শুক্রবার, ১৭ মে ২০২৪, ১০:১৭ পূর্বাহ্ন
ব্রেকিং নিউজ:
সিএএবি : জেলখাটা প্রকৌশলী সেলিমকে পদোন্নতি দিচ্ছে সিএএবি কর্তৃপক্ষ : ডিপিসি মিটিংয়ে চুড়ান্ত সিদ্ধান্ত

স্টাফ রিপোর্টার : ২৩দিন জেলখাটার পরও ইএম বিভাগের প্রকৌশলী মাহমুদ হাসান সেলিমকে চাকরিচ্যুত বা সাসপেন্ড না করে পুরস্কার হিসেবে পদোন্নতি দিচ্ছে সিভিল এভিয়েশন কর্তৃপক্ষ। গত ২১ সেপ্টেম্বর বুধবার এ ব্যাপারে ডিপিসি মিটিংয়ে বিষয়টি চুড়ান্ত করা হয়েছে বলে জানা গেছে। এই জেলখাটা প্রকৌশীকে আবার দেশের স্পর্শকাতর , দেশের প্রবেশদ্ধার শাহজালাল বিমানবন্দরে পোস্টিং দেয়া হয়েছে। আর এ সবই সম্ভব হচ্ছে সিএএবির প্রশাসনের হস্তক্ষেপে।
এখানে সিএএবি প্রশাসন নীরব, দুই দুইবার সোনাসহ শাহজালালে ধরা খাবার পরও পরিচালক মানব সম্পদের কথিত ভাগিনা হাকিম দিব্যি চাকরি করছেন, তাকেও সাসপেন্ড বা চাকরিচ্যুত করা হয়নি।
খোজখবর নিয়ে জানা গেছে, ইএম বিভাগের উপসহকারি প্রকৌশলী মাহমুদ হাসান সেলিম সৈয়দপুর বিমানবন্দরে কর্মরত থাকাবস্থায় অর্থ আত্মসাৎ প্রতারনা মামলায় গ্রেফতার হয়ে ২৩ দিন জেল খাটেন। জেল থেকে বেরিয়ে আবার তিনি চাকরিতে যোগদান করেন। এই ২৩ দিন জেল খাটার দায়ে তাকে সাসপেন্ড করা হয়নি, চাকরিচ্যুত করা হয়নি।
সিএএবির প্রশাসন বিভাগ থেকে তৎকালিন সহকারি পরিচালক(প্রশাসন) মোহাম্মদ আবিদুল ইসলাম স্বাক্ষরিত সৈয়দপুর বিমানবন্দর ব্যবস্থাপককে মতামত চেয়ে গত ১৫ জুন২০১৯ খ্রি: -এ একখানা কারণ দর্শনো দাপ্তরিকপত্র জারি করেন।
সৈয়দপুর বিমানবন্দরের ব্যবস্থাপকের মতামতকে প্রাধাণ্য না দিয়ে প্রকৌশলীকে চাকরিতে আগলে রাখা হয়। তাকে চাকরিচ্যুত করা হয়নি।
প্রকৌশলী সেলিম এবং তার আপন ভাই প্রকৌশলী এনামুলের বিরুদ্ধে এসএসসি শিক্ষাসনদ জ্রালের অভিযোগের ব্যাপারে তদন্তের জন্য সহকারি পরিচালক (প্রশাসন)’ থেকে যশোহর শিক্ষা বোর্ড চেয়ারম্যানকে দাপ্তরিক চিঠি দেয়া হয়। তাদের বাবা-বড় ভাইয়ের প্রতারনার ফিরিস্তিসহ সিএএবির চেয়ারম্যান বরাবর ইতিপূর্বে অভিযোগ করা হয়। কিন্ত সবই সময়ের বিবর্তনে ধামাচাপ পড়ে যায়। প্রকৌশলী সেলিম- এনামুল দিব্যি চাকরি করছেন আর দুর্ণীতি করে টাকার পাহাড় গড়েছেন বলে দুদক তদন্ত করছে।কিন্ত সেলিম দাবি করেন দুদক তাকে দায়মুক্তি দিয়েছে। এনামুলের সিলেটে বড় মৎস্য খামার রয়েছে বলে জানা যায়। যা দেখভাল করেন সিএএবির শাহজালালে কর্মরত ইনজিন ড্রাইভার কামরুল এবং হাসান, তারাাও নাকি মৎস্য খামারের পার্টনার।

এই ওয়েবসাইটের যে কোনো লেখা বা ছবি পুনঃপ্রকাশের ক্ষেত্রে ঋন স্বীকার বাঞ্চনীয় ।