শুক্রবার, ১৭ মে ২০২৪, ০১:০৪ অপরাহ্ন
ব্রেকিং নিউজ:
সেই প্রকৌশলী এখন কক্সবাজার বিমানবন্দরের পিডি

স্টাফ রিপোর্টার : সিভিল এভিয়েশনের প্রধান প্রকৌশলীর দপ্তরে এক সময় পিয়ন পদে কর্মরত, তার ছেলে ইউনুস ভুইয়া, ডিপ্লোমা করেছেন, ইনজিনিয়ার হবেন- স্বপ্ন আকাশচুম্বি, পিয়ন বাবার তদবিরে কর্নপাত করলেন সাবেক প্রধান প্রকৌশলী আসাদুজ্জামান চৌধুরি, ব্যাস, হয়ে গেল ইউনুস ভুইয়ার চাকরি। সে থেকে তাকে আর পিছু ফিরে তাকাতে হয়নি।সিএএবিতে উপসহকারি প্রকৌশলী হিসেবে প্রকৌল বিভাগের বিভিন্ন দপ্তরে-যেমন- সিডি-১/২/৩, রাজধানির বাইরের বিভিন্ন এয়ারপোর্টে কর্মরত থাকার সুবাধে গত একযুগে ইস্টিমেট বাণিজ্য, কাজ না করেই এমবিএ ওঠিয়ে দেয়া, নিম্মমানের কাজ করা- এভাবে হাত পাকা করে ঠিকাদারদের থেকে দুহাতে টাকা কামিয়ে দুর্নীতিতে সিদ্ধহস্ত হয়ে পড়েছেন, পদোন্নতি পেয়ে সহকারি প্রকৌশলী, এরপর চলতি দায়িত্বের নির্বাহি প্রকৌশলী হিসেবে সর্বশেষ ডিভিশন-৩-এ দায়িত্ব পালন শেষে তাকে কক্সবাজার বিমানবন্দরে বদলি করা হয়েছে।বদলির পরও তিনি পক্ষকাল ঢাকায় তার পুরনো কর্মস্থল ছেড়ে যেতে গড়িমসি করেন, অবশেষে তিনি কক্সবাজার বিমানবন্দরে যোগদান করেন। তিনি এখন পিডি
ঢাকায় কর্মরত থাকাবস্থায় তিনি এস্টিমেট বাণিজ্য করেছেন বলে ঠিকাদাররা জানান, সাবেক মন্ত্রী মেননের এপিএস আতিকের সাথে বিশেষ সখ্যতা গড়ে ওঠে, বরিশাল বিমানবন্দরের প্রায় সমস্ত ঠিকাদারি কাজ বাগিয়ে নেয়া আতিককে সহযোগিতা করে কাড়ি কাড়ি টাকা কামিয়ে নেন, কাজের ‘উইথহেল্ড’ ফাইলে লিখে দিয়েও বাণিজ্য করতে থাকেন। সাবেক প্রধান প্রকৌশলী হারুনর রশিদ ভুইয়াকেও তার দপ্তওে কালেভদ্রে দেখা যায়।
তার বাড়ি কুমিল্লায়, সে সুবাধে সাবেক প্রধান প্রকৌশলী হারুনর রশিদ ভুইয়ার বাড়ি কুমিল্লায় , একত্র সিএএবিতে কুমিল্লা সমিতি করেন, এরই ধারাবাহিকতায় প্রধান প্রকৌশলীর সাথে বিশেষ সখ্যতার কারনে দুই নম্বরি ঠিকাদারি কাজে সিদ্ধহস্ত হয়ে কাড়ি কাড়ি টাকা কামিয়ে নেন।এর ফসল হিসেবে তার লাইফস্টাইল পাল্টে যায়, বিয়ে করেন একাধিক, রাজধানিতে গড়ে তুলেন বহুতল অট্রালিকা।এমনি একটি বহুতল অট্রালিকার ছবি আমাদের দপ্তরে এসেছে। বহুতল এ বাড়িটি রাজধানির উত্তরখান বৈকাল রোডে।
গত বছর দুদক ইউনুস ভুইয়াকে তলব করলেও তদবিরে তা ধামাচাপা পড়ে যায়। ফলে দুদক তাকে দায়মুক্তিও দেয়নি আবার তদন্ত শেষও হয়নি বলে জানা যায়। তবে তিনি এখন কিছুটা রিলাক্স মুডে।
এদিকে সিডি-২-এ কর্মরত ২ জন সহকারি উপসহকারি প্রকৌশলী ও ১জন উপ-সহকারি প্রকৌশলীর বিরুদ্ধে সচিব বরাবর অভিযোগ আমলে নিচ্ছে না সিএএবি ।

এই ওয়েবসাইটের যে কোনো লেখা বা ছবি পুনঃপ্রকাশের ক্ষেত্রে ঋন স্বীকার বাঞ্চনীয় ।