বুধবার, ১৫ মে ২০২৪, ০৫:৩৬ অপরাহ্ন
ব্রেকিং নিউজ:
এইচএসসি পরীক্ষার রুটিন নিয়ে মানসিক চাপে পরীক্ষার্থী

একুশে বার্তা প্রতিবেদন : আগামী ২ এপ্রিল শুরু হতে যাচ্ছে এইসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা। ইতোমধ্যে এ পরীক্ষার রুটিন প্রকাশ করা হয়েছে। এ রুটিন প্রকাশের পর উদ্বেগ ছড়িয়ে পড়েছে অনেক পরীক্ষার্থীর মধ্যে। কারণ কোনো বিরতি বা বন্ধ ছাড়াই বেশ কয়েকটি বিষয়ের পরীক্ষা রাখা হয়েছে। শুধু তাই নয় এক দিনে সকাল বিকাল দুটি পরীক্ষাও রাখা হয়েছে। এ নিয়ে ভীষণ আতঙ্ক সৃষ্টি করেছে পরীক্ষার্থীদের পাশাপাশি তাদের অভিভাবকদের মধ্যেও।

তারা জানিয়েছেন বিরতিহীন এবং সকাল বিকাল পরীক্ষার কারণে সারা বছর ভালো পড়াশোনা করেও অনেকে রিভিশনের সুযোগ পাবে না। তা ছাড়া এটা শিক্ষার্থীদের ওপর ভীষণ চাপ সৃষ্টি করবে। পরীক্ষায় ভালো প্রস্তুতি এবং ভালো পরীক্ষা দেয়ার ক্ষেত্রে একে বড় ধরনের বাধা বলে মনে করেন তারা।

আগামী ২ এপ্রিল সোমবার বাংলা প্রথম পত্রের পর কোনো বন্ধ ছাড়াই পরের দিন মঙ্গলবার বাংলা দ্বিতীয় পত্রের পরীক্ষা রাখা হয়েছে। তারপর এক দিন বিরতি রাখা হয়েছে। তারপর বৃহস্পতিবার ইংরেজি প্রথম পত্রের পরীক্ষা। শনিবার ইংরেজি দ্বিতীয় পত্র। এরপর এক দিন বিরতি দিয়ে সোমবার সকালে রাখা হয়েছে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি। এটি আবশ্যিক বিষয়। একই দিন বিকালে রাখা হয়েছে পরিসংখ্যান প্রথম পত্র, সাধারণ বিজ্ঞান এবং খাদ্য ও পুষ্টি বিজ্ঞান। ১১ এপ্রিল বুধবার পরিসংখ্যান দ্বিতীয় পত্রসহ সকাল বিকাল কয়েকটি বিষয় রয়েছে। ১২ এপ্রিল বৃহস্পতিবার সকালে পৌরনীতি, জীববিজ্ঞান, ব্যবসায় উদ্যোগ ও ব্যবসায়িক ব্যবস্থাপনা, ফিন্যান্স, ব্যাংকিং ও বীমা বিষয়ের পরীক্ষা রাখা হয়েছে। একই দিন বিকালে রাখা হয়েছে ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি এবং আরো একটি বিষয়।

এভাবে বিরতিহীন পরীক্ষা যেমন রয়েছে তেমনি একই দিন দুটি করে পরীক্ষার মুখে পড়েছে অনেক পরীক্ষার্থী। কম বিরতি, বিরতিহীন এবং একই দিন দুটি পরীক্ষার কারণে অনেক শিক্ষার্থী ভালো ফল নিয়ে শঙ্কিত হয়ে পড়েছে। বিশেষ করে সাধারণ ও মধ্যমমানের শিক্ষার্থীদের জন্য এটা একটা সমস্যা হিসেবে বিবেবচনা করা হচ্ছে। অনেক শিক্ষার্থীর অভিভাবক জানিয়েছেন সারা বছর যতই ভালো পড়–ক না কেন পরীক্ষার আগের দিন যদি পড়া বিষয়গুলো একটু ভালো করে চোখ বুলাতে না পারে বা রিভিশন দিতে না পারে তাহলে অনেক পারা জিনিসও ভুলে যায়। পরীক্ষার আগে রিভিশন খুব গুরুত্বপূর্ণ।

এই ওয়েবসাইটের যে কোনো লেখা বা ছবি পুনঃপ্রকাশের ক্ষেত্রে ঋন স্বীকার বাঞ্চনীয় ।