শুক্রবার, ১৭ মে ২০২৪, ১১:৫৮ পূর্বাহ্ন
ব্রেকিং নিউজ:
টিকার দ্বিতীয় ডোজ নিলেন খালেদা জিয়া

ডেক্স রিপোর্ট:করোনা টিকার দ্বিতীয় ডোজ নিলেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। রাজধানীর শেখ রাসেল ন্যাশনাল গ্যাস্ট্রোলিভার ইনস্টিটিউট অ্যান্ড হাসপাতালে বুধবার তিনি টিকা নেন।

তাকে হাসপাতালের ভেতরে নেওয়া হয়নি। অসুস্থতার কারণে গাড়ির ভেতরেই তাকে টিকা দেন স্বাস্থ্যকর্মীরা। ৮ জুলাই ‘সুরক্ষা’ অ্যাপের মাধ্যমে করোনার টিকার জন্য রেজিস্ট্রেশন করেন বিএনপি চেয়ারপারসন। ১৯ জুলাই এ হাসপাতালেই টিকার প্রথম ডোজ নেন তিনি। তাকে মডার্নার টিকা দেওয়া হয়।

খালেদা জিয়ার চিকিৎসক টিমের সদস্য বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান অধ্যাপক এজেডএম জাহিদ হোসেন হাসপাতালের সামনে সাংবাদিকদের বলেন, ম্যাডামকে (খালেদা জিয়া) সোয়া ৪টার দিকে টিকা দেওয়া হয়। ওই প্রতিষ্ঠানেই (শেখ রাসেল জাতীয় গ্যাস্ট্রোলিভার ইনস্টিটিউট অ্যান্ড হাসপাতাল) প্রথম ডোজ টিকা নিয়েছিলেন তিনি। দ্বিতীয় ডোজেও একই টিকা দেওয়া হয়েছে। তিনি ছাড়া তার বাসার আরও পাঁচজন টিকা নিয়েছেন।

তিনি বলেন, ‘করোনা থেকে সুস্থ হওয়ার পর ম্যাডাম করোনা-পরবর্তী বেশ কিছু জটিলতায় ভুগছিলেন। এখন কিছুটা ভালো আছেন। এছাড়া বার্ধক্যজনিত যেসব সমস্যা ছিল তা এখনো আছে। তার চিকিৎসার জন্য গঠিত মেডিকেল বোর্ডের সদস্যরা উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে নেওয়ার যে সুপারিশ করেছিলেন আমরা মনে করি সেটি এখনো প্রয়োজন আছে। ম্যাডামের রোগমুক্তির জন্য দেশবাসীর কাছে দোয়া চাই।’

বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে গুলশানের ভাড়া বাসা ফিরোজা থেকে ছোট ভাই শামীম এস্কান্দারের গাড়িতে করে হাসপাতালে যান খালেদা জিয়া। এর আগে বাসায় তার সঙ্গে দেখা করেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। চেয়ারপারসন হাসপাতাল আসছেন এমন খবরে নেতাকর্মীরা সেখানে ভিড় করেন। হাসপাতালে পৌঁছামাত্র নেতাকর্মীরা তার গাড়ি ঘিরে ধরেন।

গাড়িতে বসেই টিকা নেন খালেদা জিয়া। এ সময় তার বিশেষ সহকারী অ্যাডভোকেট শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব ব্যারিস্টার মাহবুবউদ্দিন খোকন, কেন্দ্রীয় নেতা নিলোফার চৌধুরী মনি, যুবদলের সভাপতি সাইফুল আলম নিরব, সাধারণ সম্পাদক সুলতান সালাহউদ্দিন টুকু, নুরুল ইসলাম নয়ন, এসএম জাহাঙ্গীর, শফিকুল ইসলাম মিল্টন, মহিলা দলের সুলতানা আহমেদসহ অঙ্গসংগঠনের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

১৪ এপ্রিল গুলশানের বাসা ‘ফিরোজা’য় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হন খালেদা জিয়া। করোনা-পরবর্তী নানা জটিলতা দেখা দেওয়ায় ২৭ এপ্রিল তাকে এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তার চিকিৎসার জন্য হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক শাহাবুদ্দিন তালুকদারের নেতৃত্বে ১০ সদস্যের মেডিকেল বোর্ড গঠন করা হয়। ৬ দিন পর (৩ মে) শ্বাসকষ্ট অনুভব করলে তাকে সিসিইউতে স্থানান্তর করা হয়।

অবস্থার উন্নতি হলে ১ মাস পর (৩ জুন) চিকিৎসকদের পরামর্শে খালেদা জিয়াকে কেবিনে নেওয়া হয়। এ সময় দুদফা জ্বরে আক্রান্ত হন তিনি। পরে জ্বর নিয়ন্ত্রণে আসে। করোনামুক্ত হন ৯ মে। শারীরিক অবস্থার কিছুটা উন্নতি হলে ৫৩ দিন পর ১৯ জুন তাকে বাসায় নেওয়া হয়।

এই ওয়েবসাইটের যে কোনো লেখা বা ছবি পুনঃপ্রকাশের ক্ষেত্রে ঋন স্বীকার বাঞ্চনীয় ।