বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ০৬:৩২ অপরাহ্ন
ব্রেকিং নিউজ:
এসএ গেমস : নেপালকে হারিয়ে ফাইনালে বাংলাদেশ

খেলা ডেক্স : সাউথ এশিয়ান গেমসে নিজেদের তৃতীয় ম্যাচে নেপালকে ৪৪ রানের ব্যবধানে হারিয়েছে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-২৩ দল।

এ জয়ে এসএ গেমস ২০২০ এর আসরে ফাইনালের টিকিটি নিশ্চিত করল বাংলাদেশ।

আগামী সোমবার স্বর্ণ জয়ের মিশনে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে মাঠে নামবে সৌম্যরা।

নেপালের বিপক্ষে জয়ের পেছনে অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্তর দায়িত্বশীল ফিফটি ও আফিফ হোসেন ধ্রুবর আগ্রাসী ৫২ রানের ইনিংসের অবদানই বেশি।

আজ (শনিবার) নেপালের কীর্তিপুরে ত্রিভুবন বিশ্ববিদ্যালয় মাঠে টসে হেরে ব্যাটিং পায় বাংলাদেশ।

মাঠে নেমে প্রথমে ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে বাংলাদেশ। নেপালের অভিজ্ঞ বোলার পরশ খাড়কার প্রথম স্পেলে বল করতে এসেই বাংলাদেশের টপঅর্ডারে ভাঙন ধরান। নিজের প্রথম ২ ওভারেই সৌম্য, নাইম ও সাইফকে আউট করেন খাড়কা।

সৌম্য ও নাইম ৬ রান করে সাজঘরে ফেরেন। শূণ্য রানে আউট হন সাইফ। মাত্র ১৬ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে যায় বাংলাদেশ।

তবে অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত ও বাঁহাতি অলরাউন্ডার আফিফ হোসেন ধ্রুবর জোড়া ফিফটিতে ভর করে সে বিপর্যয় কাটিয়ে ওঠে টাইগাররা।

পঞ্চম উইকেট জুটিতে ৯৪ রানের জুটি গড়েন আফিফ ও শান্ত। ৪টি করে চার-ছক্কার মারে ৬০ বলে ৭৫ রানের ইনিংস খেলে অপরাজিত থাকেন শান্ত। ৬ চার ও ১ ছয়ের মারে ২৮ বলে ৫২ রান করেন সাজঘরে ফেরেন আফিফ।

শেষপর্যন্ত ৬ উইকেট হারিয়ে স্কোরবোর্ডে ১৫৫ রান জমা করে বাংলাদেশ।

৪ ওভারে মাত্র ১৫ রানদিয়ে ৩ উইকেট নেন পরশ খাড়কা। এছাড়া দিপেন্দ্র সিং আইরি নেন ২টি উইকেট।

১৫৬ রান তাড়া করতে নেমে বাংলাদেশি বোলারদের দাপুটে বোলিংয়ে টিকতেই পারেনি নেপালের ব্যাটসম্যানরা।

সর্বোচ্চ রান এসেছে অধিনায়ক জ্ঞানেন্দ মাল্লার ব্যাট থেকে। ৪৩ বলে ৪৩ করেছেন তিনি। দিপেন্দ্র আইরি ১৬ বলে ১৩ এবং অবিনাশ বোহরা ১০ বলে ১৩ রান করেছেন। এছাড়া আর কেউ দুই অংকের ঘরে যেতে পারেননি।

নির্ধারিত ২০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে ১১১ রানে থেমে যায় নেপালের ইনিংস।

বাংলাদেশের পক্ষে ২টি করে উইকেট শিকার করেছেন তানভীর ইসলাম, সুমন খান, সৌম্য সরকার ও মেহেদি হাসান।

এবারের এসএ গেমসে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-২৩ দলে ধারাবাহিকভাবে সফল। প্রথম রাউন্ডের ৩ ম্যাচের সবকয়টিতে জিতে বাংলাদেশের পয়েন্ট ৬। সমান জয় নিয়ে ৬ পয়েন্ট পেয়েছে শ্রীলঙ্কারও।

আগামী সোমবার স্বর্ণ জয়ের মিশনে বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কা মুখোমুখি হচ্ছে।

 

এই ওয়েবসাইটের যে কোনো লেখা বা ছবি পুনঃপ্রকাশের ক্ষেত্রে ঋন স্বীকার বাঞ্চনীয় ।