শুক্রবার, ১৭ মে ২০২৪, ০৯:১১ পূর্বাহ্ন
ব্রেকিং নিউজ:
ডিএনসিসি নির্বচন প্রশ্নে রিট আবেদনকারী বিএনপি নেতা আতাউরকে নিয়ে বিব্রত বিএনপি: দল থেকে বহিষ্কার করা হতে পারে

একুশে বার্তা প্রতিবেদক : ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএন-সিসি) নির্বাচন স্থগিতাদেশ দেওয়ার রিট আবেদনকারী নেতাদের মধ্যে বিএনপি নেতা আতাউর রহমানকে নিয়ে চরম ক্ষুব্ধ ও বিব্রত দলটির নেতাকর্মীরা। ডিএনসিসি

নির্বাচন বন্ধের রিট আবেদন করার আগে তিনি বিএনপির কোনো নেতার সঙ্গে পরামর্শ করেননি। এ সম্পর্কে ঢাকা মহানগর বিএনপির নেতারা জানান, দলের এই নিবেদিতপ্রাণ নেতা পরিস্থিতির শিকার।

আতাউর রহমান ভাটারা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের পাশাপাশি ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির কোষাধ্যক্ষ ও ভাটারা থানা কমিটির সাধারণ সম্পাদক। এ ব্যাপারে তিনি জানান, পাঁচ-ছয় দিন আগে তারা ১৬টি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান একসঙ্গে বসে করণীয় নির্ধারণ করেছেন।

ঢাকা মহানগর বিএনপির নেতারা জানান, রিট করার আগে না হলেও রিটের পর আতাউর তাদের সঙ্গে যোগাযোগ ও কথা বলেন। আতাউর তাদের বলেছেন, তিনি নির্বাচিত চেয়ারম্যান হিসেবে মাত্র আড়াই বছর পার করেছেন। টাকা-পয়সা ব্যয় করে তিনি চেয়ারম্যান নির্বাচন করেছেন; এখন ওয়ার্ড কাউন্সিলর নির্বাচনেও খরচ করতে হবে। অথচ নির্বাচিত ওয়ার্ড কাউন্সিলর কত দিনের মেয়াদে নির্বাচিত হবেন, তা তফসিলে বলা হয়নি। তা ছাড়া এ ব্যাপারে স্থানীয় এমপির পরামর্শও ছিল। আতাউর মহানগর বিএনপির নেতাদের বলেন, এ জন্য দল থেকে তাকে বহিস্কার করা হলেও তার কিছুই করার নেই।

ভাটারা ইউনিয়ন বিএনপির নেতাকর্মীরা জানান, আতাউর রহমান জনপ্রিয় নেতা ও চেয়ারম্যান। তবে তার সঙ্গে স্থানীয় সংসদ সদস্যের সখ্যও রয়েছে। রিট আবেদনকারী অন্যজন আওয়ামী লীগের সক্রিয় নেতা। তিনি বাড্ডা থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও বেরাইদ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম। দুই চেয়ারম্যানের মধ্যে বন্ধুত্বও রয়েছে। রিটের দুই আইনজীবীও আওয়ামী লীগের সমর্থক। তারা হলেন- ব্যারিস্টার মোস্তাফিজুর রহমান খান ও ব্যারিস্টার আহসান হাবিব ভূঁইয়া। তাই আওয়ামী লীগের পরিকল্পনা অনুযায়ী আতাউরকে রিট আবেদনে সংযুক্ত করা হয়েছে বলে মনে করছেন নেতাকর্মীরা।

তবে বিষয়টি অস্বীকার করে আতাউর রহমান  জানান, তারা ১৬টি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান একসঙ্গে বসে করণীয় নির্ধারণের পর চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলমকে আইনানুগ পদক্ষেপ নেওয়ার দায়িত্ব দেন। এর পর আদালতে রিট করা হয়। সংসদ সদস্যের সঙ্গে সম্পর্ক ও সখ্যের বিষয়ে তিনি বলেন, সংসদ সদস্য রহমতউল্লাহর অধীনে তার এলাকার ৯০ ভাগ উন্নয়নমূলক কাজ করা হয়েছে। কাজের সম্পর্কের বাইরে তার সঙ্গে রাজনৈতিক কোনো সম্পর্ক নেই এবং এমপি সেটা পছন্দও করেন না।

রিট করার কারণ হিসেবে আতাউর বলেন, জনগণের স্বার্থেই এ রিট করা হয়েছে। তিনি বলেন, নির্বাচনী তফসিলে নতুন করে ১৮টি ওয়ার্ডে কত মাসের জন্য নির্বাচন করা হবে, তা উল্লেখ করা হয়নি। ভোটার তালিকা হালনাগাদ করা হয়নি। এমনকি সীমানা নিয়েও রয়েছে জটিলতা। তাই আদালতের শরণাপন্ন হতে বাধ্য হয়েছি। রিট করার আগে বিএনপির কোনো পর্যায়ের নেতাকে জানানো হয়নি।

এ বিষয়ে ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আহসানউল্লাহ হাসান বলেন, রিটকারীদের একজন বিএনপির হলেও অন্যজন আওয়ামী লীগের। তাদের আইনজীবীও আওয়ামী লীগের। অথচ ডিএনসিসি উপনির্বাচন বন্ধে শুধু আতাউর রহমানকে নিয়ে আলোচনা করা হচ্ছে। তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশনের ত্রুটিপূর্ণ তফসিলের কারণেই সংক্ষুব্ধরা রিট করার সুযোগ পেয়েছেন।সমকাল

এই ওয়েবসাইটের যে কোনো লেখা বা ছবি পুনঃপ্রকাশের ক্ষেত্রে ঋন স্বীকার বাঞ্চনীয় ।