শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ০৬:১৭ পূর্বাহ্ন
ব্রেকিং নিউজ:
ওয়াচলিস্টে ছিল না মসজিদে হামলাকারী!

আনতর্জাতিক ডেক্স : ক্রাইস্টচার্চে হামলাকারী ব্রেনটন টেরেন্ট (২৮) কেন নিরাপত্তা রক্ষাকারীদের ওয়াচলিস্টে বা নজরদারির তালিকায় ছিল না তা নিয়ে বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে। অস্ট্রেলিয়া বা নিউজিল্যান্ড কোথাও তার নাম ওয়াচলিস্টে ছিল না। গত তিন বছরে সে মাত্র ৪৫ দিন ছিল অস্ট্রেলিয়ায়। গত ৯ বছর বিভিন্ন দেশ সফর করেই কাটিয়েছে। কেন, কি উদ্দেশ্য তার এ সফর তা নিয়ে কোনো প্রশ্ন তোলা হয় নি। ফলে এখন অভিযোগ উঠেছে ব্রেনটন টেরেন্টের পক্ষ থেকে যে ভয়াবহ হুমকি এসেছে তা সনাক্ত করতে ব্যর্থ হয়েছে অস্ট্রেলিয়ার নিরাপত্তা রক্ষাকারীরা। অভিযোগ উঠেছে, অস্ট্রেলিয়ার নিরাপত্তা রক্ষাকারীরা শুধুই ইসলামপন্থি উগ্রবাদীদের দিকে নজর দিয়েছে। কিন্তু উগ্র ডানপন্থি সন্ত্রাসীদের বিষয়টি তারা এড়িয়ে গেছে।

এমন সব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন অস্ট্রেলিয়ার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পিটার ডাটন। এ খবর দিয়েছে অনলাইন নিউজিল্যান্ড হেরাল্ড।

রিপোর্টে বলা হয়েছে, শুক্রবারে ক্রাইস্টচার্চে মুসল্লিদের ওপর এলোপাতাড়ি গুলি চালিয়ে কমপক্ষে ৫০ জনকে হত্যাকারী, খুনি ব্রেনটন টেরেন্টের বিষয়ে নিরাপত্তা রক্ষাকারীরা কেন উদাসীন ছিলেন তা নিয়ে বিতর্ক চারদিকে। তবে বলা হয়েছে, সে খুব কম সময়ই দেশের ভিতরে অবস্থান করেছে বলে এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। তাই তার নামটি গোয়েন্দাদের নজরদারির তালিকায় বা ওয়াচলিস্টে আসে নি। ২০১১ সাল থেকেই সে বিভিন্ন দেশ সফর করতে থাকে। ইউরোপ, তুরস্ক ও এশিয়ার বিভিন্ন দেশ সফর করে। এখন তার এই সফর সম্পর্কে তথ্য যাচাই বাছাই করা হচ্ছে। দেখা হচ্ছে মসজিদে হামলা চালাতে সে বিদেশী কোনো সহায়তা নিয়েছিল কিনা।

নিরাপত্তা রক্ষাকারী, গোয়েন্দা ও পুলিশের বিরুদ্ধে ব্রেনটন টেরেন্টের বিষয়ে উদাসীনতা দেখানোর যে অভিযোগ উঠেছে তাতে অস্ট্রেলিয়ান সিকিউরিটি ইন্টেলিজেন্স অর্গানাইজেশন এবং অস্ট্রেলিয়ান ফেডারেল পুলিশের পক্ষ নিয়েছেন মন্ত্রী ডাটন। তিনি এবিসি রেডিওকে বলেছেন, আমাদের গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর বিষয়ে কোনোই সমালোচনা নেই। নিরাপত্তা রক্ষাকারীরা শুধু ইসলামপন্থি উগ্রবাদীদের বিষয়ে দৃষ্টি দিয়েছে এবং উগ্র ডানপন্থি সন্ত্রাসীদের বিষয় এড়িয়ে গেছে বলে যে অভিযোগ আছে তা প্রত্যাখ্যান করেছেন তিনি।

তিনি আরো বলেন, যেকোনো ব্যক্তি যদি হুমকির কারণ হয়ে থাকেন তাহলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে এসব গোয়েন্দা সংস্থা বা নিরাপত্তা রক্ষাকারী। এক্ষেত্রে ধর্ম, জাতি, ধর্মবিশ্বাস কোনো কিছুতেই ছাড় দেয়া হবে না। তাদের ফোকাস হলো হুমকি। যদি কেউ হুমকির কারণ হয়ে ওঠেন তাহলে তিনি অস্ট্রেলিয়ান সিকিউরিটি ইন্টেলিজেন্স অর্গানাইজেশন অথবা অস্ট্রেলিয়ান ফেডারেল পুলিশের রাডারে থাকবেন। এ সংস্থাগুলো হুমকির ব্যাপারে অন্ধ নয়।

 

 

এই ওয়েবসাইটের যে কোনো লেখা বা ছবি পুনঃপ্রকাশের ক্ষেত্রে ঋন স্বীকার বাঞ্চনীয় ।