শুক্রবার, ১৭ মে ২০২৪, ১০:১৭ পূর্বাহ্ন
ব্রেকিং নিউজ:
গৃহহীন মাহফুজার মেডিকেল জয়

ডেক্স রিপের্টে : পিতা আবদুল মান্নান প্রতিবন্ধী হলেও সংসার চালাতে পরের বাড়িতে দিনমজুর খাটেন। আর মা খালেদা বেগম করেন ঝিয়ের কাজ করেন। নিজস্ব কোনো জমি নেই। নেই  কোনো ঘরবাড়ি। ঝিনাইদহ সদর উপজেলার বৈডাঙ্গা গ্রামের আয়নাল হোসেন নামে এক ব্যক্তির জমিতে ঝুপড়ি বেঁধে বসবাস করেন। রাস্তার পাশেই রয়েছে ঝুপড়ি আকারে জরাজীর্র্ণ বাড়িটি। এই হতদরিদ্র পরিবারের একমাত্র কন্যা মাহফুজা খাতুন মেডিকেলে ভর্তি হয়েছেন। মাহফুজার গন্তব্য এখন সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল।

অদম্য মেধাবী মাহফুজার জীবন কাহিনী আর দশটি শিক্ষার্থীর মতো নয়। সোনার চামচ মুখে দিয়েও তিনি জন্মগ্রহণ করেননি। পিতার দারিদ্র্যতাকে মাহফুজা  কোনোদিন অনুভব করেননি। তার একটাই লক্ষ্য ছিল দারিদ্র্যকে জয় করে দিনমজুর পিতার মুখে হাসি ফোটানো। কোটচাঁদপুরের দোড়া ইউনিয়নের পাঁচলিয়া গ্রামে মাহফুজার নানা বাড়ি। নানা মঙ্গল মণ্ডলের বাড়িতেই মাহফুজার শিক্ষা জীবনের হাতেখড়ি। পাঁচলিয়া হাইস্কুল থেকে এসএসসি পাস করে ভর্তি হন ঝিনাইদহ সরকারি কেসি কলেজে। এইচএসসিতে জিপিএ-৫ পেয়ে যুদ্ধ শুরু করেন মেডিকেলে ভর্তির জন্য। ধরা দেয় সাফল্য। মেধা তালিকায় তার স্থান হয় ৩৮১৬। এখন চিকিৎসক হওয়ার স্বপ্নে বিভোর মাহফুজা। মাহফুজা খাতুন জানান, এই সাফল্যের জন্য তিনি প্রথমেই তার পিতা মাতা ও শিক্ষকদের অনুপ্রেরণাকে প্রাধান্য দেন। তিনি বলেন আমি দরিদ্র ঘরের সন্তান। দারিদ্র্য কী তা আমি বুঝি। কাজেই চিকিৎসক হয়ে আমি সমাজের হতদরিদ্র মানুষকে বিনামূল্যে চিকিৎসা দেবো। তিনি জানান, সমাজের কিছু মানুষের সাহায্য ও প্রেরণায় আমি আজ এতোদূর এসেছি। আমার বাকি জীবনটা যেন মানবসেবা করে কাটিয়ে দিতে পারি তাই সবার কাছে দোয়া কামনা করেন তিনি।

 

এই ওয়েবসাইটের যে কোনো লেখা বা ছবি পুনঃপ্রকাশের ক্ষেত্রে ঋন স্বীকার বাঞ্চনীয় ।