শুক্রবার, ১৭ মে ২০২৪, ০৪:৩৯ পূর্বাহ্ন
ব্রেকিং নিউজ:
বিমান : ৫ স্থাপনায় ক্লিনিং টেন্ডার আহবান, ভ্যাট-ট্যাক্স ছাড়াই অঈীকারনামা নিয়ে কমফোর্টকে কার্যাদেশ দেয়ার পায়তারা : মূল্যায়ন কমিটির দ্বিতীয় সভার সুপারিশ ডিএ বরাবর প্রেরণ

স্টাফ রিপোর্টার : বিমান বাংলাদেশ এয়ার লাইন্সেসের ৫টি স্থাপনায় ক্লিনিং গত ১৩ মার্চ টেন্ডার আহবান করা হয়েছে। বিমান কর্তৃপক্ষ ক্লিনারদের বেতন প্রতিমাসে ৮৪২০ টাকা করে দেবার জন্য শর্তারোপ করে দিয়েছে- যা আন্তর্জাতিক শ্রম আইন- আইএলও লংঘন। এমকি গার্মেন্স আইনও লংঘন, কারণ গার্মেন্স শ্রমিকদের বেতন সর্বনি¤œ ১২ হাজার টাকা। বিমান কর্তৃপক্ষ কিভাবে বার বার আইএলও শর্ত লংঘন করে ক্লিনিং টেন্ডার আহবান করছে- তা অনেককেই ভাবিয়ে তুলছে।কিন্ত বিমান কর্তৃপক্ষ এ ব্যাপারে উদাসিন।
বিমানের ওই ৫ কি¬িনং স্থাপনায় আহবানকৃত টেন্ডারে মোট ২৫ জন ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান টেন্ডার ড্রপ করে। ক্লিনার বেতন মাসে বাধ্যতামুলক ৮৪২০ টাকা + সাড়ে ৯% ভ্যাট-ট্যাক্সসহ দাড়ায় ৯২১৯ টাকা, এর মধ্যে পণ্য কেনাকাটা, যন্ত্রপাতি কেনা, ঠিকাদারের ১০% লাভ – সবমিলে একজন ক্লিনারের সর্বনি¤œ বেতন হওয়া উচিত মাসে ১০ হাজার টাকার ওপরে। কিন্ত বিমান কর্তৃপক্ষ দেবে ৮৪২০ টাকা, তাও আবার সরকারের ভ্যাট-ট্যাক্স ছাড়া।
কিন্ত কমফোর্ট নামেরা ( কাশেম ও এডেন্টডেন্স রবিউল ভাড়া করে এনেছে বলে ঠিকাদাররা জানান) ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান –যাদের কাজের অভিঙতা নেই, ইতিপূর্বে বলাকা ভবনে ক্লিনিং কাজে করে কোন মাসে বেতন নিতে পারেনি, পরে ১বছর ঘুরে জামানত ওঠিয়ে নেয়- সেই কমফোর্টকেই ভ্যাট-ট্যাক্স ছাড়া ৮৪২০ টাকায় কার্যাদেশ দেয়ার পায়তারা করছে বিমান কর্তৃপক্ষ। তাহলে সরকারের ভ্যাট-ট্যাক্স দেবে কে? পণ্য-যন্ত্রপাতি কিনবে- সে টাকা দিবে কে? ঠিকাদারের লাভ দেবে কে? অথচ এ পথেই যাচ্ছে বিমান কর্তৃপক্ষ।
টেন্ডার মূল্যায়ন কমিটির প্রথম সভা হয়েছে। এ সভায় মূল্যায়ন কমিটির সভাপতি বিমানের জিএম মনজুর ইমাম উপস্থিত ছিলেন না। ২৮ এপ্রিল আবার ২য় বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। ভাট-ট্যাক্স ছাড়া টেন্ডাওে অংশ নেয়া যে প্রতিষ্ঠানের টেন্ডারই বাতিল হবার কথা- অথচ সেই ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কমফোর্টকেই কার্যাদেশ দেবার সুপারিশ করে পরিচালক প্রশাসন বরাবর সুপারিশ পাঠানো হয়েছে বলে জানা যায়। এ ক্ষেত্রে টেন্ডার মূর‌্যায়ন কমিটির সভাপতিকে রাখা হয়েছে অন্ধকাওে, ভ্যাট-ট্যাক্স ছাড়া টেন্ডাওে অংশ নেয়া প্রতিষ্ঠানের নাম মূল্যায়ন কমিটির সভাপতিকে জানানো হয়নি।
জানা যায়, টেন্ডার মূল্যায়ন কমিটির সভাপতি মনজুর ইমাম বিমানের সে›্রটাল একাউন্সের জিএম-এর দায়িত্বে ছিলেন। ৫/৬ মাস আগে তার বিরুদ্ধে বিমান তদন্ত করে সেন্ট্রাল একাউন্স-এর দায়িত্ব থেকে সরিয়ে জিএম হিসাব করা হয়েছে। তার স্ত্রী সিভিল এভিয়েশনের ইএম বিভাগের সহকারি প্রকৌশলী বলে জানা যায়।
এ ব্যাপারে কমফোর্ট-এর মালিক রবিউল জানান, আমি ভ্যাট-ট্যাক্সসহ রেট দেইনি। অঈীকারনামা দিয়েছি। কমফোর্ট কার্গোভিলেজে রেট দিয়েছে ১ লাখ ৭৬ হাজার টাকা, অথচ এখানে ভ্যাট-ট্যাক্সসহ ২০ ক্লিনারের প্রতিমাসে বেতন বাবদ খরচ হবে ১ লাখ ৯৩ হাজার ৩২২ টাকা। প্রতিমাসে কমফোর্টের গচ্চা যাবে ১৬ হাজার ৭৭২ টাকা। কমফোর্টের মালিক জানান, আমি গচ্চা দিয়েও কাজ করবো।কমফোর্ট এডমিন বিল্ডিং-এ রেট দিয়েছে ৮২ হাজার ৫৬০ টাকা, মতিঝিলে রেট দিয়েছে ৫৬ হাজার ৫০০ টাকা। রবিউল আরো জানান, আমি ইতিপূর্বে বলাকা ভবনে ক্লিনিং কাজ করে প্রতিমাসে বিল উত্তোলন করেছি।
জানা যায় বিমানের এটেন্টডেন্ট রবিউল ইসলামের বাড়ি আর ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কমফোর্টের মালিক রবিউলের বাড়ি একই জায়গায় বলে আন্ঞলিকতা রয়েছে,দুইজনে মিতালি, দুই রবিউল মিলে ফিফটি ফিফটি টেন্ডার ব্যবসা করছে বলে জানা যায়।
এ ব্যাপারে এটেন্টডেন্ট রবিউলের মোবাইলে কল দিয়ে প্রসংগ উথ্যাপন করতেই তিনি ফোন লাইন কেটে দেন।
টেন্ডার মূল্যায়ন কমিটির সভাপতি জিএম মনজুর ইমাম জানান, ভ্যাট-ট্যাক্স ছাড়া টেন্ডারে অংশ নিয়েছে কোন প্রতিষ্ঠান- এ কথা আমাকে জানানো হয়নি।চলবে

এই ওয়েবসাইটের যে কোনো লেখা বা ছবি পুনঃপ্রকাশের ক্ষেত্রে ঋন স্বীকার বাঞ্চনীয় ।