নিউজ ডেক্স : পালাতে গিয়ে ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফের হাতে আটক ই-অরেঞ্জের কথিত পৃষ্ঠপোষক ও বনানী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) শেখ সোহেল রানাকে কোচবিহারের আদালত ৭ দিনের রিমান্ডে পাঠিয়েছেন।
শনিবার (৪ সেপ্টেম্বর) শেখ সোহেল রানাকে কোচবিহারের আদালতে তোলা হয়।
আটক হওয়ার পর সোহেল রানা এক জবানবন্দিতে জানান, দেশে লালমনিরহাটের পাটগ্রামে বাবু নামের একজন তাকে ১০ হাজার টাকার বিনিময়ে ভারতে পার করে দেয়। এছাড়াও ভারতের কিছু লোক তাকে বিনা পাসপোর্টে দেশটিতে প্রবেশ করতে সাহায্য করে। পাশাপাশি জিজ্ঞাসাবাদে বিএসএফকে সোহেল জানান, তার পরিকল্পনা ছিল শিলিগুড়ি হয়ে নেপালে পালিয়ে যাওয়া।
এর আগে শুক্রবার ভারতের পশ্চিমবঙ্গের কোচবিহার জেলার চ্যাংরাবান্ধা সীমান্ত থেকে তাকে আটক করে বিএসএফ। পরবর্তীতে সোহেলকে কোচবিহারের মেখলিগঞ্জ থানায় সোপর্দ করা হয়।
আটককালে তার কাছ থেকে জব্দ করা হয় বিদেশি পাসপোর্ট, একাধিক মোবাইল, এটিএম কার্ড। এছাড়াও থাইল্যান্ডের এলিট প্রিভিলেজড কার্ড, দেশটির তিনটি ব্যাংকের ক্রেডিট-ডেবিট কার্ড এবং ইংল্যান্ডের ক্রেডিট কার্ড।
ডিএমপি কমিশনার মো. শফিকুল ইসলাম জানিয়েছেন, সোহেল রানা আটক নিয়ে আনুষ্ঠানিক কিছুই জানেন না তারা।
তিনি বলেন, আমরা মূল ঘটনাটি জানার চেষ্টা করছি। তবে তার টাকা তোলার একটি সংবাদ আমরা পেয়েছি এবং সে যেহেতু দেশ ছেড়ে পালিয়েছে তাতে বোঝা যাচ্ছে সে ঘটনার সঙ্গে জড়িত।
এর আগে ভারতের সীমান্ত রক্ষা বাহিনী বিএসএফ বলছে, তারা বাংলাদেশ পুলিশের একজন ইনসপেক্টর শেখ মো. সোহেল রানাকে সীমান্তের ভারতীয় ভুখন্ড থেকে আটক করেছে। বিএসএফ কর্মকর্তারা বলছেন, পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের কোচবিহার জেলার চ্যাংড়াবান্ধা সীমান্ত থেকে শুক্রবার বনানী থানার এই ইনস্পেকটরকে আটক করা হয়। বিএসএফ তার বিরুদ্ধে অনুপ্রবেশের অভিযোগ করে।