শুক্রবার, ১৭ মে ২০২৪, ১১:৫০ পূর্বাহ্ন
ব্রেকিং নিউজ:
বিদায়ী আইজিপির সরস উচ্চারণ : দায়িত্ব এবং ক্ষমতা একটা আমানত

ডেক্স রিপোর্ট : পুলিশের বিদায়ী মহাপরিচালক (আইজিপি) ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী বলেছেন, দায়িত্ব এবং ক্ষমতা একটা আমানত। চাকরি জীবনে যেখানেই থেকেছি আমার সেবাটা দেশের মানুষ ও পুলিশকে দিতে চেষ্টা করেছি। আজ অবসরের শেষ কার্যদিবসে সাংবাদিকের সঙ্গে আলাপকালে একথা বলেন তিনি। এর আগে সোমবার সরকারি এক প্রজ্ঞাপনে জাবেদ পাটোয়ারীকে সৌদি আরবে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত হিসেবে নিয়োগ দিয়েছে সরকার।
সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে জাবেদ পাটোয়ারী বলেন, আজ আমার পুলিশের আইজিপি হিসেবে দুইবছর আড়াই মাস ও ৩৫ বছরের কর্মজীবন শেষ হচ্ছে। এ দীর্ঘ সময় আমি যেখানেই থেকেছি আমার সেবাটা দেশের মানুষ ও পুলিশকে দিতে চেষ্টা করেছি। আইজিপি হিসেবে যোগদানের পর সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিয়েছিলাম পুলিশের স্বচ্ছ ইমেজ প্রতিষ্ঠিত ও মানবিক গুণসম্পন্ন জনতার পুলিশ হয়ে সাধারণ জনগণকে সেবা প্রদানের। এজন্য আমি বেছে নিয়েছিলাম থানাকে জনগণের আস্থা এবং বিশ্বাসের জায়গায় প্রতিষ্ঠা করার পরিকল্পনা। এছাড়া আধুনিক জ্ঞান সম্পন্ন সমসাময়িক চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় সক্ষম, মানবিক পুলিশ তৈরি করার প্রয়াস করেছি। সবপরি পুলিশকে জনতার পুলিশ গড়ে তোলায় ছিল আমার একান্ত প্রচেষ্টা।
বিদায়ী আইজিপি বলেন, কষ্ট করে পড়াশোনা করলে নিজ যোগ্যতায় চাকরি পাওয়া যায় এই বিশ্বাস তরুণ সমাজে প্রতিষ্ঠা করা অত্যন্ত জরুরি ছিল। নয়তো যেখান থেকে হতাশা জন্ম নেই। সেই হতাশা থেকে বিশৃঙ্খল আর অপরাধে জড়িয়ে পড়ার প্রবণতা তৈরি হয়।’
করোনা পরিস্থিতিতে মানবিক পুলিশ হিসেবে দেশবাসীর কাছে আস্থা অর্জন করেছে দাবি করে জাবেদ পাটোয়ারী বলেন, করোনা পরিস্থিতে মানুষকে সচেতন না করতে পারলে এই ভাইরাস থেকে পরিত্রাণ পাওয়া যাবে না। এজন্য বিশেষ করে যারা বিদেশ থেকে এসেছিল তাদের হোম কোয়ারেন্টাইন মেনে চলতে আমরা কাজ করেছি। মানুষকে ঘরে থাকার জন্য উদ্বৃদ্ধ করেছি। মানুষকে বলেছি আপনারা ঘরে থাকুন আমরা রাস্তায় আছি।
তিনি বলেন, পুলিশ সদস্যরা নিজেদের ইউনিটে খাবার ও খাদ্য সামগ্রী দুস্থদের মাঝে বিতরণ করছে। এমনকি নিজেদের রেশনের খাদ্য মানুষের মধ্যে বিতরণ করছে। করোনা আক্রান্তদের চিকিৎসা কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া, করোনা সন্দেহে মারা যাওয়াদের দাফন, কবর খোঁড়া সবই পুলিশ করছে। এসব কাজের জন্য আমি শুভেচ্ছা জানাচ্ছি আমাদের সকল সদস্যকে। জাবেদ পাটোয়ারী বরাবরই সৎ, মেধাবী ও পেশাদার কর্মকর্তা হিসেবে পরিচিতি ছিলেন। তিনি আইজিপি হওয়ার পর থেকে পুলিশের দুর্নীতির বিরুদ্ধে শক্ত অবস্থান নেন। তার সাহসী নেতৃত্বে পুলিশের দুর্নীতি অনেকটাই কমে এসেছে বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা। এ ছাড়া পুলিশের বদলি-নিয়োগসহ নানা ক্ষেত্রে ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে সক্ষম হন তিনি।
নব নিয়োগ প্রাপ্ত আইজিপি ড. বেনজীর আহমেদ অত্যন্ত দক্ষ অফিসার উল্লেখ করে জাবেদ পাটোয়ারী বলেন, পুলিশের প্রতিটি সদস্য যে উদ্দিপনায় মানুষের কল্যাণে নিরলসভাবে কাজ করছে সেটা নতুন আইজিপি আরো জোরালো ভাবে এগিয়ে নিয়ে যাবেন বলে আশা করছি। পুলিশকে নিয়ে অনেক পরিকল্পনা রয়েছে যা তিনি বাস্তবায়ন করবেন। এই পুলিশকে আমরা ২০৪১ এর পুলিশ হিসেবে দেখতে চাই; যেটা নিশ্চিয় নতুন আইজিপি আরো বড় উচ্চতায় নিয়ে যাবেন।

 

এই ওয়েবসাইটের যে কোনো লেখা বা ছবি পুনঃপ্রকাশের ক্ষেত্রে ঋন স্বীকার বাঞ্চনীয় ।