শুক্রবার, ১৭ মে ২০২৪, ০৯:১২ পূর্বাহ্ন
ব্রেকিং নিউজ:
ভাসানী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ সভাপতিকে পিটিয়ে ক্যাম্পাস ছাড়া!

সংবাদদাতা : টাঙ্গাইলের মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি সজীব তালুকদারকে পিটিয়ে ক্যাম্পাস ছাড়া করেছে তার প্রতিপক্ষ গ্রুপ।

সোমবার রাতে সজিব তালুকদার ছাত্রলীগের দুই কর্মীকে নির্যাতনের পর বিক্ষুব্ধ কর্মীরা মঙ্গলবার দুপুরে তার ওপর এই হামলা করে।

ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা জানান, সোমবার রাত ১০টার দিকে আবদুল মান্নান হলের দুই ছাত্রলীগ কর্মী রাসেল আল ফারাবি ও সানাউল ইসলামকে সজীব তালুকদার বঙ্গবন্ধু হলে তার কক্ষে ডেকে নেন। সজীব তালুকদারের গ্রুপকে সমর্থন না করায় ওই দুই কর্মীকে জোরপূর্বক সংগঠন থেকে পদত্যাগ করতে বলেন। পদত্যাগ করতে রাজি না হওয়ায় রাত একটা পর্যন্ত আটকে রেখে নির্যাতন করেন। একপর্যায়ে তাদের কাছ থেকে পদত্যাগপত্রে স্বাক্ষর নেন।

ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের বিরুদ্ধে অশ্লীল কথাবার্তা বলতে বাধ্য করেন এবং সে দৃশ্য ফোনে ভিডিও ধারণ করেন। পরে তাদের ছেড়ে দেয়া হয়।

নির্যাতনের শিকার রাসেল আল ফারাবি জানান, সজীব তালুকদার ও তার সহযোগীরা তাদের দুজনকে টানা তিন ঘণ্টা শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করেছেন।

সকালে এ খবর শোনার পর ছাত্রলীগের সজিব তালুকদার বিরোধীদের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পরে। বিশ্ববিদ্যালয়ে উত্তেজনা দেখা দেয়। দুপুর দেড়টার দিকে তারা বঙ্গবন্ধু হলে সজীব তালুকদারের কক্ষে গিয়ে তার ওপর হামলা করেন। লাঠি, হকিস্টিক দিয়ে পেটানো হয়।

এতে সজীবের মাথা ফেটে যায় এবং শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতপ্রাপ্ত হন। পরে তাকে উদ্ধার করে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সজীব তালুকদারের ওপর হামলার পর তার অনুসারীরা ক্যাম্পাস থেকে চলে গেছে।

শিক্ষার্থীরা জানায়, সজিব তালুকদারের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি, ইয়াবা ব্যবসা, টেন্ডারবাজিসহ বিভিন্ন অভিযোগ রয়েছে। তিন মাস আগে শিক্ষকদের সঙ্গে অসদাচরণের অভিযোগে তাকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়। তার পরও প্রভাব খাটিয়ে সে অবৈধভাবে বঙ্গবন্ধু হলে অবস্থান করত।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর সিরাজুল ইসলাম জানান, দুপুরে এই ঘটনার পর ক্যাম্পাসে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। বিকালে উপাচার্য শিক্ষকদের নিয়ে জরুরি সভা করেছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় রাখার জন্য হল প্রভোস্ট, প্রক্টরসহ সবাইকে সচেষ্ট থাকতে অনুরোধ জানিয়েছেন উপাচার্য।

 

এই ওয়েবসাইটের যে কোনো লেখা বা ছবি পুনঃপ্রকাশের ক্ষেত্রে ঋন স্বীকার বাঞ্চনীয় ।