শুক্রবার, ১৭ মে ২০২৪, ১১:১৩ পূর্বাহ্ন
ব্রেকিং নিউজ:
সিএএবি : চেইনম্যাণ যখন একটি আন্তর্জাতিক মসজিদের ইমাম : মোয়াজ্জেম সিকিউরিটি গার্ড মনির: ১৪ বছরে একদিনও ফজরের জামাতে ইমামতি করেননি ইমাম আখতারুজ্জামান : হজ ব্যবসা জমজমাট, ১টি মাদ্রাসারও শিক্ষক বটে : দানের নামে চাদা, ভাগ করে নেয় ইমাম-মোয়াজ্জেম- খাদেম

স্টাফ রিপোর্টার : হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কোল ঘেষে সৌদি বাদশার অনুদানে নির্মিত ‘হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর মসজিদের ইমাম আখতারুজ্জামান একজন চেইনম্যান। মোয়াজ্জেম মনির একজন সিকিউরিটি গার্ড। আর খাদেম একজন চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারি। ১৪ বছরের ১ দিনও ইমাম আখতারুজ্জামান ফজরের জামাতে ইমামতি করেননি।
্ তার মূল হজ ব্যবসা জমজমাট, তিনি আবার দক্ষিণখানে একটি মাদ্রাসার শিক্ষক বটে। তিনি সরকারি চাকরি করে মাদ্রাসায় শিক্ষকতা করেন কিভাবে- এ প্রশ্ন তুলেন কয়েক মসুল্লি।
হজ কাফেলা নিয়ে তিনি বছরের হজ মওসুম ছাড়াও ওমরা করানোর জন্য সৌদি আবরে পড়ে থাকেন। তখন ইমামতি করেন খাদেম। আর মোয়াজ্জেম সিভিল এভিয়েশনের গার্ড, নাম তার মনির হোসেন। খাদেমও সিভিল এভিয়েশনের একজন চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারি। ঠিক এভাবেই চলছে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের মসজিদ।
মসজিদের নিয়মিত কয়েকজন মুসুল্লিা অভিযোগ করেন এ মসজিদে সঠিক সময়ে আজান হয় না , তাই সঠিক সময়ে নামাজ পড়া হয় না। প্রতি শুত্রবার দানবাক্স ছেড়ে দিয়ে চাদা তোলা হয়। এ চাদার টাকা ইমাম- মোয়াজ্জেম ভাগ করে নেন। খাদেমও বাদ পড়েন না।
ইমাম আখতারুজ্জামান বেশিরভাগ সময় মসজিদে অনুপস্থিত থাকলেও তার বেতন কর্তন করা হয় না বরং তাকে ওভারটাইমও নাকি দেয় সিএএবি কর্তৃপক্ষ।
গত ২৯ সেপ্টেম্বর আছরের নামাজের সময় ইমাম-মোয়াজ্জেম কেউ-ই মসজিদে আসেননি, আজান দেন খাদেম, নামাজ পড়ান খাদেম।
টার্মিনাল ভবনের ভিতরের মসজিদেও ইমামকে দিয়ে সার্ভিস ডেক্সে ডিউটি করানোর অভিযোগও ওঠেছে। কিন্ত বিষয়টি অস্বীকার করেন বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ।

এই ওয়েবসাইটের যে কোনো লেখা বা ছবি পুনঃপ্রকাশের ক্ষেত্রে ঋন স্বীকার বাঞ্চনীয় ।