শনিবার, ১৮ মে ২০২৪, ০১:২৮ অপরাহ্ন
ব্রেকিং নিউজ:
বিক্ষোভের মুখে মাওলানা সাদ শাহজালাল বিমানবন্দর থেকে কাকরাইলে: ইসলামি দলগুলোর নেতাদের হুশিয়ারি: মাওলানা সাদকে বিশ্ব ইজতেমায় যোগদানের সুযোগ দিলে লাগাতার অবরোধ কর্মসূচী ঘোষণা করা হবে

ডেক্স প্রতিবেদন : গাজীপুরের টঙ্গীতে তাবলিগ জামাতের বিশ্ব ইজতেমায় যোগ দিতে ঢাকায় এসে মাওলানা সাদ বিক্ষোভের মুখে শাহজালাল বিমানবন্দর ত্যাগ করলেন। তাকে টংগীর বিশ্ব ইজতেমাস্থলে যেতে দেয়নি ইসলামী দলগুলো। ফলে বিক্ষোভের মুখে মাওলানা সাদ কাকরাইল পৌছে গেছেন।  এখানে সরকারের প্রতিনিধি ও তার অংশগ্রহণের বিরোধীপক্ষের সঙ্গে আলোচনা হবে।

১০ জানুয়ারি বুধবার  বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে তিনি তাবলিগের কাকরাইল শুরা কার্যালয়ে যান। বিষয়টি নিশ্চিত করেন পুলিশের রমনা বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) মারুফ হোসেন সরদার। বিমানবন্দরের ইমিগ্রেশন, আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন (এপিবিএন) ও কাস্টমসের কয়েকজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে থাই এয়ারওয়েজের টিজি ফ্লাইটে বিমানবন্দরে পৌঁছানোর পর আনুষ্ঠানিকতা সেরে বিকেল পৌনে ৩টার দিকে গাড়িযোগে কাকরাইলের উদ্দেশে বেরিয়ে যান মাওলানা সাদ।

ইজতেমায় নেতৃত্বের প্রশ্নে বিরোধের জেরে মাওলানা সাদের আগমন ঠেকাতে সকাল থেকে বিমানবন্দরের সামনে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে বিক্ষোভ করছেন হেফাজত ও বেফাকের নেতাকর্মীরা। তারা বলছেন, কোনোভাবেই মাওলানা সাদকে ইজতেমায় অংশ নিতে দেওয়া হবে না।

বিক্ষোভের আয়োজক নেতারা বলেন, আমাদের দাবি মানা না হলে সারাদেশ অচল করে দেওয়া হবে। যেটা শাপলা চত্বরের সমাবেশকেও ছাড়িয়ে যাবে। আমরা সরকারের সঙ্গে কথা বলে যাচ্ছি। তারপরও যদি দাবি না মানা হয়, তাহলে আগামী ২০ তারিখ পর্যন্ত লাগাতার অবরোধ চলবে। বিমানবন্দরের সামনে বিক্ষোভ চলতে থাকায় সড়কের ময়মনসিংহমুখী উত্তরা-জসীমউদ্দিন মোড় পর্যন্ত এবং রাজধানীমুখী খিলক্ষেত, শেওড়া ছাড়িয়ে বনানী পর্যন্ত তীব্র যানজট দেখা দিয়েছে। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন যাত্রীরা।

তাবলিগ জামাতের অন্যতম শীর্ষ মুরুব্বি, দিল্লি নিজামুদ্দিনের জিম্মাদার মাওলানা সাদের কিছু বক্তব্য ও একক নেতৃত্বের প্রশ্নে বেশ কয়েক বছর যাবৎ আলেম-উলামা ও তাবলিগের মুরুব্বিদের মাঝে অসন্তোষ বিরাজ করছে।

এর প্রেক্ষিতে ভারতের দারুল উলুম দেওবন্দ মাওলানা সাদের বিপক্ষে অবস্থান নেয়, আর নিজামুদ্দিন ছেড়ে চলে যান মাওলানা ইবরাহিম দেওলাসহ বেশ কয়েকজন মুরুব্বি। বিশ্বব্যাপী তাবলিগের বিভিন্ন মারকাজগুলোও দ্বিধা-বিভক্ত হয়ে পড়ে।

এই ওয়েবসাইটের যে কোনো লেখা বা ছবি পুনঃপ্রকাশের ক্ষেত্রে ঋন স্বীকার বাঞ্চনীয় ।