শুক্রবার, ১৭ মে ২০২৪, ০১:৪২ অপরাহ্ন
ব্রেকিং নিউজ:
সিএএবিতে দুদকের এক কমিশনারের আত্মীয় পরিচয়ে তদবির বাণিজ্য জমজমাট, এস্টিমেট বাণিজ্য

স্টাফ রিপোর্টার : সিভিল এভিয়েশনে আগে ছিল এক খুররম, দুদকের নামে তদবির বাণিজ্য করে বেড়াত। তাকে নিয়ে গণ মাধ্যমে একাধিক রিপোর্ট প্রকাশের পর চুপসে গেছেন তিনি। বর্তমানে সিএএবিতে নব্য দুই খুররমের আর্বিভাব ঘটেছে, এরা শ্যালক- দুলাভাই বলে জানাায় একাধিক কন্টাক্টর। দুলাভাইর নাম গোলাম সারওয়ার আর শ্যালকের নাম শফিক। এরা দুজন দুদকের একজন কমিশনারের আত্মীয় পরিচয়ে সিএএবিতে জমজমাট তদবির বাণিজ্য শুরু করেছেন। প্রকৌশলীদের দুদকের নামে ভয়ভীতি দেখিয়ে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে বলে কন্টাক্টররা জানান। সিভিল ডিভিশনের ২ জন নির্বাহী প্রকৌশলী সারওয়ার- শফিকের গ্যাঢ়াকলে পড়েছেন, হাতিয়ে নিয়েছে কয়েক সাড়ে লাখ টাকা। এদের একজনের তদবির কাজে এসেছে, দুদকের তদন্তাধীন বিষয় থেকে তাকে রেহাই দেয়া হয়েছে। আরেকজন এখনও ঝুলে আছেন। দুদক সিএএবির ১৬ জনের নামে তলব চিঠি জারি করলেও ১২ জনকেই খালাস দেয়া হয়েছে। এ নিয়ে ইতিপূর্বে একুশে বার্তার অনলাইনে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে।
সারওয়ারের বাড়ি মাদারিপুরে আর শফিকের বাড়ি বি-বাড়িয়া বলে জানা যায়। এদের সিএএবির কোন ঠিকাদারি সনদ নেই বলে একাধিক কন্ট্রাক্টর জানান। আর থাকেন ধরাছোয়ার বাইরে। একজন কন্ট্রাক্টর এদের ছবি সরবরাহ করেছেন, একুশে বার্তার দপ্তরে তা সংরক্ষণ আছে। সারওয়ার –শফিক-এই দুজন গত অর্থবছরে প্রায় ১৫ কোটি টাকার ঠিকাদারি কাজ করেছেন অন্যের ফার্মের নামে, বর্তমান অর্থবছরেও প্রায় ১৫ কোটি টাকার ঠিকাদারি কাজ পেয়েছেন বলে কন্টাক্টররা জানান।
গত অর্থবছরে শাহজালাল বিমানবন্দরে এপ্রোন সাইটে প্রায় ৪ কোটি টাকার নিয়ন সাইনের কাজ করেছেন আল রাজ নিউ সাইন লাইন্সেসের অধীনে, এর প্রোপাইটর রফিক, এ ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছেন সংশ্লিষ্ট নির্বাহী প্রকৌশলী।এ ছাড়া এসকে এন্টারপ্রাইজের নামেও কাজ করে থাকেন।তবে এসকে এন্টারপ্রাইজের মালিক আবুল কাশেমের একটি সরবরাহকৃত নম্বরে বার বার ফোন দিলেও তাকে পাওয়া যায়নি। সিএএবির সদর দপ্তরে ডিপটিউবওয়েল এবং তেজগাওয়ে ডিপ টিউবওয়েল মিলে ২ কোটি টাকার কাজ করেছেন সাবেক প্রধান প্রকৌশলীর আত্মীয়’র ফার্মের নামে বলে কন্টাক্টররা আরো জানান।এ ছাড়া সিভিল ডিভিশন-২-এর অধীন কাওলার স্টাফ কোয়ার্টারে ‘ইয়ারলি’ মেইনটেনেন্স কাজ করেছেন প্রায় ৩ কোটি ৪০ লাখ টাকার।্
এ ব্যাপারে জানতে ৩ নির্বাহি প্রকৌশলীর সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তারা জানান, শফিক তো কয়েকজন, কোন শফিক তা জানি না। তবে একজন প্রকৌশলী জানান, শাহজালালে নিয়ন সাইনের কাজ করেছে আল রাজ।শফিক একবার আমার দপ্তরে এসেছিলেন।
এসকে এন্টারপাইজের মালিককে কয়েকবার ফোন দিলেও তিনি রিসিভ করেননি। ফলে এসকের মালিক আবুল কাশেমের সাথে কথা বলা সম্ভব হয়নি।

এই ওয়েবসাইটের যে কোনো লেখা বা ছবি পুনঃপ্রকাশের ক্ষেত্রে ঋন স্বীকার বাঞ্চনীয় ।