্তে উঠে এসেছে। ঘটনার সঙ্গে সঙ্গে আমরা তিনটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছিলাম। তারাও তাদের প্রতিবেদন জমা দিয়েছিলো। সেখানে কিছু দায়িত্বে গাফিলতি ধরা পড়ে। গাফিলতির ঘটনা যেহেতু প্রমাণিত এবং তা রাষ্ট্রের প্রধানমন্ত্রীর বহনকারী উড়োজাহাজের ক্ষেত্রে ঘটেছে, তাই তাদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের অভিযোগ উঠেছিলো। চূড়ান্ত প্রতিবেদনে যেহেতু ষড়যন্ত্র প্রমাণিত হয়নি এবং বিষয়টি এখনো আদালতের কাছেই বিচারাধীন আছে, তাই এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতাও আদালতের। চাইলে অভিযুক্ত কর্মকর্তারা আদালতের কাছে তাদের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ ও সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল করতে পারেন। আদালতই সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত জানাবেন।

উল্লেখ্য, ২০১৬ সালের ২৭ নভেম্বর হাঙ্গেরির বুদাপেস্ট যাওয়ার পথে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বহনকারী বিমানের ‘আকাশ প্রদীপ’ নামের বোয়িং-৭৭৭ উড়োজাহাজ যান্ত্রিক ত্রুটির কবলে পড়ে। যে কারণে উড়োজাহাজটি মাঝপথে তুর্কমেনিস্তানের আশখাবাদ বিমানবন্দরে জরুরি অবতরণে বাধ্য হয়।

এই ওয়েবসাইটের যে কোনো লেখা বা ছবি পুনঃপ্রকাশের ক্ষেত্রে ঋন স্বীকার বাঞ্চনীয় ।