শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ১০:১২ পূর্বাহ্ন
ব্রেকিং নিউজ:
আসছেন ভারতের পররাষ্ট্রসচিব, এফওসি বুধবার

নিউজ ডেক্স : দুই বছর পর ফরেন অফিস কনসালটেশন (এফওসি) বৈঠকে বসছে বাংলাদেশ ভারত। ঢাকায় অনুষ্ঠিতব্য দুই দেশের পররাষ্ট্রসচিবদের বৈঠকে অংশ নিতে মঙ্গলবার বাংলাদেশে আসছেন ভারতের পররাষ্ট্রসচিব বিনয় মোহন কাত্রা

বৈঠকে দুই দেশের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয় নিয়ে আলোচনা হবে। কথা হবে সেপ্টেম্বরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নয়াদিল্লি সফর নিয়ে। পাশাপাশি আলোচনায় আসতে পারে আদানি থেকে বিদ্যুৎ ক্রয় সংক্রান্ত জটিলতা নিয়ে।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও কূটনৈতিক সূত্রগুলো থেকে এসব তথ্য জানা গেছে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা জানান, মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ঢাকায় আসবেন ভারতের পররাষ্ট্রসচিব। বাংলাদেশের পররাষ্ট্রসচিবের তাকে বিমানবন্দরে স্বাগত জানানোর কথা রয়েছে। সফরের দ্বিতীয় দিন দুই পররাষ্ট্রসচিব এফওসি বৈঠকে বসবেন।

এবারের এফওসিতে আলোচনার বিষয়ে জানতে চাইলে এ কর্মকর্তা বলেন, এফওসিতে সাধারণত দুই দেশের দ্বিপাক্ষিক সবগুলো বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়ে থাকে। পর্যালোচনা করা হবে চলমান ইস্যুগুলোর। আলোচনায় থাকতে পারে বাণিজ্য, পানি, সীমান্ত পরিস্থিতি, লাইন অব ক্রেডিট, কানেক্টিভটি, জলবায়ু পরিবর্তনসহ আরও অনেক বিষয়। এছাড়া আগামী সেপ্টেম্বরে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফর নিয়ে আলোচনা হবে বলে আশা করা হচ্ছে।

জানা গেছে, ভারতের পররাষ্ট্রসচিব বুধবার (১৫ ফ্রেবুয়ারি) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেনের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন। পরদিন বৃহস্পতিবার (১৬ ফ্রেবুয়ারি) ঢাকা ছেড়ে যাওয়ার কথা রয়েছে কাত্রার।

কূটনৈতিক সূত্রগুলো বলছে, দুই পররাষ্ট্রসচিবের বৈঠকে দ্বিপাক্ষিক ইস্যুর বাইরে আগামী সেপ্টেম্বরে নয়াদিল্লিতে অনুষ্ঠেয় জি-২০ শীর্ষ সম্মেলন উপলক্ষে বঙ্গবন্ধু কন্যার ভারত সফরের বিষয়টি বিশেষভাবে আলোচনায় থাকবে। এছাড়া এ বছরের মাঝামাঝি দুই দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের বৈঠক জয়েন্ট কনসালটেটিভ কমিশনের প্রস্তুতি নিয়েও আলোচনা হতে পারে।

কূটনৈতিক সূত্রগুলো আরও জানায়, আদানি থেকে বিদ্যুৎ ক্রয় সংক্রান্ত জটিলতা নিয়ে দেশে-বিদেশে আলোচনা হচ্ছে। দুই পররাষ্ট্রসচিবদের বৈঠকে আদানি থেকে বিদ্যুৎ ক্রয় সংক্রান্ত বিষয়টি উঠে আসতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

উল্লেখ্য, বাংলাদেশ ও ভারতের সবশেষ এফওসি ২০২১ সালে ভারতের নয়াদিল্লিতে হয়েছিল।

 

এই ওয়েবসাইটের যে কোনো লেখা বা ছবি পুনঃপ্রকাশের ক্ষেত্রে ঋন স্বীকার বাঞ্চনীয় ।