শুক্রবার, ১৭ মে ২০২৪, ০৯:৪৭ পূর্বাহ্ন
ব্রেকিং নিউজ:
মাথাভারি হচ্ছে সিএএবি প্রশাসন : আরো ৫ হাজারের অধিক জনবল নিয়োগের পরিকল্পনায় অর্গানোগ্রাম প্রস্তুত : মন্ত্রণালয়ে যাচ্ছে প্রস্তাব : বর্তমান সচিব-চেয়ারম্যানের আমলে হবে তো-

ডেক্স রিপোর্ট : মাথাভারি হচ্ছে সিএএবি প্রশাসন, বাড়বে সরকারের কোটি কোটি টাকার খরচ। আরো ৫ হাজারের অধিক জনবল নিয়োগের পরিকল্পনা, অর্গানোগ্রাম প্রস্তুত, প্রস্তাব যাচ্ছে মন্ত্রণালয়ে। প্রক্রিয়া সম্পন্ন হলে সিএএবিতে জনবল বর্তমানের চিত্র মিলে দ্বিগুণ হবে।

কিন্ত আগামি ডিসেম্বরে বিমান সচিব, সিএএবি চেয়ারম্যান, প্রধান প্রকৌশলীর একযোগে সিএএবি ছাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে সবাই থাকার তদবিরে দৌড়ঝাপ করছেন। কেউ মন্ত্রীর দপ্তরে, আবার কেউ প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরে তদবিরে ব্যস্ত। কাজেই বর্তমান চেয়ারম্যানের আমলে এ পরিকল্পনা বাস্তবায়ন হবে তো-

খোজখবর নিয়ে জানা গেছে, হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনাল পরিচালনার জন্য পাঁচ হাজার অধিক  জনবল নিতে চায় বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক)।

এ ব্যাপারে একটি প্রস্তাবনা তৈরি করে অচিরেই মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হচ্ছে বলে জানা গেছে। আগামী বছরের অক্টোবরে থার্ড টার্মিনালের অপারেশনাল কার্যক্রম শুরু হওয়ার  আগেই এ জনবল নিয়োগের সম্ভাবনা রয়েছে।

সূত্রে  জানা গেছে, বর্তমানে সংস্থায় ৫ হাজার ৭১৪ কর্মকর্তা-কর্মচারী আছেন। অচিরেই শাহজালাল বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনাল উদ্বোধন হবে, তাই আরও ৫১০০ জনবল নিয়োগে নতুন একটি অর্গানোগ্রাম তৈরি করা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে- টার্মিনালের পরিচালনা ও পরিকল্পনা বিভাগে ৭২৫ জন, প্রকৌশল বিভাগে ১ হাজার ১৩৬, এয়ার ট্রাফিকে ৪৩১, এভিয়েশন সিকিউরিটি ২ হাজার ১১৫, প্রশাসনিক বিভাগে ৫৭৫, অর্থ বিভাগে ১০৬ জন এবং অডিট বিভাগে ১২ জন। এ সংক্রান্ত প্রস্তাবনাটি বেবিচক থেকে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে। সেখান থেকে অনুমোদনের পর সিদ্ধান্ত হবে জনবল নিয়োগের ব্যাপারে।

এ ব্যাপারে বেবিচক চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মফিদুর রহমান গণমাধ্যমকে জানান, ‘আগামী বছরের অক্টোবরে বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনাল চালু করা হবে। এটি পরিচালনায় অতিরিক্ত জনবল প্রয়োজন। এ জন্য একটি প্রস্তাবনা তৈরি করা হয়েছে। সরকারের অনুমোদন সাপেক্ষে পদ সৃষ্টি করে নিয়োগ দেওয়া হবে।’

সূত্র জানায়, শাহজালাল বিমানবন্দরে আন্তর্জাতিক মানের এ যাত্রী টার্মিনালটির আয়তন হবে ২২.৫ লাখ বর্গফুট। বর্তমানে বিমানবন্দরের দুটি টার্মিনালে ১০ লাখ বর্গফুট জায়গা রয়েছে। তৃতীয় টার্মিনালের প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হলে বিমানবন্দরের বর্তমান যাত্রী ধারণক্ষমতা ৮০ লাখ থেকে বেড়ে দুই কোটি হবে এবং কার্গো ক্যাপাসিটি বর্তমান দুই লাখ টন থেকে বেড়ে হবে পাঁচ লাখ টন। তিন তলাবিশিষ্ট নতুন টার্মিনাল ভবনটির আয়তন ২ লাখ ৩০ হাজার বর্গমিটার। এতে ২৪টি বোর্ডিং ব্রিজের ব্যবস্থা থাকলেও প্রকল্পের প্রথম ধাপে ১২টি বোর্ডিং ব্রিজ চালু করা হবে। বহির্গমনের জন্য ১৫টি সেলফ সার্ভিস চেক ইন কাউন্টারসহ মোট ১১৫টি চেকইন কাউন্টার থাকবে। এ ছাড়া ১০টি স্বয়ংক্রিয় পাসপোর্ট কন্ট্রোল কাউন্টারসহ থাকবে ৬৬টি ডিপারচার ইমিগ্রেশন কাউন্টার। টার্মিনালের সঙ্গে নির্মাণ করা হচ্ছে বহুতল কারপার্কিং ভবনও। সেখানে পার্কিংয়ের সুযোগ পাবে ১ হাজার ৪৪টি গাড়ি। পাশাপাশি আন্তর্জাতিক মানের অত্যাধুনিক অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা, লাউঞ্জ, দোকান, রেস্টুরেন্টসহ আন্তর্জাতিক মানের যাত্রীসেবার নানা সুবিধা। জাপানের মিৎসুবিশি ও ফুজিতা এবং কোরিয়ার স্যামসাংয়ের একটি কনসোর্টিয়ামের অধীন চলছে তৃতীয় টার্মিনালের নির্মাণযজ্ঞ।

 

এই ওয়েবসাইটের যে কোনো লেখা বা ছবি পুনঃপ্রকাশের ক্ষেত্রে ঋন স্বীকার বাঞ্চনীয় ।