শুক্রবার, ১৭ মে ২০২৪, ০১:৫৯ অপরাহ্ন
ব্রেকিং নিউজ:
ঢাকা কাস্টমস হাউজ : কুরিয়ার শুল্কায়নে গোয়েন্দা অভিযান : কোটি কোটি টাকার পণ্য জব্দ : গ্রেফতার ১

বিশেষ সংবাদদাতা : ঢাকা কাস্টমস হাউজে কুরিয়ার শুল্কায়নে গত ৯ সেপ্টেম্বর দিনভর গোয়েন্দা অভিযানে গেট কন্ট্রাক্টে কয়েক কোটি টাকার পণ্য কাস্টমস ছেড়ে দেবার পর জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা অভিযান চালিয়ে উক্ত পণ্য বাইরে থেকে জব্দ করেছে। এর সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে সিএন্ডএফ পরিচয়ধারি দুই নম্বরি ব্যবসায়ি হাসান এবং পিচ্চি আলামিনের একজন কর্মচারি কাওসারকে আটক করেছে। বিমানবন্দর থানায় কাস্টমস বাদি হয়ে মামলা করেছে।
কাস্টমস ও সংশ্লিষ্ট সূত্রে জনা যায়, কুরিয়ারে কাস্টমস কর্তৃক তালিকাভুক্ত প্রবেশাধিকার নিষিদ্ধ পিচ্চি আলামিন এবং হাসানসহ ৮/১০ জনের একটি পাচারকারি সিন্ডিকেড কাস্টমসকে ম্যানেজ করে গেট কন্ট্রাক্টে ফেডেক্স খাচা থেকে সিআর কেটে কাস্টমস-এর সব কটি প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে ফায়ারিং এলাম নামক কয়েক কোটি টাকার পণ্য ডেলিভারি গেটের বাইরে নিয়ে নিয়ে ট্রাকে ওঠানোর সময় ওৎ পেতে থাকা গোয়েন্দা সংস্থা অভিযান চালিয়ে তা জব্দ করে। এ ঘটনায় হাসান এবং পিচ্চি আলামিনের স্টাফ কাওসারকে গ্রেফতার করে। কাওসারকে গোয়েন্দা সংস্থার জিঙাসাবাদে ৯/১০ সিন্ডিকেড সদস্যের নাম বলে দেয়। এদেরকে গ্রেফতারের নামবে তদন্ত সংস্থা। বিমানবন্দর থানায় হাসান, আলামিন, কাওসারসহ ৯/১০ জনকে আসামি করে মামলা করেছে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ।
সূত্র জানায়, ইতিপূর্বে একই কায়দায় একই খাচা-ফেডেক্স থেকে ১৫ হাজার ইউরোর পণ্য পাচারের সময় তা জব্দ করে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ। এ ঘটনায় বিমানবন্দর থানায় মামলা হয়। কিন্ত পুলিশি ম্যানেজে হাসান পার পেয়ে যায়।
এ দিকে ঢাকা কাস্টমস হাউজের অতিরিক্ত কমিশনার মাহবুবুর রহমানের নেতৃত্বে পিচ্ছি আলামিনের আশকোনার ঢেয়ায় অভিযান চালিয়ে প্রায় ২৫ লাখ টাকার পণ্য জব্দ করা হয়। কিন্ত পিচ্চি আলামিনকে গ্রেফতার করতে পারেনি কাস্টমস কর্তৃপক্ষ। ফোজিধারি ধারায় সংশ্লিষ্ট থানায় মামলাও হয়নি। উল্টো জরিমানা দিয়ে জব্দকৃত পণ্য ছাড় দেয়া হয়। এ ক্ষেত্রে কলকাঠি নাড়ে এডিসির ফুটমরমায়েশ খাটা এক বহিরাগত, ওই বহিরাগত’র ছেলেও হাউজের লাইসেন্স শাখায় কাজ করে। ওই বহিরাগতকে এক সময় হাউজ থেকে বের করে দেয় কাস্টমস কর্তৃপক্ষ। এক মহিলা ডিসির সুপারিশে আবার ফিরে আসে। ওই মহিলা কর্মকর্তৃা এনবিআরের ফাস্ট সেক্রেটারি।
ঢাকা কাস্টমস হাউজে দ্বৈত প্রশাসন কাজ করে। এডিসি প্রশাসন কুলিয়ে ওঠতে না পেরে চুপসে যান। রামরাজত্ব করতে থাকে সিন্ডিকেড সিন্ডিকেড সদস্যরা। নব্য নেতারা শেল্টার দিয়ে থাকেন বলেও শোনায়। এরমধ্যে নব্য নেতা দুই দুইবার লাখ লাখ টাকার জরিমানা গুণেন। এক দিনে শতাধিক বিল অব এন্ট্রিতে পণ্য ডেলিভারি নিয়ে যায়। এ ধারাবাহিকতা চলতে থাকে। কুরিয়ারে এসি পরিবর্তন করে একজন সৎ ও যোগ্য এসিকে পোস্টিং দেয়া হয়। তার নেতৃত্বে শৃংখলা ফিরে আসে।
তাকে বদলি করার পর বিশৃংখল অবস্থা ফিরে এসেছে। তবে বর্তমান ডিসি চেষ্টা করছেন শৃংখলা ফিরিয়ে আনতে। এসটি মিজান সৎগিরি দেখালেও তিনি আসলে কতটুকু সৎ- তাও দেখার বিষয়। তার রুম থেকে কিভাবে কন্ট্রাক্টে পণ্য চলে যায়?
উল্লেখ্য, ‘কুরিয়ারে রামরাজত্ব, সিন্ডিকেড সিন্ডিকেড বাণিজ্য’- শিরোনামে একুশে বার্তার অনলাইন সংস্করণে গত ৪ সেপ্টেম্বর প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়।

এই ওয়েবসাইটের যে কোনো লেখা বা ছবি পুনঃপ্রকাশের ক্ষেত্রে ঋন স্বীকার বাঞ্চনীয় ।