শুক্রবার, ১৭ মে ২০২৪, ০৮:০৪ পূর্বাহ্ন
ব্রেকিং নিউজ:
শাহজালাল বিমানবন্দর : কার্গো ভিলেজে ৬ স্ক্যানারের মধ্যে তিনটিই নষ্ট : সিএএবি নির্বিকার

নিউজ ডেক্স : হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে কার্গো ভিলেজে  রপ্তানি পণ্য পরীক্ষায় ব্যবহৃত ছয়টি স্ক্যানারের মধ্যে দুটিই বিকল হয়ে পড়ে আছে।
এতে ব্যাপক আর্থিক ক্ষতির পাশাপাশি সবজি ও ফলের বাজার হারানোর শঙ্কায় রপ্তানিকারকরা।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, বারবার স্ক্যানার বিকল হলেও কার্যকর পদক্ষেপ নিচ্ছে না সিভিল অ্যাভিয়েশন।
শাহজালাল বিমানবন্দর দিয়ে প্রতিদিন গড়ে ৭০০ মেট্রিক টন পণ্য রপ্তানি হয়।
এর মধ্যে সবজি ও ফলমূলসহ পচনশীল পণ্য রপ্তানি হয় প্রায় ১২০ মেট্রিক টন। মধ্যপ্রাচ্যসহ বিভিন্ন দেশে পণ্য রপ্তানির আগে চারটি স্ক্যানার দিয়ে এবং ইউরোপগামী পণ্য দুটি এক্সপ্লোসিভ ডিটেকশন স্ক্যানার দিয়ে পরীক্ষা করা হয়।
অথচ ১০ দিনে তিনটি স্ক্যানারই বিকল হয়ে পড়েছিল। অবশ্য চলতি সপ্তাহে একটি ঠিক করা হয়েছে।
ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, গত এক বছরে ঘন ঘন বিকল হলেও স্ক্যানার বাড়ানো হয়নি।
ফলে মধ্যপ্রাচ্যে ও ইউরোপে আম, কাঁঠাল, লিচুসহ মধুমাসের বিভিন্ন ফলের ব্যাপক চাহিদা থাকলেও এ ভরা মৌসুমে স্ক্যানিং সমস্যায় রপ্তানি অর্ধেকে নেমে এসেছে। অন্যদিকে, ফ্লাইট মিস করায় স্থানীয় বাজারে কম দামে সবজি ও ফলমূল বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছেন তারা।
আবার স্ক্যানার নষ্টের অজুহাতে কৃত্রিম সংকট তৈরি করে বিমানবন্দরের অসাধু কর্মচারীরা বাড়তি টাকা হাতিয়ে নেয় বলেও অভিযোগ সংশ্লিষ্টদের।
সমস্যার কথা স্বীকার করে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ জানালেন, স্ক্যানারগুলো সচল করতে জেনারেটর আনা হয়েছে।
হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের নির্বাহী পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন এ এইচ এম তৌহিদ উল আহসান বলেন, মেশিন নষ্ট থাকায় কাজের চাপ বেড়ে গেছে। সেক্ষেত্রে আমাদের অগ্রাধিকার ভিত্তিতে কাজ করতে হচ্ছে।
যাদের আগে শিডিউল দেওয়া আছে তারা অগ্রাধিকার পাচ্ছে।
আরো ১১টি নতুন স্ক্যানার কেনার প্রক্রিয়া চলছে। এর মধ্যে দুটি স্ক্যানার সবজিসহ পচনশীল পণ্যের জন্য বরাদ্দ থাকবে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।

 

এই ওয়েবসাইটের যে কোনো লেখা বা ছবি পুনঃপ্রকাশের ক্ষেত্রে ঋন স্বীকার বাঞ্চনীয় ।