শুক্রবার, ১৭ মে ২০২৪, ১২:০৬ অপরাহ্ন
ব্রেকিং নিউজ:
‘জিয়া বিমানবন্দরের নামে লন্ডন ফ্লাইটে স্ট্রীকার’ : সিভিল এভিয়েশনের তদন্ত প্রতিবেদন জমা নিয়ে ধু¤্রজাল !

বিশেষ সংবাদদাতা : লন্ডন ফ্লাাইটে ‘জিয়া বিমানবন্দরের নামে নিরাপত্তা স্ট্রীকার’ সংক্রান্ত গঠিত দুই দফা গঠিত তদন্ত কমিটির এক দফা- সিভিল এভিয়েশনের তদন্ত কমিটির তদন্ত প্রতিবেদন সিভিল এভিয়েশন চেয়ারম্যান বরাবর গত ১৩ ডিসেম্বর জমা দেয়া হয়েছে বলে সিএএবির সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে। কিন্ত তদন্ত কমিটির প্রধান শাহজালাল বিমানবন্দরের উপপরিচালক বেনী মাধব তা গত ৩১ ডিসেম্বর মোবাইল ফোনের কথোপকথনে অস্বীকার করেছেন। তিনি বলেছেন, তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়ার ত্রুটি দেখা দেয়ায় তা আবার সংশোধন করে আরো অধিক তদন্ত করে ২/১ দিনের মধ্যে জমা দেয়া হবে। এ নিয়ে ধু¤্রজাল সৃষ্টি হয়েছে।
সূত্রমতে গত ১৩ ডিসেম্বর তদন্ত প্রতিবেদন সিএএবির চেয়ারম্যান বরাবর জমা দেয়ার পর তা সদস্য (পরিকল্পনা ও পরিচালনা)কে উপস্থাপন করা হয়েছে। তিনি নাকি দাপ্তরিক চিঠির বাইরে মৌখিক নির্দেশনায় তদন্ত প্রতিবেদন সংশোধন বা অধিকতর আরো তদন্ত করে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়ার নির্দেশনা প্রদান করেছেন। কিন্ত তদন্ত কর্মকর্তা দাপ্তরিক চিঠি ব্যতীত তা আাবার অধিকতর তদন্ত করতে নারাজ।
এদিকে এফসেক কর্তৃক গঠিত তদন্ত প্রতিবেদন এখনও জমা দেয়া হয়নি।
ঘটনার সাথে প্রত্যক্ষভাবে জড়িত থাকা এবং তা স্বীকারোক্তিমুলক জবানবন্দীতে ওঠে এলেও এবং ঘটনার দিন ডিউটি থাকলেও সিভিল এভিয়েশনের নিরাপত্তা অধিকক্ষক বা নিরাপত্তা সুপার খলিলকে এখনও সাসপেন্ড বা ডিউটি অফ করা হয়নি। এই নিরাপত্তা সুপার দীর্ঘদিন যাবত শাহজালাল বিমানবন্দরে কর্মরত। আর এ সুবাধে আদম পাচারে সহযোগিতাসহ বিভিন্ন অনৈতিক কাজে জড়িয়ে পড়ছে বলে গোয়েন্দা সংস্থা তা খতিয়ে দেখছে। এই নিরাপত্তা সুপার খলিল নাকি বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক জিয়ার ঘনিষ্ঠ। বিএনপি সরকারের আমলে এই নিরাপত্তা সুপার খলিল বেশ দাপটের সাথে বিমানবন্দরে তার কার্যক্রম করতো, ওই সময় একবার অনেকে তাকে ভিভিআইপি এলাকায় তারেক জিয়ার গাড়ি থেকে নামতেও দেখেছে। কিন্ত জোট সরকারের সময়ে বিষয়টি তখন আমলে নেয়া হয়নি।
ঘটনার সময় নিরাপত্তা সুপার সালেহা বেগম লাভলি ছুটিতে থাকলেও তাকে সাসপেন্ড করেছে সিএএবির প্রশাসন কিন্ত ডিউটিতে বহাল থেকে জিয়া বিমানবন্দরের নামে লন্ডন ফ্লাইটে যাত্রী ল্যাগেজে স্ট্রীকার লাগালেও নিরাপত্তা সুপার খলিলের বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ব্যবস্থা না নেয়া রহস্যজনক বলে অনেকে মনে করেন। তবে ঘটনার সাথে অনেকে জড়িত- যা ঘাটলে কেচো খুড়তে সাপ বেরিয়ে আসবে- এমন আশংকা থেকেই নিরাপত্তা সুপার খলিলকে বলির পাঠা বানিয়ে তার অপরাধ মার্জনা করে তার বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেয়নি সিএএবির প্রশাসন।

এই ওয়েবসাইটের যে কোনো লেখা বা ছবি পুনঃপ্রকাশের ক্ষেত্রে ঋন স্বীকার বাঞ্চনীয় ।