শুক্রবার, ১৭ মে ২০২৪, ০৬:০৩ পূর্বাহ্ন
ব্রেকিং নিউজ:
অবশেষে নিখোঁজ মোবাশ্বার- উৎপলরা ফিরে এসেছেন

নিজস্ব প্রতিবেদক : একের পর এক নিখোজ ব্যক্তিরা একে একে ফিরে আসছে। সাংবাদিক উৎপল দাস ফিরে আসার চব্বিশ ঘন্টা পরই বিশ্ব বিদ্যালয়ের শিক্ষক ড. মোবাশ্বার ফিরে এসেছেন। কিন্ত নিখোজ হওয়ার রহস্য রহস্যই থেকে যাচ্ছে। আর ফিরে এসে নিখোজের বর্ণনা একই রকমের ভাষায় দেয়া হচ্ছে। রহস্যজনকভাবে ‘নিখোঁজ’ হওয়ার দেড় মাস পর নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক মোবাশ্বার হাসান গত ২১ ডিসেম্বর  বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ১টার দিকে বাসায় ফিরে এসেছেন।

আজ ২২ ডিসেম্বর শুক্রবার সকালে মোবাশ্বারের ছোট বোন তামান্না তাসনিম এ তথ্য সত্যতা নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, গত ২১ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার  দিবাগত রাত একটার দিকে তাঁদের দক্ষিণ বনশ্রীর বাসায় ফিরে আসেন মোবাশ্বার।

গত ৭ নভেম্বর সন্ধ্যা থেকে নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপক মোবাশ্বার হাসানকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। তিনি তাঁর পরিচিতজনদের কাছে সিজার নামে পরিচিত। সরকারের এটুআই প্রকল্পের একটি সভায় অংশ নিতে ওই দিন তিনি আগারগাঁওয়ের আইডিবি ভবনে যান। সেখান থেকে বের হওয়ার পরই নিখোঁজ হন।

মোবাশ্বার বছর খানেক আগে বেসরকারি নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ে সমাজবিজ্ঞান অনুষদের রাষ্ট্রবিজ্ঞান ও সমাজবিজ্ঞান বিভাগে যোগ দেন। তিনি ২০০৫ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগ থেকে স্নাতকোত্তর করেন। সে সময় তিনি বছর তিনেক একটি জাতীয় দৈনিক ও একটি অনলাইন পত্রিকায় সাংবাদিকতা করেন। এরপর যুক্তরাজ্যের ডান্ডি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে রাজনীতি বিষয়ে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করেন। কয়েক বছর যুক্তরাজ্যে অবস্থানের পর তিনি ঢাকায় ফিরে আন্তর্জাতিক দাতব্য সংস্থা অক্সফামে যোগ দেন। তিনি বছর দেড়েক সেখানে কাজ করার পর অস্ট্রেলিয়ায় চলে যান। গ্রিফিথ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন। বাংলাদেশের রাজনীতিতে ইসলামের প্রভাব কতটা ভূমিকা রাখছে, সেটি ছিল তাঁর পিএইচডি থিসিসের বিষয়বস্তু। অস্ট্রেলিয়া থেকে দেশে ফিরে তিনি ঢাকার বেসরকারি ইউল্যাব ইউনিভার্সিটিতে মিডিয়া স্টাডিজ বিভাগে শিক্ষকতা করেন। প্রায় দুই বছর সেখানে কাজ করার পর তিনি নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ে যোগ দেন।

মোবাশ্বার নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতার পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের অ্যাক্সেস টু ইনফরমেশন (এটুআই) প্রকল্পেও কাজ করতেন।

সম্প্রতি মোবাশ্বার বাংলাদেশে ধর্ম ও রাজনীতি নিয়ে একটি গবেষণা প্রকল্পের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। বিশ্বায়নের ছায়ায় বাংলাদেশের ভেতরে কীভাবে রাজনৈতিক ইসলাম এবং উগ্রবাদী সহিংসতা ছড়াচ্ছে, সে বিষয়টি তুলে ধরেছিলেন তিনি সর্বশেষ লেখায়।

এই ওয়েবসাইটের যে কোনো লেখা বা ছবি পুনঃপ্রকাশের ক্ষেত্রে ঋন স্বীকার বাঞ্চনীয় ।