মঙ্গলবার, ১৪ মে ২০২৪, ১০:২০ অপরাহ্ন
ব্রেকিং নিউজ:
বিএনপি নেতা আজিজুল বারী হেলাল ‘আটক’

একুশে বার্তা প্রতিবেদক : বিএনপির  কেন্দ্রীয় তথ্য বিষয়ক সম্পাদক ও সাবেক ছাত্রদল সভাপতি  আজিজুল বারী হেলালকে রাতে সাদা পোশাকে পুলিশ তার বাসা থেকে তুলে নিয়ে গেছে বলে অভিযোগ করেছে বিএনপি।

দলের জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী গণ মাধ্যমকে একথা জানিয়েছেন।

তবে পুলিশের পক্ষ থেকে বিষয়টি নিয়ে এখনও কেউ নিশ্চিত করছে না।

রিজভী বলেন, ‘রাত পৌনে আট টায় মগবাজার ওয়ারলেসের বাসা থেকে সাদা পোশাকে পুলিশ আজিজুল বারী হেলালকে তুলে নিয়ে গেছে বলে আমরা জানতে পেরেছি’

এ বিষয়ে জানতে চাইলে ঢাকা মহানগর পুলিশের রমনা বিভাগের উপ-কমিশনার মারুফ হোসেন সরদার গণ মাধ্যমকে বলেন, ‘এ বিষয়ে আমার জানা নেই। কেউ ধরছে কি না তাও জানি না।’

আর ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের দক্ষিণ বিভাগের ভারপ্রাপ্ত উপ-কমিশনার মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ গণ মাধ্যমকে বলেন, ‘তাকে কেউ ধরেছে কি না জানি না। ধরে থাকলে আপনাকে জানাব।’

এদিকে হেলালের সঙ্গে সেখান থেকে ছাত্রদলের বেশ কয়েকজন নেতাকে আটক করা হয়েছে বলে দাবি করেছে ছাত্রদল। এদের মধ্যে আছেন মোহন, পার্থ, বাবু, মাসুদ।

ছাত্রদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ওমর ফারুক মুন্না বলেন, ‘রাত আটটার দিকে আজিজুল বারী হেলালকে আটক করেছে ডিবির একটি দল। এ সময় সেখান থেকে আরো পাঁচ জন ছাত্রদল নেতাকেও আটক করা হয়।’

আগামী ৮ ফেব্রুয়ারি খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার রায়কে সামনে রেখে রাজনৈতিক অঙ্গনে উত্তেজনা ছড়াচ্ছে। বিএনপি অভিযোগ করছে তাদের নেত্রীকে সরকার অন্যায়ভাবে সাজা দেয়ার চেষ্টা করছে। আর রায় বিরুদ্ধে গেলে আন্দোলনের হুমকি দিয়ে রেখেছে বিএনপি।

৩০ জানুয়ারি মঙ্গলবার জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলয় যুক্তি উপস্থাপনের প্রথম দিন খালেদা জিয়ার আদালতে হাজিরা শেষে তুলকালাম হয় হাইকোর্ট এলাকায়। বিএনপির দুই নেতাকে আটকের পর প্রিজন ভ্যানের দরজা ভেঙে তাদেরকে ছিনিয়ে নেয় বিএনপির নেতা-কর্মীরা।

এরপর থেকেই গ্রেপ্তার অভিযানে নামে পুলিশ। তাৎক্ষণিকভাবে আটক করা হয় ৬৯ জনকে।

আর রাতে গুলশান থেকে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় এবং শান্তিনগরের বাসা থেকে দলের সহ সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম অমিতকে তুলে নিয়ে যায় গোয়েন্দা পুলিশ। সেই রাতে বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের বেশ কয়েকজন শীর্ষ নেতার বাড়িতে অভিযানও চালানো হয়।

তবে গয়েশ্বরকে আটকের বিষয়টি তাৎক্ষণিকভাবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীটির কেউ স্বীকার করেনি। যদিও পরে প্রিজন ভ্যানে হামলা মামলায় আসামি দেখানো হয়।

৩১ জানুয়ারি বুধবার সন্ধ্যায় গয়েশ্বর চন্দ্র রায়কে আদালতে হাজির করলে তাকে কারাগারে এবং অমিতকে রিমান্ডে নিয়েছে পুলিশ।

এই ওয়েবসাইটের যে কোনো লেখা বা ছবি পুনঃপ্রকাশের ক্ষেত্রে ঋন স্বীকার বাঞ্চনীয় ।