শুক্রবার, ১৭ মে ২০২৪, ০৪:৫১ অপরাহ্ন
ব্রেকিং নিউজ:
„হাজতখানায় তারেক রহমানের পিএস অপুর সঙ্গে ২২ শ টাকায় নেতাকর্মীদের বৈঠক!

নিউজ ডেক্স : বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ব্যক্তিগত সহকারী (পিএস) মিয়া নুরউদ্দিন আহমেদ অপুর সঙ্গে মহানগর দায়রা জজ আদালতের হাজতখানার ভেতরে ১৫ নেতাকর্মীর গোপন বৈঠক হয়েছে বলে জানা গেছে।

রোববার বেলা সাড়ে ১১টা থেকে পৌনে ১টা পর্যন্ত প্রায় সোয়া ঘণ্টা কয়েক দফায় অপুর সঙ্গে হাজতখানার ভেতরে পুলিশের সহায়তায় তারা বৈঠক করেন বলে অভিযোগ। তবে বৈঠকের বিষয়টি অস্বীকার করেছেন হাজতখানা কর্তৃপক্ষ।

সূত্র জানায়, মোটা অঙ্কের টাকার বিনিময়ে এ বৈঠকের সুযোগ করে দিয়েছে হাজতখানা কর্তৃপক্ষ।

সূত্র জানায়, সম্পদের হিসাব বিবরণী দাখিল না করায় অপুর বিরুদ্ধে দায়ের করা দুদকের মামলায় রবিবার চার্জশিট গ্রহণের জন্য দিন ধার্য ছিল। এদিন সকাল ১০টার দিকে তাকে কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়। সাড়ে ১০টার দিকে ঢাকা মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ কেএম ইমরুল কায়েশের এজলাসে তাকে তোলা হয়। আদালত আসামির উপস্থিতিতে চার্জশিট গ্রহণ করে আগামী ৩ জুলাই চার্জ শুনানির জন্য দিন ধার্য করেন।

জানা গেছে, বেলা পৌনে ১১টার দিকে আদালত থেকে আবার তাকে হাজতখানায় নিয়ে আসা হয়। মিনিট দশেক পর থেকে বিএনপির নেতাকর্মীরা অপুর দেখা করার জন্য পুলিশের সঙ্গে ঘুষের দর-কষাকষি শুরু করেন। একপর্যায়ে জনপ্রতি দুই হাজার টাকা চুক্তিতে সাক্ষাতের অনুমতি দেয় হাজতখানার পুলিশ সদস্যরা। এরপর একের পর এক নেতাকর্মী অপুর সঙ্গে বৈঠক করেন। বৈঠক অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করা খোকন নামে বিএনপি নেতা জানান, অপু ভাইয়ের সঙ্গে দেখা করতে দুই হাজার টাকা করে লাগছে। তবে কনস্টেবলকে অতিরিক্ত বকশিশ হিসেবে আরও ২০০ টাকা দিতে হয়েছে। বাকি টাকা দিতে হয়েছে হাজতখানার ওসিকে।

এ সম্পর্কে হাজতখানার (ইনচার্জ) উপপরিদর্শক সাদিকুল সাদিক অভিযোগ অস্বীকার করেন বলেন, মিয়া নুরউদ্দিন আহমেদ অপু নামে এক আসামির মামলা ছিল। সে হাজাতখানায় থাকা অবস্থায় কোনো লোকের সঙ্গে তার সাক্ষাতের ঘটনা ঘটেনি।

এ সম্পর্কে ঢাকার মেট্রোপলিটন পুলিশের অপরাধ ও তথ্য বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) মো. জাফর হোসেনের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে তিনি বলেন, হাজতখানায় কোনো আসামির সঙ্গে আদালতের অনুমতি ছাড়া কারো দেখা করার সুযোগ নেই। যদি এমন ঘটনা ঘটে থাকে তবে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে, বিষয়টি আমি খোঁজ নিয়ে দেখছি।’

এ সম্পর্কে ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর আব্দুল্লাহ আবু বলেন, ‘এমন কিছু হয়ে থাকলে তা অত্যন্ত খারাপ হয়েছে। এ বিষয়ে তদন্ত করে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া উচিত।’

এর আগে একই আদালতের মহিলা হাজতখানায় চলতি বছর ৬ ফেব্রুয়ারি যুব মহিলা লীগের বহিষ্কৃত নেত্রী শামিমা নূর পাপিয়ার সঙ্গে দুই যুবক গোপন বৈঠক করেছেন বলে অভিযোগ উঠে। ওই ঘটনায় হাজতখানার ইনচার্জ নৃপেন কুমার বিশ্বাসকে প্রত্যাহার করা হয়।দেশ রূপান্তর

 

এই ওয়েবসাইটের যে কোনো লেখা বা ছবি পুনঃপ্রকাশের ক্ষেত্রে ঋন স্বীকার বাঞ্চনীয় ।