শুক্রবার, ১৭ মে ২০২৪, ০৩:১৬ অপরাহ্ন
ব্রেকিং নিউজ:
বিমানের জিএম মনিরুল ইসলাম, দুই দুইবার পদোন্নতি ভেস্তে গেছে, নব্য আওয়ামীলীগার সেজে পদোন্নতি বাগিয়ে নেয়ার পায়তারা!

স্টাফ রিপোর্টার : বিমান বাংলাদেশ এয়ার লাইন্সের জিএম ( ভারপ্রাপ্ত) মনিরুল ইসলামের বিতর্কিত কর্মকান্ডে বিমানে দুই দুইবার পদোন্নতি ভেস্তে, এবার আবার নব্য আওয়ামীলীগার সেজে পদোন্নতি বাগিয়ে নেয়ার পায়তারা করেছেন বলে অভিযোগ ওঠেছে। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক জিয়ার ব্যবসায়িক পার্টনার, বাংলাদেশের সব ব্যবসা-বাণিজ্য দেলভাল করে থাকেন এমন এক ব্যক্তি কনক খান। এই কনক খানের সাথে জিএম মনিরুল ইসলামের ভাই আমিরুল ইসলামের ঘনিষ্ঠতা। ওই জিএম এয়ারপোর্ট সার্ভিসের জিএম –এর দায়িত্ব পেতে কাঠখড় পোড়াচ্ছেন, তিনি নব্য আওয়ামীলীগার সেজে জিএম পদে স্থায়ী হতে পারলে আর এয়ারপোর্ট সার্ভিসের দায়িত্ব পেলে যাত্রী সেবার মান কোথায় গিয়ে দাড়াবে –তা কি বিমান কর্তৃপক্ষ ভেবে দেখছেন। এই জিএম মনিরুল ইসলাম এয়ারপোর্টে সকল ধরনের স্বান্ধানেষী কাজের সাথে জড়িত বলেও অভিযোগ ওঠেছে। এয়ারপোর্ট সার্ভিসেসে অধীনস্থ ও কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে নানা প্রোপাগান্ডা চালিয়ে যাওয়া ও কর্মচারিদের বিভিন্ন উস্কনামিুলক প্ররোচনায় লিপ্ত বলেও অভিযোগ
জানা যায়, সাবেক বিমানমন্ত্রী মীর নাছিরের সহযোগিতায় এবং রাজাকার মতিউর রহমান নিজামির প্রত্যক্ষ হস্তক্ষেপে বিমান লন্ডন স্টেশনে বদলি হন জিএম মনিরুল ইসলাম এবং সেখানে ক্ষমতার অপব্যবহার করে পোস্টিং মেয়াদ শেষ হবার পরও অবস্থান করেন। তিনি এয়ারপোর্ট সার্ভিসেস বিভাগে কর্মরত বিএনপি শ্রমিক দলের সভাপতি জুনিয়র গ্রাউন্ড সার্ভিস অফিসার আসাদের ঘনিষ্ঠ সহযোগি এবং বিশ^বিদ্যালয়ের হলমেট।
জিএম মনিরুল ইসলাম পারিবারিকভাবে বিএনপির শীর্ষ নেতাদের সাথে সুসম্পর্ক। তার আপন ভাই আমিরুল ইসলাম বিএনপির শীর্ষস্থানীয় নেতা ও যুক্তরাজ্য প্রবাসি কনক খানের ব্যবসায়িক পার্টনার। কনক খান তারেক জিয়ার ঘনিষ্ঠ সহযোগি।দেশে-বিদেশে আওয়ামী সরকার বিরোধি আন্দোলনের পথিকৃত এবং বাংলাদেশে তারেক জিয়ার বিভিন্ন ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান দেখাশুনা করেন। বাংলাদেশে কনক খানের কিছু ব্যবসায়িক পার্টনার জিএম মনিরুল ইসলামের আপন ভাই আমিরুল ইসলাম।
আপন ভাইয়ের সুবাধে মনিরুল ইসলামের সাথে কনক খানের সুসম্পর্ক, ঘনিষ্ঠতা ও যোগাযোগ বিদ্যমান। তার সমসাময়িক সবাইকে পদোন্নতি প্রদান করা হলেও জিএম মনিরুলের বিরুদ্ধে বিরূপ রিপোর্ট ও বিতর্কিত কর্মকান্ডের জন্য তাকে দুইবার পদোন্নতি প্রদান করা হয়নি। দাপ্তরিক কার্যক্রমে মনোনিবেশ না করে তিনি এয়ারপোর্টে সর্বদা বিশেষ বিশেষ ভিআইপিদের প্রটোকল প্রদানে ব্যস্ত থাকেন এবং নিজেকে আওয়ামীলীগার হিসাবে পরিচিত করানোর জন্য বিভিন্ন নেতাদের বাসায় গিয়ে প্ররোচনা ও তদবিরে ব্য স্ত থাকেন। এয়ারপোর্ট সার্ভিসেস কার্যক্রম ধীর করা, কর্মকর্তা-কর্মচারিদের কাজে অনুৎসাহিত করে নানা উস্কানিমুলক কাজে জড়িয়ে পড়েন। এ সব বিষয় গোয়েন্দা সংস্থা খতিয়ে দেখছে।
আজ ওই জিএম-এর পদোন্নতি শেষ ধাপ অতিক্রম করছেন। তিনিসহ তার চৌদ্দগোষ্ঠি আওয়ামীলীগার বলে পদোন্নতি বাগিয়ে নেয়ার শেষ চেষ্টা করছেন।

এই ওয়েবসাইটের যে কোনো লেখা বা ছবি পুনঃপ্রকাশের ক্ষেত্রে ঋন স্বীকার বাঞ্চনীয় ।